নোট জাল করা, জালনোটের ক্রয়-বিক্রয়, পাচার বা ব্যবহার গুরুতর অপরাধ। পেনাল কোড ও বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সম্প্রতি উচ্চতর মূল্যের ১০০০ টাকা, ৫০০ টাকা, ১০০ টাকা ও ৫০ টাকার ব্যাংক নোটের, বিশেষ করে প্রতিকৃতি সংবলিত নোটগুলোর এমন জালনোট দুষ্কৃতকারীরা বাজারে ছড়িয়েছে যেগুলোর জলছাপের অনুরূপ ছাপ ও হলোগ্রাম নিরাপত্তা সুতার অনুরূপ জাল নিরাপত্তা সুতাও রয়েছে। এ ধরনের জালনোট দ্বারা প্রতারিত হওয়ার আশংকা দূর করার জন্য জনসাধারণকে উচ্চ মূল্যের নোট গ্রহণকালে নিম্নোক্ত দিকগুলো সতর্কভাবে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আসল ৫০০ টাকার নোটের উভয়দিকের এবং আসল ১০০ টাকার নোটের সামনের দিকের ছাপা অমসৃণ, যা হাত বুলানোয় উঁচু-নিচু অনুভূত হবে। অন্যদিকে জালনোটের মুদ্রণ সাধারণ অফসেটের মতো মসৃণ, সর্বাংশে একই উচ্চতার।
নতুন প্রমিত (অপেক্ষাকৃত ছোট) আকারের ১০০ ও ৫০০ টাকার নোটগুলোর সামনের দিকের বাঁয়ে উপরি অংশে ইংরেজীতে মুদ্রিত মূল্যমানের উপরের অর্ধেকের রং নোটটি তির্যক নাড়াচাড়ায় পরিবর্তিত হবে, যা জালনোটের বেলায় হবে না। প্রমিত আকারের এই নোটগুলোর এক পিঠের সেলাইয়ের আকারের হলোগ্রাম নিরাপত্তা সুতা আলোর বিপরীতে ধরে অন্য পিঠ থেকে এতে বাংলাদেশ শব্দটি পাঠ করা যাবে। জালনোটের হলোগ্রামের মতো মুদ্রিত নিরাপত্তা সুতায় ঐ শব্দ বিপরীত দিক থেকে পাঠে স্পষ্ট হবে না। উপরোক্ত দুটি দিক ছাড়াও আসল নোটগুলোয় মাইক্রোপ্রিন্ট, মূল্যমানের অতিবেগুনি আলোয় ঔজ্জ্বল্যসহ বহুবিধ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেগুলো সূক্ষ্মতর পরীক্ষায় জালনোটে পাওয়া যাবে না। অতএব, সতর্কতার সাথে পরীক্ষা করে আসল নোট চিনে নিন।