somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অরিত্রি আত্মহত্যা : শিক্ষক vs অভিভাবক...

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১. আসলে হঠাৎ করেই মাথায় চিন্তাটা আসল 'কাল্পনিক ভালোবাসা'র পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে। মন্তব্যর চুম্বক অংশ - "একই ভিকারুননেসা-তেই এক ছাত্রী ধর্ষণের পর লজ্জা বা আত্মহত্যা না করে সত্য প্রকাশ করে ঐ শিক্ষককে আইনের আওতায় নিয়েছে। তাহলে অরিত্রির জন্য তো ঐ ছাত্রীও প্রেরণা হতে পারত! আর আমরা শুধু শিক্ষকের দোষ দেখছি। আমরা কী আদৌ জানি বাবা মা-কে স্কুলে ডাকার পর বাবা-মাও অরিত্রিকে কোন বকা ঝকা করেছিল কিনা। বাবা বলেছিলেন কিনা এই মেয়ের জন্য এত লাখ খরচ করেছি, মা বলেছিলেন কিনা পাশের বাসার ভাবীকে কীভাবে মুখ দেখাব..."

২. কোন রোগী মারা গেলে যেমন তার স্বজনরা ঘটনা বিশ্লেষণ করার আগেই ডাক্তারদের দোষারোপ করে, ঠিক তেমনি অরিত্রি আত্মহত্যা করার জন্য শিক্ষকদের দায়ী করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, অরিত্রির সামনে তার বাবা মা-কে অপমান করার কারণে সে আত্মহত্যা করেছে। অরিত্রি কি কোন সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছিল? তাহলে নিজের অপমান নাকি অভিভাবকের অপমান-এর কারণে আত্মহত্যা করেছিল তা কী করে বোঝা গেল? পত্রিকায় এসেছে, অরিত্রি নিজেও পা ধরে মাফ চেয়েছিল, সেই অপমানও তো আত্মহত্যার কারণ হতে পারে...

৩. পত্রিকার ভাষ্যমতে, "অরিত্রির মা-বাবার অভিযোগ, প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করায় তার মেয়ে দ্রুত বাসায় চলে যায়। পরে তারা গিয়ে দেখে অরিত্রি নিজ রুমে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আছে।" এই ব্যপারটার জন্য আমরা কি অরিত্রির অভিভাবককে দায়ী করতে পারি না? স্কুলে মেয়েকে নিয়ে গেল এক সাথে। আর মেয়ে নাকি বাবা মাকে রেখে একাই বাসায় চলে আসে। তাহলে বাবা মা কেন সাথে সাথেই থামাল না বা বাসায় চলে আসল না? বাসায় তখন আর কে ছিল? স্কুল থেকে একা এসে রুমে একটা ১৫ বছরের মেয়ে ওড়না নিয়ে ফ্যানের সাথে বাঁধা এরপর ঝোলা ব্যপারগুলো এত সহজ নয়। বাবা মা কীভাবে এতটা কেয়ারলেস হলেন? আগের রাতে বাবা মা তাকে সান্ত্বনা দিয়েছিল নাকি গালি দিয়েছিল?

৪. বটমলাইন হল, অরিত্রি একটা সিস্টেমের শিকার। শিক্ষকও বাড়াবাড়ি করেছে রাগের মাথায়(অভিভাবকও উল্টা পাল্টা কিছু বলেছিল কিনা জানি না)। অভিভাবকরাও তথাকথিত সামাজিক প্রতিযোগীতার কারণে সন্তানদেরকে সব সময় চাপে রাখেন। সন্তানরাও ছোট থেকেই বুঝে যায়, রেজাল্ট ভাল না হলে অভিভাবকদের বকা শুনতে হবে, আত্মীয়দের সামনে লজ্জা পেতে হবে। শিক্ষকরাও কড়াকড়ি করেন, শৃঙ্খলা আনার জন্য। অাত্মহত্যাকারী নিজে মুক্তি পায় কিন্তু পিতা, মাতা, ভাই, বোন, বন্ধুদের চিরদিনের জন্য কষ্টে রাখে - এটা মনে করে আর কেউ যেন এই পথে না যায় সেই কামনা করি...
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪৩
১৪টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×