১. আমাদের দেশে এত বেশী রাজনীতি সচেনত জনতা আছে যে, এটা এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব কিছুতে দুই ভাগ হতে হতে এখন দেশপ্রেমের বেলাতেও সরকার দেখে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেউ কেউ...
২. বিষয়টা হচ্ছে, এখন আমার পছন্দের সরকার ক্ষমতায় নেই, তাই আমি চাই দেশের ক্ষতি হোক (!)। তাহলে ক্ষমতাসীনদের ট্রল করা যাবে, বেকায়দায় ফেলা যাবে। রাজনীতিবিদদের মধ্যে এই মানসিকতা থাকলেও চরিত্রের কারণে মানা যায়। কিন্তু তাই বলে, সাধারণ মানুষও যদি এমন চিন্তা ধারা লালন করে, তাহলে বুঝতে হবে এদেশের মানুষের মানসিকতায় সমস্যা আছে...
৩. কিছুদিন আগে সরকার যখন ডলার এর দাম, রিজার্ভে টান সহ ইত্যাদি কারণে অর্থনৈতিক ভাবে একটু বেকায়দায় (শ্রীলংকা হবে হবে ভাব), তখন আমার অপছন্দের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা প্রবাসীদের অনুরোধ করেছিল রেমিট্যান্স যেন বৈধ ভাবে দেশে পাঠায়। তাতে অনেক সরকার বিরোধী প্রবাসী খেপে যায়। তারা নাকি হুন্ডিতেই টাকা পাঠাবে। কারণ, তারা দেশে আসার সময় অনেক টাকা খরচ করেছে, যেখানে হাসিনার সরকার কোন সাহায্য করেনি, তেনারা বিমানবন্দরে সম্মান পায় না তাই এই সরকারের আমলে তেনারা বৈধভাবে টাকা পাঠাবে না বলে ফেসবুক, টিকটকে ভিডিও প্রসব করে...
৪. আমি প্রবাসে ছিলাম ১০ বছর। আমি জানি, এসব নীচু মনের বাংলাদেশীদের ভাবনা। তারা মাত্র সামান্য কিছু টাকা বেশীর জন্য হুন্ডিতে টাকা পাঠায় এবং সব সরকারের আমলেই তারা এ কাজ করে। এরা শুধু পরিবার আর নিজেদের স্বার্থ দেখে, দেশের চিন্তা করে না। আমার মত এরাও দেশে কিছু করতে না পেরে বিদেশ যায়, আর নিজেদের বলে সো কল্ড রেমিট্যান্স যোদ্ধা। যেন তাদেরকে জোর করে পাঠানো হয়েছে...
৫. সবার আগে দেশ। কে ক্ষমতায় আছে, সেটা দেখে দেশের ক্ষতি করা যাবে না। দেশের অর্থনীতি দুর্বল হলে কোন সরকারই শান্তি দিতে পারবে না, পরিস্থিতি খারাপ হবে। তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশপ্রেম, নৈতিকতার চর্চা করতে হবে...
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪২