রাত নিঝুম, চোখে নেই ঘুম
প্রশ্নটা সবার মনেই ঘুরপাক খায়। সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষের কত ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন? সে যা-ই হোক, বিভিন্ন কারণে অনেকেই ঠিকভাবে ঘুমাতে পারে না। সাধারণভাবে একে আমরা ইনসমনিয়া বা না ঘুমানো রোগ বলে থাকি। আবার অনেকের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ঘুমানোর প্রবণতা দেখা যায়।একটা বইতে পড়েছিলাম- ‘ঘুম হলো অবচেতন মনের একটা মধ্যবর্তী অবস্থা। মানসিক সব ধরনের চিন্তা থেকে এ সময় মস্তিষ্ক নিজেকে বিরত রাখে।’ তাহলে আমারকি মন নেই, নেই মনের মধ্যবর্তী অবস্থান, নাকি মস্তিস্কই নেই???
অনেক চিন্তা ভাবনা করে ঘুম সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। তাহলোঃ- প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে। অধিক রাত অবধি যদি কোনো কাজ ফেলে রাখা হয়, তা ঘুমের সমস্যা করতে পারে। আগেই কাজটি শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়ার সময় এবং ঘুম থেকে ওঠার সময় ছাড়া কখনোই বিছানায় গা এলিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগের দুই ঘণ্টা চা, কফি, সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। ঘুমানোর আগে ভারী ব্যায়াম করলে ঘুম আসে না।
–প্রতিদিন অন্ততপক্ষে সকালবেলায় নিয়ম করে ব্যায়াম করার চেষ্টা করা উচিত। হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, বিভিন্ন ধরনের যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন করার চেষ্টা করা যায়।
–রাতের খাবার প্রতিদিন একই সময় খাওয়ার চেষ্টা এবং খানিকটা ক্ষুধা থাকতেই খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
–রাতে ঘুমানোর আগে ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে গা, হাত ও পা মুছতে হবে-যদি ঠান্ডার সমস্যা না থাকে।
–ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো লাগা যেকোনো বিষয়ে ভাবা যেতে পারে। পড়া যেতে পারে পছন্দের কোনো বই বা ম্যাগাজিন। আবার শোনা যায় হালকা সুরের কোনো গান।
–ঘুমানোর আগে মনে মনে বলা যায়, ‘আমি পারব। সব পারব।’ আবার ভাবা যায়, আমি অনেক সুখী মানুষ। দেখা যাবে, গভীর একটা ঘুম হচ্ছে।
–ঘুম না এলে শুধু শুধু বিছানায় এপাশ-ওপাশ করা ঠিক নয়।
এবার দেখা যাক আমার ঘুম হয় কিনা।