১. ‘করোনা’ আসার পর বিশ্ব এক রকম থমকেই গিয়েছিল কয়েক মাসের জন্য। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। যা ছিল আধুনিক যুগের এক নজিরবিহীন ঘটনা...
২. তবে আমি আশাবাদী ছিলাম সমাধান হবেই। এই সংকট পৃথিবী বাসী কাটিয়ে উঠবেই। গুজব ব্যবসায়ী, আতংক ব্যবসায়ী, লাশের স্তুপ, ১৪ দিন - সব ছাপিয়ে পৃথিবী আবার স্বাভাবিক হবেই...
৩. বলা যায়, সব দেশই স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত এসেছে। ‘করোনা’ কে এখন আর কেউ ভয় পাচ্ছে না তেমন। মানে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা যারা ‘করোনা’র ১ম ও তথাকথিত ২য় পর্ব অতিবাহিত করেছি, তাদের আর নতুন করে অমিক্রন, টমিক্রন বলে ভয় দেখানো যাবে না...
৪. মৃত্যু যে কোন সময়ই হতে পারে। করোনা ছাড়াও মৃত্যু হতে পারে। টীকা নিলেও মৃত্যু হতে পারে। এক অর্থে বিশ্বাসী, অবিশ্বাসী কেউই বেঁচে থাকার গ্যারান্টি দিতে পারবে না।
৫. বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো এখনও প্রতিদিন ‘করোনা’র খবর দিয়ে যাচ্ছে। ক্রিকেটের স্কোরের মত এখনও মৃত্যু সংখ্যা যোগ হচ্ছে। যখন ’করোনা’ শুরু হয়েছে তখনও দৈনিক ‘করোনা’র চাইতে বেশী মানুষ মারা যেত। এখনও মারা যাচ্ছে। তাহলে আলাদা করে কেন এই মৃত্যু সংখ্যা প্রচার করে যেতে হবে? আর কোন রোগে কী কেউ মারা যাচ্ছে না দেশে? এরা কী জানেনা যে, দেশে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ খবর আছে? এরা কী জানে না যে, ৫০ টাকার মাস্ক এখন ২ টাকা?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৩