নীরব চিতার গল্প...
-প্রভাষক বি.এইচ.মাহিনী
কিশোর বয়সে মা মরা মেয়ের কপাল পুড়েছিলো,
বিয়ের আগেই জামাইটা তার জলে ডুবে মরলো ।
অপয়া-রাক্ষুসী-ডাইনী ডাক শুনে শুনে মেয়েটি নিত্য চিতায় জ্বলে
গয়নার লোভে ঠাকুর মশাই দিলেন সত্তরোর্ধ এক বুড়ার গলায় তুলে।
দু’দিন বাদে বুড়া মরলে অর্ধাঙ্গীর সহমরণ হবে,
এই সুযোগে ঠাকুর মশাই গয়নাগুলো পাবে।
মুমূর্ষু সেই বুড়াক নিয়ে সবে শশ্মানে চলিলো
সুযোগ বুঝে ছেলে-পুলে সিন্দুক দখল নিলো।
মহাপুণ্য লাভে জায়া, পতির সেবা করে,
বয়সের নেশায় শশ্মান প্রহরী হরিনাথের সঙ্গে মিলন ঘটে।
মহা তুফান বুড়াক নিয়ে ডুবায় সাগর মাঝে
লোকলজ্জা আর পাপের ভয়ে জায়া সমুদ্রে ডুবে মরে।
মহাপুণ্য লাভে তারা নিত্য আসে যায়,
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক কোথায় খুঁজে যায়?
০৪-০৮-২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১