somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্ণবাদী জঙ্গি ব্রেন্টন, ব্লাক সান, ক্রাইষ্ট চার্চ এবং মানবতার মুক্তির পথ

১৫ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকালে ঘুম থেকেই উঠতেই পিলে চমকানো খবর!
সাথে লাইভ ভিডিও দেখে আক্ষরিক স্তব্দ হয়ে গেলাম।
ভিভিও গেইমে খেলার মতো মানুষ হত্যা। সরাসরি! !!!! বাংলাদেশ টিমের খেলোয়াররাও ঐ মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে ৫ মিনিট ডিলে হওয়াতে বেঁচে গেলেন সবাই।

ধীরে ধীরে খবর প্রকাশ হতে লাগলো।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে হ্যাগিল পার্ক এলাকায় দুই মসজিদে অস্ট্রেলীয় জঙ্গি ব্রেন্টন ট্যারান্টের হামলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ৪৯ জন মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিন বাংলাদেশিও রয়েছেন।

নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শুরু হওয়ার কিছু পরেই কালো কাপড় ও হেলমেট পরা এক বন্দুকধারী আল নুর মসজিদে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে শুরু করে। তারপর জানা যায়, শহরের আরো একটি মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় তিন পুরুষ ও এক নারীকে আটক করেছে নিউজিল্যান্ড পুলিশ। এর মধ্যে অনলাইনে সরাসরি হামলার ভিডিওচিত্র সম্প্রচারকারী এক বন্দুকধারীর নাম ব্রেন্টন ট্যারান্ট। তার বন্দুকে ক্যামেরা লাগানো ছিল। ব্রেন্টন জন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তিনি দেশটির উত্তরাঞ্চলের গ্রাফটন শহরের বাসিন্দা।

এ হামলায় সন্ত্রাসী সংগঠন ‘ব্লাক সান’ জড়িত বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রেন্টন ট্যারান্ট কুখ্যাত ব্লাক সানের সদস্য। তাঁর প্রকাশিত ইশতেহারে ব্লাক সানের লোগোও দেখা যায়। এ ঘটনার পর ‘ব্লাক সান’ নিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈচৈ শুরু হয়েছে।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্ল্যাক সান সংগঠনটিকে নব্য নাৎসিবাদীদের সংগঠন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়ে থাকে।

হামলার পূর্বে জঙ্গি সন্ত্রাসী ব্রেন্টন তার ফেসবুকে এক বিশাল ইশতেহার প্রকাশ করে। যাতে হামলার কারণ ব্যাখ্যা করেছে।
সেখানে ব্রেন্টন নিজেকে একজন সাধারণ শ্বেতাঙ্গ হিসেবে পরিচয় দেন। মূলত শ্বেতাঙ্গদের ভূ-খণ্ড কখনোই অনুপ্রবেশকারীদের হবে না এটা বুঝিয়ে দিতেই ওই হামলা চালানো হয় বলে ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে। সন্ত্রাসী অ্যান্ডার্স ব্রেইভিকের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিউজিল্যান্ডে হামলা চালিয়েছে ব্রেনটন টেরেন্ট। একই সঙ্গে সে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান এবং লন্ডনের মেয়র সাদেক খানের মৃত্যু কামনা করেছে। ৮৭ পৃষ্ঠার ‘ম্যানিফেস্টো’তে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে সে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে ক্রাইস্টচার্চের হামলায় কিভাবে সে উদ্বুদ্ধ হয়েছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। ওই ‘ম্যানিফেস্টো’র নাম দিয়েছে সে ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’। হত্যাযজ্ঞ চালানোর আগে শুক্রবার সকালে এটি প্রকাশ করে সে। ক্রাইস্ট চার্চের মসজিদ সে কেন বাছাই করেছে এবং কিভাবে নরওয়ের ঘাতক অ্যান্ডার্স ব্রেইভিকের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়েছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে এতে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সন্ত্রাসী হামলায় নরওয়েতে ৭৭ জনকে হত্যা করে অ্যান্ডার্স ব্রেইভিক। এছাড়া, ওই ডকুমেন্টে সে ফিন্সবারি পার্কে হামলা চালানো সন্ত্রাসী ড্যারেন অসবোর্নের কথাও উল্লেখ করেছে।
শুরুতেই ব্রেন্টন লিখে -
‘আমাদের ভূখণ্ড আমাদের, যতক্ষণ পর্যন্ত একজন শ্বেতাঙ্গও বেঁচে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা আমাদের ভূমি জয় করতে পারবে না, এবং আমাদের হটাতে পারবে না ।
এরপরেই পয়েন্ট আকারে হামলার বেশ কতগুলো কারণ উল্লেখ করা হয়। সেগুলো হলো-

১. ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে ইউরোপীয় ভূ-খণ্ডে অনুপ্রবেশকারীদের ফলে হাজার হাজার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে।
২. অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের ফলে লক্ষ লক্ষ ইউরোপবাসীর কাজ হারানোর প্রতিশোধ নিতে।
৩. ইউরোপীয় ভূ-খণ্ডে সন্ত্রাসী হামলায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে।
৪. এবা আকেরলান্ডের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে।
(২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল উজবেক এক জঙ্গির হামলায় সুইডেনের স্টকহোম শহরে লড়ি চাপায় পাঁচজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিল এবা আকেরলান্ড নামে এক শ্রবণপ্রতিবন্ধী মেয়ে। স্কুল থেকে ফেরার পথে মায়ের সঙ্গেই লড়ির নিচে চাপা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়)
৫. ভয় দেখিয়ে ও সশরীরে হটিয়ে দিয়ে ইউরোপীয় ভূ-খণ্ডে অনুপ্রবেশকারীদের অভিবাসন হার কমাতে।
৬. শত্রুপক্ষকে উত্তেজিত করে প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে নামানো, যাতে করে তারা অনিবার্য নেতিবাচক পরিণতির মুখোমুখি হয়।
৭. ভূমি দখলকারী অনুপ্রবেশকারী আর ইউরোপবাসীর মধ্যে সহিংসতা, প্রতিশোধস্পৃহা আর বিভাজনকে জাগিয়ে তুলতে।
৮. মানুষকে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করতে। যারা এ কাজ করতে চায় তাদের চলার পথ আলোকিত করতে। তাদের জন্য যারা পূর্ব-পুরুষের ভূখণ্ডকে অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে চায়। আর তাদের জন্য বাতিঘর হতে যারা একটা স্থিতিশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রাখতে চায়, তাদের জানাতে যে, তারা একা নয়।
৯. আতঙ্ক আর পরিবর্তনের একটা পরিবেশ তৈরি করতে, যাতে বিধংসী, বিপ্লবী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়।
১০. ইতিহাসের গতিতে বিশেষ আন্দোলন তৈরির মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বকে অস্থিতিশীল করতে; নাস্তিবাদী, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী, ভোগবাদী, উন্মাদ চিন্তা যার দখল নিয়েছে।
১১. তুরস্ক বাদে ন্যাটোভুক্ত অন্য দেশগুলোর মাধ্যমে সম্মিলিত ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গঠন করে তুরস্ককে আরো একবার বিদেশি শত্রুপক্ষ হিসেবে তার সত্যিকারের অবস্থান ফিরিয়ে দেওয়া।
এসব ছাড়াও ৭৩ পৃষ্ঠার ওই ইশতেহারে আরো নানামুখী আদর্শ ও কারণের কথা উল্লেখ করা হয়।

শুধূ এই ব্লাক সান নয়, ফ্রি মেসন, ব্লাক কাল্ট ইলুমিনাতি সহ সকলে তরা সংঘবদ্ধ। তারা বিশ্বময় One World Order প্রতিষ্ঠা করতে চায় । এই উদ্দেশ্যে তারা ধর্মসমূহের বিনাশ চায়, সরকারগুলির উৎখাত চায়। ইলুমিনাতির শক্তির মূলে রয়েছে অকাল্ট (গূহ্য জ্ঞান) এবং ইকোনমি (অর্থনীতি)। এই গুপ্ত গোষ্ঠটি দীর্ঘদিন ধরে আর্ন্তজাতিক ব্যাঙ্ক, তেলব্যবসা, শিল্পকারখানা, এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাবানিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। আর্ন্তজাতিক রাজনীতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সরকার কে প্রভাবিত করে আসছে। এ প্রসঙ্গে ইলুমিনাতি-বিরোধী লেখক Wes Penre লিখেছেন: They decide who will be the next president, and they see to that their man wins, even if they have to cheat like they did in Florida when President George W Bush "won" over Al Gore. Most president campaigns are financed with drug money, which is understandable if you know that the Illuminati run the drug trade industry as well. Elections are really not necessary, but they let us vote so we can have a game, and by letting us, they pretend to follow the Constitution.
শ্রদ্ধেয় ইমন জুবায়ের ভাই এর উপর অনেক গুলো সিরিজ লিখেছিলন। আগ্রহীরা পড়ে নিতে পারেন।

বিশ্বময় তেমনি খেলায় মধ্যপ্রাচ্যের দখলদারী রাজনীতি, সিরিয়ায় গেমপ্ল্যান, ইরাকের দখলদারিত্ব, আফগান, কাশ্মীর, উইঘুর, রাখাইন, ফিলিস্তিন সমস্যাগুলো সবসূত্র যেন এই বাস্তবতার মালাতেই গাথা! তারা যতই বাইরে মানবতা, গণতন্ত্র আর ভাল ভাল কথা বলুক, তাদের অন্তরে মোনাফেকি! তারা বর্ণবাদী। তারা তাদের স্বর্ধমে অন্ধ। তারা ডিভাইড এন্ড রুল পলিসিতে মুসলিমদের শতধা বিচ্ছন্ন করে রেখে মুসলিমদের সম্পদ দিয়েই তাদের সভ্যতা সমৃদ্ধ করছে আর প্রয়োজনে তাদের ব্যবহার করছে ইচ্ছেমতো। কখনো দেশ দখল তো কখনো গণহত্যা! কখনো গণতন্ত্রের নামে তো কখনো স্বৈরাচারিতায় সমর্থন দিয়ে রাজতন্ত্রে সমর্থন দিয়ে। বাকী আম-মুসলিম নাম ধারী মুসলিমরা বলির পাঠা হয়ে অকাতরে জীবন দিচ্ছে!

তারা যতই ধর্মকে পৃথক করার কথা বলুক না কেন তাদের নিজস্ব মৌলিক নীতি ধর্ম দ্বারাই পরিচালিত। সকল প্রেসক্রিপশন শুধু মুসলিমদের ধর্ম বিমূখ করতেই। আমেরিকা সহ প্রগতির নামধারী অধিকাংশ দেশের পতাকাই তাদের ধর্মকে রিপ্রেজেন্ট করে। তারা শপথ নেয় বাইবেল হাত দিয়ে। তারা তাদের ধর্ম সুরক্ষায় সকল বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রকাশ্যে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ পরিচালনার জণ্য বাজেটে অর্থ বরাদ্ধ করে। তারপরো তারা সুশীল। কারণ আমরা যে বোকা! বহুধাবিভক্ত। আত্মপরিচয়হীন।
তাদের মেকি প্রেস্ক্রিপশনে জাতে উঠকে আমরা সর্বস্ব বিসর্জন দেই। ধর্মকেও পাশে ঠেল ফেলে দেই। কিন্তু পাশের ভারত থেকে আমেরিকা অষ্ট্রেলিয়া সকলেই অন্তরে অদ্ভুদ গভীর ভাবে বর্ণবাদ লালন করে।

না আমি মুসলমানদের বর্ণবাদী হতে বলছি না। বলছি মুসলিমদের মানবতাবাদী পরিচয়ের কথা। বলছি আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকারের কথা। আত্মপরিচয়ে সমৃদ্ধ হবার কথা। ঐক্যের মাধ্যমে সত্য ন্যায় মানবতা আর ইনসাফের যে ভিত্তি ইসলাম স্থাপন করে দিয়ে গ্যাছে তাতে প্রত্যাবর্তনের কথা। একজন মুসলিম মাত্রই মানবতাবাদী। দয়ালু।, পরোপকারী। এমনি ৯৯ টি গুনের যে যত বেশি ব্যবহারিক জীবনে অর্জনে সক্ষম সে তত ভাল মুসলিম। বিশ্বে মুসলমানদের উদ্দেম্য করেই আল্লাহ বলেছেন- তোমাদের প্রথিবীতে প্রতিনিধি করে পাঠীয়েছি। তাই মুসলমানদের সেই সত্য প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় হতে হবে। কারণ সত্য প্রতিষ্ঠিত হরেই মানবতা প্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষের মুক্তির পথ সুগম হয়।

কিন্তু আমাদের মাঝে পোষাকি মুসলিম চর্চা বেশী। যার ইন্ধন দাতা শত্রুদের তাদের কলের পুতুল হয়ে ইসলামের প্রাণকেন্দ্র আরব ভূমি দখলকারী সউদ গং। তাদের দখলদারিত্ব তথা রাজতন্ত্রে প্রতিষ্ঠায় তারা ইসলামকে কোরবানী দিয়েছে শুরুতেই। রেখেছে পোষাকী পরিচয়। এবং অর্থ নৈতিক স্বাবলম্বনে, আল্লাহ প্রদত্ত খনিজ সম্পদে তারা নেতৃস্থানিয় হওয়ায় বাকী মুসলিম বিশ্ব তাদের মূখাপেক্ষি হয়ে পড়ায় তারা পূর্ন সদ্বব্যবহার করছে সে সুযোগ। শত্রুদের হাতে তুলে দিচ্ছে ইসলাম বিরোধীতার রকমারী হাতিয়ার।
কখনো আইসিসে অর্থ দিয়ে তো কখনো মিসরে গণতন্ত্র হ্ত্যা করে তো কখনো ইয়েমেন জুলুম চালীয়ে। বাকী দূরের মুসলিম বিশ্ব ধর্মীয় সেনশেসনের কারনেই খুব বেশি উচ্চবাচ্য করে না। আর মাথা পঁচে যাওয়া মাছের মতো ইসলামের গায়ে শত্রুপক্ষ দুর্নমাের ময়লা ছড়িয়ে যাচ্ছে ইচ্ছামতো। ব্যক্তিক রাজতন্ত্র রক্ষার আড়ালে চলছে ইসলাম ধ্বংসের সুগভির ষড়যন্ত্র।

মুসলমানদের নিজেদের এই বেপথে চলা থেকে আগে ফিরতে হবে।নিজেদের আত্ম পরিচয়ে উদ্ভাসীত হয়ে ঐক্যের বন্ধনে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ হতে হবে। স্বাকীয় জাতি পরিচয় স্বাতন্ত্র অক্ষুন্ন রেখেই মুসলিম উম্মাহর আত্মিক পরিচয় দৃঢ় করতে হবে। আচরনে কর্মে, বিশ্বাসে প্রকৃত মুসলিমের পরিচয় পরিস্ফুটনে মনোযোগী হতে হবে্ লোক দেখানোর জন্য নয়। আত্মজাগৃতির মাধ্যমে। রাসূলের সুন্নার প্রয়োজনে। সত্যের প্রকৃত রুপ চিত্রায়নে। ইসলাম কোন সউদ পরিবারের প্রতি আনুগত্যের ধর্ম নয়। বিশ্বাসের নাম নয়। এমন ভবিষ্যত আঁচ করেই কি মহানবী বিদায় হজ্বে সেই পবিত্র বাক্যাবলী বলে গেছিলেন? কোন আরব কোন অনারবের চেয়ে শ্রেষ্ট নয়, কোন অনারব আরবের চেয়ে শ্রেষ্ট নয় তাকওয়া ব্যতিত।
মুসলিমরা ফিরে আসুক তাদের প্রকৃত সত্য সুন্দর আর কল্যানের পথে। ই্বকরা হুকুম তামিল করে জ্ঞানের পথে। ভালবাসা আর প্রেম দেখানো রাসূলের প্রদর্শিত কোরআনের বর্ণিত প্রকৃত সত্য আর সুন্দরের পথে। শুভ এবং ক্যলানের জন্য তারাই আল্লাহর ঘোষিত প্রতিনিধি! কিন্তু সেই দায়, সেই দায়িত্ব বোধ সম্পন্ন মুসলিম কই।
আজ পরাশক্তিরা ক্ষমতা এবং লোভে ওয়ার অন টেররের নামে বিশ্বে যুদ্ধ এবং দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে রেখেছ। অথচ এই ওয়ার ফর পিস মুসলমানদের করার কথা। ন্যায় আর ইনসাফ প্রতিষ্ঠায়।

হত্যার বদলে হত্যা অনুমতি থাকলেও পরের লাইনেই ক্ষমার কথা বলা আছে। তাই আজ যদি প্রকৃতই জাগতে হয় জাগুন, জ্ঞানে! জাগুন প্রেমে। জাগুন নিজেদের মধ্যকার অনৈক্যের বিষবৃক্ষ উপড়াতে। কুসংস্কারে বিষবৃক্ষ উপড়াতে। জ্ঞান গবেষনায় নিজেদের বিলিয়ে দিয়ে। জাগুন আত্মপরিচয় আর আত্মতত্ত্বের সত্যে উদ্বাসিত হয়ে বিশ্বে মুসলিমদের মাথা উঁচু করার মিশনে। ব্যক্তি থেকেই শুরু যার সমাপ্তি হবে বিশ্বে মুসলিমদের মহত্ত্বের চর্চায় যেমনটি আগে ছিল রাসূলের আদর্শে আছে। শত্রুরাও মাথা নত করে বলতে বাধ্য হয়েছে- না মুহাম্মদ সত্য। বিরোধীতার খাতিরেই তারা বিরোধীতা বরেছে। সত্যকে অস্বীকার করতে পারেনি। আর মহানবী ভালবাসায় মানবতার জয়গান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন ইসলাম দিয়ে। মুসলিমরা কি পারবে প্রকটিসিং লাইফে সেই সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে? তবে আগামীর বিশ্ব তাদের অপেক্ষায়।

তথ্যসূত্র:
সংবাদপত্র
ইমনজুবায়ের ভায়ার ব্লগ
গুগল


সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:১৭
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×