ভাঁওতাবাজি
-বিলাল মাহিনী
মূর্তি-মন্দির সম যত মাজার দেখতে পাই,
এসব নাকি শিরকে ভরা হুজুর মশাই কয়।
লা তুশরিক বিল্লাহ যারা শেখায় আমাদের
তারাই আবার লোভের বশে গড়ছে মাজার ঢের!
সরকারি ভাতা নেয় না ওরা হারাম হারাম কয়,
এমএ পাশের সনদ নিতে আবার মরিয়া হয়।
ঘুষের টাকা সুদের টাকায় চলে খানাপিনা,
জাতীয় সংগীতে নাকি শিরকি আলপনা!
ইমাম সাহেব চাকরি করেন, করেন ইমামতি
জানতে বড্ড ইচ্ছে করে, তার নামাজের গতি?
ঠাকুর মশাই পূজা পড়ান, দু’হাত ভরে প্রসাদ গোছান;
নিজের পূজা লাগে না তার! ফাঁকি দিয়ে পালান।
সৃষ্টিকর্তার অর্চনা করি বা না করি,
নেতার কথায় বিবেক বেচে হুমড়ি খেয়ে পড়ি!
গণতন্ত্র আর রাজনীতি হারাম বলতো যারা
এমপি মন্ত্রী হওয়ার আশে ভোটের মাঠে তারা।
মুক্তিযোদ্ধা হয় রাজাকার, সময়ের ব্যবধানে
ক্ষমতা চাই তার, আদর্শের কী আর মানে!
আস্তিক আর নাস্তিক নিয়ে বাঁধাই দ্বন্দ্ব,
দর্পণের সামনে গেলে মুখ হয়ে যায় বন্ধ।
বিএ এমএ পাশে কী আর মানুষ হওয়া যায়,
মনের মাঝে কালিমা আর কলুষ যদি রয়।
জুব্বা টুপি তসবিতে কি ক্ষমা হবে ভাই!
নিফাকী আর ঘৃণা যদি আপন জনকে দেখাই।
সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আসুন মানুষ হই,
ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোরা স্বাধীন সুখে রই।
০৩-১২-১৮
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩