নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়মের তদন্তে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ লক্ষ্যে ইউজিসি সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) আতফুল হাই শিবলীকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, এক শিক্ষিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টা ছাড়াও প্রশাসনের শৃঙ্খলা-বিরোধী কর্মকাণ্ড, ভর্তিবাণিজ্য, নম্বর জালিয়াতি, ভিসি ও প্রো-ভিসি নিয়োগসংক্রান্ত অনিয়ম, একাডেমিক কাজে স্থবিরতা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার ও হয়রানির ডজনখানেক অভিযোগ সামনে রেখে তদন্তে নেমেছে কমিটি। তবে ইউজিসি সূত্র জানায়, গত নয় মাসেই নর্থ-সাউথে অনাচার ও দুর্নীতি-অনিয়মের অন্তত দুই ডজন অভিযোগ জমা পড়ে। গুরুতর এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ইউজিসি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যদের গতকাল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল। জানতে চাইলে আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আতফুল হাই শিবলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'বিশেষ কারণে গতকালের কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে। তবে শীঘ্রই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব।' তিনি বলেন, 'প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অনিয়ম, ভর্তিবাণিজ্য, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের অসৌজন্যমূলক আচরণসহ বেশ কয়েকটি বিষয় তদন্ত করবে কমিটি। গত সপ্তাহে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ করেছেন পাবলিক সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের এক শিক্ষিকা। এ বিষয়টিও তদন্ত করা হবে।' এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সকালে আকস্মিক জরুরি বৈঠক ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, উপাচার্য ড. হাফিজ জিএ সিদ্দিকী ছাড়াও সব ডিন ও ফ্যাকাল্টি মেম্বার উপস্থিত হন। সূত্র জানায়, দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে চেয়ারম্যান ও উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানের কথা চিন্তা করে অভিযোগের বিষয়গুলো নিজেদের মধ্যে 'মিটমাট' করে ফেলার অনুরোধ করেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষক জানান, বোর্ড চেয়ারম্যান সভায় জানিয়েছে তার মেয়াদ আর মাত্র তিন মাস আছে। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে তিনি যে কোনো মুহূর্তে পদত্যাগ করতে রাজি। তবে যেসব ছাত্র ও শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদেরও বরখাস্ত করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫