১. আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী, সমর্থক গণ এক ধরনের ট্রমার মধ্যে আছে। তারা ভাবতেই পারেনি(এমনকি বিএনপি সমর্থকরাও না) শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করার জন্য বিএনপি-র নেতারা ১৩ কোটি টাকা দিয়ে নমিনেশন ফরম কিনবে! এর আগে সবার ধারণা ছিল বিএনপি ভেঙে ক্ষুদ্রাংশ নিয়ে নির্বাচনে অংশ করিয়ে এই নির্বাচনকে বৈধ করবে আওয়ামী লীগ। কিন্তু পূর্ণশক্তির বিএনপি নির্বাচনের মাঠে থাকায় তেনাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে...
২. আওয়ামী লীগ ভেবেছিল, নির্দলীয় সরকার না হলে এবারও বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে আন্দোলনে যাবে। আর আন্দোলন কীভাবে দমন করতে হয় সেটা তো শেখের বেটীর ভালই জানা আছে। সংবিধান অনুযায়ী আবারও বিএনপি বিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার অভিলাষ ছিল তেনাদের। অবাক করা ব্যপার হল, এখন পর্যন্ত এত গ্রেফতার, মামলা, হয়রানির পরও বিএনপি নেতৃবৃন্দ মুখে 'নির্বাচনে যাব না', 'বয়কট করব' - টাইপ কথা বলছে না। বরং দিনের পর দিন বিএনপি জনগণকে সম্পৃক্ত করে ভোট কারচুপির পথকে রুদ্ধ করার শপথ নিচ্ছে...
৩. আর্মি ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার না থাকলেও মাঠে নামবে আগামী সপ্তাহে। কয়টা পুলিশ আওয়ামী লীগের গোলামী করবে? কয়টা ডিসি? কয়টা আর্মি? কয়টা নির্বাচনী অফিসার? কয়টা কেন্দ্রে ছাত্রলীগ হামলা করবে? উহাদের বিপরীতে বিএনপি'র কেউ নিশ্চয়ই আঙ্গুল চুষবে না। মিডিয়া, জনগণ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সবাই সজাগ আছে। খালি মাঠে ১২ বছর খেলেছিল। ৩০ ডিসেম্বর সবাই সমান হবে। খেলা হবে...
৪. হিন্দী ছবি 'লোফার'-এ একটা নির্বাচন করার দৃশ্য ছিল। যেখানে, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও তার চেলারা সবাইকে ভয় ভীতি দেখিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে মানা করে। ভোটের দিন তাদের ভয়ে কেউ ভোটকেন্দ্রে যায় না। এক বৃদ্ধ লোক লাঠি হাতে নিয়ে ভোট দিতে গেল। চেলারা তাকে বাধা দিলেও পরে যেতে দিল। ভাবল, এক বৃদ্ধ লোক একটা ভোট দিলেই বা কী হবে। ঐ লোক ভোট দিয়ে এসে এলাকাবাসীকে বলল, পুরুষেরা মহিলাদের আঁচলের নিচ থেকে বের হও, আর অনিল কাপুর(নায়ক)-কে ভোট দাও। তখন একজন একজন করে পুরো এলাকাবাসী এক সাথে গেল ভোটকেন্দ্রে। গুটিকয়েক চেলা বিশাল সংখ্যক জনগণকে ঠেকাতে পারেনি...
৫. এটাকেই বলে গণজোয়ার, এটাকেই বলে 'পুঁটি মাছের মত ভোট'(কপিরাইট - চাঁদগাজী)। এখনও কিছু ব্লগার, ফেসবুকাররা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন, কী এমন মধু বিএনপি'র আছে যে এত উন্নয়নের পরও আওয়ামী লীগকে ভুলে মানুষ বিএনপি-কে ভোট দিবে? সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৩০ ডিসেম্বর। সেটা জানার জন্য প্রশাসনকে সৎ হতে হবে ৩০ ডিসেম্বর। কারণ, নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে চুদুর বুদুর চইলত ন...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০১