এতক্ষনে অরিন্দম কহিল বিষাদে.....র মতো আমাদের মান্যবর শিক্ষামন্ত্রী একি কহিলেন!!!!????
ঢাবির শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ: শিক্ষামন্ত্রী - See more at: Click This Link
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতার পর থেকে হাজার হাজার মেধাবী জ্ঞানী গুনী ড. পয়দা করে আজ এই অবেলায় নাকি এই তকমা!!!!!
উনাদের উচ্চাবিলাসী রাজণীতির বলি লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে বলির পাঠা বানিয়ে পাসের হারে চমক আর ঠমক দেখাতে গিয়ে যখন গণধরা তা ঢাকতে অবশেষে ঢাবির কপালেই চুনকালি!!!!!
এই না হলে কি আর মন্ত্রী!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী ৪০ ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়ে এইচএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে এমসিকিউ প্রশ্ন দিয়ে তাদের মান ও মেধা যাচাই সম্ভব নয়। ঢাবির শিক্ষার্থ বাছাই সিস্টেম ত্রুটিপূর্ণ। একথা তাদেরই প্রমাণ করতে হবে। দায় দায়িত্ব তারাই নেবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তির শর্ত হিসেবে এবার ‘খ’ ইউনিটে ইলেকটিভ ইংলিশ অংশের উত্তর দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু ওই পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভর্তির জন্য যে নম্বর পেতে হবে তা অর্জন করেছে মাত্র দু’জন শিক্ষার্থী। ....
সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছুড়ে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের বিবেক কি বলে মাত্র দু’জন শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্য?
আমরা কি পাল্টা প্রশ্ন করতে পারিনা- এ কি সর্বনাশ করেছেন!!!! -গণহারে জিপিএ ৫ পাওয়ার একি নমুনা!!!
আপনার মন্ত্রনালয়ের সাফল্য দেখাতে গিয়ে লাখ লাখ ছাত্রর জীবন নিয়ে খেললেন????
সামনেতো আরও বিপদ!!! সৃজনশীল অংক নামের যে জিনিষ ছাত্রদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে- শিক্ষার্থী দূরে থাক শিক্ষক নিজেই বোঝে না। ..
প্রশ্ন পত্র তৈরী করছে গাইড বই দাগিয়ে দিয়ে... এই থেকে এই.. ব্যাস।
ফেল ঠেকাতে স্কুলের নাম বাঁচাতে চলছে এভারেজ পাস করানো...
এই সর্বনেশে খেলার ফল তো মন্ত্রী মহোদয় ভোগ করবে না। ভোগ করবে প্রতিটি ছাত্র। প্রতিটি অভিভাবক। প্রতিটি পরিবার। পুরো বাংলাদেশ।
এখনো সময় আছে। সময়ের সাথে, বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে দেশের উপযোগী পদ্ধতিতে ছাত্রদের জীবন রক্ষা করুন।
শহরের কয়েকটি বিদ্যালয়! বা উচ্চশিক্ষিত কিছূ ছাত্র নয়- বা কেবলই বিদেশের হুবহু অনুকরণ নয়-
দেশের এভারেজ ছাত্র মেধা অনুপাতে, শিক্ষক মেধানুপাতে, বিদ্যালয়ের বাস্তব অবস্থানুপাতে.. পাঠক্রম প্রণয়ন করুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের পরীক্ষা পদ্ধতির দিকে আঙুল না তুলে- নিজের মন্ত্রনালয়ের দিকে তাকান। শিক্ষকদের দিকে তাকান। বিদ্যালয় গুলোর দিকে তাকান। ছাত্রদের দিকে তাকান।
রাজণীতির কানাগলির বাহবা নিতে পাসের হারে বাড়ালেই সাফল্য নয়- প্রকৃত মেধার বিকাশেই সাফল্য।
সংবাদ সূত্র :http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/328084.html
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




