somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সমশের
অসত্য, আমানবিকতার বিরুদ্ধে সমালোচনায় অপ্রতিরোধ্য। আস্তিক, তবে বাড়াবাড়ী অপছন্দ। কোমল, কিন্তু নৈতিকতার ক্ষেত্রে কঠোর। চাওয়া একটাই, প্রাণের জন্মভূমিটা হোক সুন্দর ও শান্তিময়। আনন্দে ভরে ঊঠুক সবার প্রান।

'ধর্ষনকান্ডে মহান সাধক কালা মানিকের সাক্ষাতকার' মহৎ কাজটিকে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান,নেত্রি থাকলে সুবিধা হয় বেশি,মাশাল্লাহ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি-মাহবুব সুয়েদ

২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জনাব মানিকুর রহমান মানিক।সচেতন নাগরিক মহল বিশেষকরে যারা আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রানের বাংলাদেশকে উদার গন-যৌনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান তাদের স্বপ্ন পুরুষ সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা এবং বিশিষ্ট সেঞ্চুরিয়ান জনাব মানিক সাহেব।পাঠক নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে আমাদের আজকের এই সম্মানিত সাক্ষাতকারদাতার পরিচয় বিস্তারিত দেয়ার আছে বলে মনে করিনা।জনাব মানিক,নানা নামে নানা গুনে মানুষ তাকে চেনে।বন্ধু-বান্ধবের কাছে তিনি 'কালা মানিক' ,ধর্ষনকান্ডের মত দু-সাধ্য ও মহান কাজে শতবার সফলতা লাভে দেশবাসীর কাছে তিনি 'সেঞ্চুরিয়ান মানিক' এবং ১৮-২৫ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যাল্যয়ে পড়ূয়া মেয়েদের কাছে তিনি 'বদমায়েশ মানিক' নামে বিশেষ পরিচিত।আজকের এই সাক্ষাতকারের শুরুতে তিনি তৃপ্তি ঢেকুর তুলে খোলামেলা অনেক কথা ই বলেছেন।পাঠক 'ব্লগ পত্রিকায়'দেয়া সাক্ষাতকার নিম্নে আমরা বিস্তারিত তুলে দিচ্ছি।সাক্ষাতকার গ্রহনে আছি আমি ব্লগার বিদ্রোহী শমসের।

=ব্লগ- জনাব মানিক কেমন আছেন আপনি?

-মানিক-ধন্যবাদ আপনাদের পত্রিকাকে।আমার সাক্ষাতকার নিচ্ছেন এই জন্যে।আমি আলহামদুলিল্লাহ খুবি ভাল আছি।শান্তি এবং তৃপ্তির সাথে বেচে আছি।

=ব্লগ- তৃপ্তির সাথে বেচে আছেন বললেন নিশ্চয় তার কোন বিশেষ কারন আছে?পাঠকদের জন্যে কই তা বলা যাবে?

-মানিক- জ্বী বলা যাবে অবশ্যি।লুকিয়ে চাপিয়ে রাখা বাঁ করার মত বদস্বভাবি আমি নই।আমি খোলামেলা এবং জনসম্মুখে প্রকাশ্যে ই সব করতে বাঁ বলতে অভ্যস্ত।দেখুন আজ থেকে একযুগ আগে আমি যেই কঠিন এবং অসাধারন সু-কর্মের সুচনা করেছিলাম আজ দেরিতে হলেও তা সফলতার মুখ দেখছে।

=ব্লগ-একটু বিস্তারিত বলুন প্লিজ।

-মানিক-দেখুন,আমি মানিক ছাত্র হিসেবে খুবি ভাল ছিলাম এবং প্রগতিশীল চেতনা লালন করতাম।এইচএসসি পাশ করে আমি মেধার বিকাশ ঘটিয়ে প্রতিযোগীতাপুর্ন পরিক্ষায় ঠিকে গিয়ে জাহাংগীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই।দেশের একমাত্র প্রগতিশীল আর উন্মুক্ত মনমানসিকতার সুচিকাগার জাবিতে ভর্তি হয়ে আমি যোগ দিলাম প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে।আমি ছিলাম বলতে পারেন নির্বাসিতা লেখিকা তসলিমা নাসরিন,লেখক হুমায়ুন আজাদ বাঁ সব্যসাচী লেখক সৈয়দ হকুর মানসপুত্র।কিন্তু আফসোস আমি ছাত্রলীগে যোগ দিয়ে এবং ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে দেখি হায় একি।এরা তো আমার স্বপ্নের সেই প্রগতিশীলতাকে লালন করেনা।স্বপ্নের বাংলাদেশকে আধুনিকতায় এবং বিশ্বায়নের উপযোগী করে গড়ে তুলতে যাযা করা দরকার এরা তা করেনা নিজেদের রাজনীতি আর পিঠ বাচাতে।বিশ্বাস করুন।এই চিন্তায় আমার ঘুম আসতনা।রাতে শুধু বিছানায় গড়াগড়ি খেতাম আর ভাবতাম কই করে এ থেকে উত্তরন করা যায়।কেউ একজনকে তো এগিয়ে আসা দরকার।আমি দেখলাম,আমারি এগিয়ে আসা উচিত সাহস করে।পাশ্চাত্য সভ্যতা আর আধুনিক যৌনতর যদি বিকাশ ঘটানো যায় তাইলে কেবল রাষ্ট্র একটি অসাম্প্রদায়িকের পাশাপাশি প্রগতিশীলতায় পুর্নতা পাবে।

=ব্লগ-তারপর কি করলেন?

-মানিক-আমি কথা বললাম আমার নেতার সাথে।তিনি দুই দীন সময় নিলেন ভাবলেন।অতঃপর আমায় একা ডেকে পাঠালেন।আমি দুরু দুরু বুকে গেলাম তার কক্ষে।তিনি বললেন মানিক দেখ।অসাম্প্রদায়িক বাংলা গড়তে দরকার ছিল 'ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের' আর বর্তমানে বাংলাদেশে তা বিদ্যমান।কিন্তু যৌন স্বাধিনতার ডাক দিলে মোল্লা গোস্টি লাফালাফি শুরু করে দেয়।তসলিমা আপা ডাক দিল জরায়ুর স্বাধিনতার দেখনা হুজুরেরা তখন কি করল?সিলেটের প্রিন্সিপাল হাবিব নামের এক হুজুর তার মাথার দাম নির্ধারন করে দিল।আহা বেচারি এখন নির্বাসনে।কাজেই আমি ভাবে দেশেছি শুধু চিন্তা করে লাভ নেই তোমার মত সাহসী ছেলের ডাইরেক্ট একশানে নেমে যাওয়া ই উচিত।সেই থেকে তো শুরু আর বাদবাকি তো আপনারা ই জানেন।খেকখেকখেক...

=ব্লগ-আপনার টার্গেট কই ছিল?

-মানিক- দেখুন আমি একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে ই এই কাজটি শুরু করেছিলাম।আমার টার্গেট ছিল আমি ধর্ষনকান্ডে সেঞ্চুরি করব তাইলে আজ না হোক কাল আরো অনেকে উতসাহিত হবে।সাহসী হবে।যৌনতায় বিপ্লব আসবে হয়ত কোন একদিন।আজ আমি সফল মনে হচ্ছে তাই তৃপ্তির হাসি হাসছি।

=ব্লগ-কি ভাবে সফল?

-মানিক- আজ আল্লাহর রহমতে গনতন্ত্রের মানসকন্যা আজ ক্ষমতায়।বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।আমরা আজ সারা বিশ্বে নিউ ডেমোক্রেটিক ফর্মোলা দিতে পেরেছি।এমেরিকাকে বাদ দিয়ে রাশিয়াকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।সকল মতবাদের বিকাশ এবং প্রকাশ হচ্ছে প্রকাশ্যে।দেখুন,আজ নাস্তিকেরা উন্মুক্তভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করছে যদিও আমি নাস্তিক নই আমি সেক্যুলার মুসলিম।এক কথায় গত কয়েক বছরে সমাজে সবস্থরে ই ব্যাপক স্বাধিনতা দেয়া হয়েছে শুধু আপনাদের ছাড়া।দেশের তরুন সমাজ বাঁ বখাটে সম্প্রদায় যাই বলুন তাদেরও তো অধিকার আছে তাইনা।তাছাড়া আমি মানিক একযুগ আগে যদি সেঞ্চুরি করতে পারি ওরা তাইলে কেন এর বিকাশে নিত্যনতুন রাস্তা বের করবেনা।ভারত যেহেতু আমাদের বড়ভাই তাদের অনুসরন আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব তাই হটাত আমাদের তরুন প্রজন্মের মনে আসল,যদি ভারতে যুবসম্প্রদায় চলন্ত বাসে যেকোন উর্বশী যুবতীকে একটু-আধটু আনন্দ দিয়ে তার গন্তব্যে পৌছিয়ে দিতে পারে তাইলে আমরা কেন পারবনা।আমার সাথে তাদের কয়জন গোপনে যোগাযোগ করল সাহস এবং প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে দোয়া চাইল।

=ব্লগ- আপনি কি করলেন?

--আমি তাদের দোয়া দিলাম।আল্লাহর শুক্কুর আদায় করলাম।তাদের বললাম দেখ তোমরা যে কাজে হাত দিচ্ছ তা করতে হবে সিকুয়েন্স মেইনটেইন করে।আপাতত তোমরা ইভটিজিংযের শুভসুচনা করতে পার।কথানুযায়ী তারা প্রায় বছর তিনেক আগে ইভটিজিং শুরু করে এবং এই প্রজেক্ট সফল হলে পরে তাদের বলি ২য় পর্ব অর্থ্যাত কোন অনুষ্টানে প্রকাশ্যে মেয়েদের কাপড় খুলে ফেলতে কারন এতে মেয়েরা আরো সাহসী হবে।সবশেষে তাদের ফাইন্যাল পর্ব অর্থাত দিল্লী থেরাপি এপ্লাই করতে বলি।আপনারা এখন যা দেখছেন তা একসুদুর প্রসারী পরিকল্পনার অংশ।অনেক বছর আগে আমি যা শুরু করেছিলাম তার সফল বাস্তবায়ন হচ্ছে।ইনশাল্লাহ!দেখবেন আগামীতে আরো ব্যাপকভাবে এর বিস্তার ঘটবে।

=ব্লগ-পরবর্তী প্ল্যান কি আপনাদের?

-দেখি যদি সবমহলের সহযোগীতা পাই তাইলে হয়ত ভবিষ্যতে জাতীয়ভাবে 'ধর্ষন উতসব' পালন করব।রাষ্ট্র বাঁ সরকারের শীর্ষস্থানীয়দের ও তাতে শামিলের ব্যাপক চেষ্টা করব।

=ব্লগ- তরুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।

-মানিক-তোমরা যারা আজ তরুন মনে রেখ তোমাদের মাজে ই লুকিয়ে আছে প্রতিভামালা।তোমাদের প্রতি আমার আহবান হচ্ছে,ধর্ষন একটি মহৎ কাজ।এর স্বাদ ই আলাদা।জোর করে কিছু করা বাঁ পাওয়ার যে কই আনন্দ তা আমি মানিক বুজি আর ৫ জানুয়ারি জোর করে ক্ষমতায় আসা আমার নেত্রি বুজে।কাজে ই তোমরা এগিয়ে যাও ধর্ষনকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দাও।গন-যৌন দুই দিকে ই এগিয়ে যাবে আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা।এগিয়ে এসো হে তরুন সমাজ।মনে রাখবে এখন শুধু তোমরা তরুনেরা ধর্ষন করছ কিন্তু একদিন এমন আসবে যেদিন আমাদের মেয়েরা এগিয়ে আসবে।তারা তোমাদের ধর্ষন করবে এবং তোমরা চাইলে অনেক সময় রাস্তায় গাড়ী দাড় করিয়ে তারা ই বলবে 'নো নিড টু ফোর্স কাম অন বেবি' ।

==ব্লগ= ধন্যবাদ আপনাকে মিঃ মানিক।

-মানিক= ধন্যবাদ আপনাকেও।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাইনারি চিন্তাভাবনা থেকে মুক্তি: পূর্ণাঙ্গ তুলনার ধারণা এবং এর গুরুত্ব

লিখেছেন মি. বিকেল, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩০



সাধারণত নির্দিষ্ট কোন বস্তু যা শুধুমাত্র পৃথিবীতে একটি বিদ্যমান তার তুলনা কারো সাথে করা যায় না। সেটিকে তুলনা করে বলা যায় না যে, এটা খারাপ বা ভালো। তুলনা তখন আসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×