পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করি।
এটা যদি আমি মানিয়া থাকি, তাহা হইলে, একাত্তুরের পাপীদের পাপকে নাকি পাপীদের ঘৃণা করিয়া থাকি?
আমার যদি কোনো নিকট আত্বীয় একাত্তুরে শহীদ হোত কোনো দেশদ্রোহীর হাতে, তাহা হইলে, আমি কি করিতাম?
আমার সামনে দুই প্রকারের উত্তর আছে ইহার।
এক: তাহাদের ঘৃণা করিব, তাহাদের বংশধরদের মুলোতপাটন আন্দোলোনে অংশ নিবো। ইহার উপকারীতা, প্রতিশোধ গ্রহণ। অপকারীতা: বিশৃংখলা।
দুই: পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করিতে পারি। উপকারীতা: মানুষ মানুষের জন্য, সত্যখানা প্রমাণ করা। তদুপরি, নিজেকে সমসাময়ীক আর ক্ষমাশীল করিয়া প্রস্তুত করা। গোবরে যদি পদ্মফুল ফুটিতে পারে, তাহা হইলে, পাপীর ঘরে সু-সন্তানও হইতে পারে।
আমি, দ্বিতীয় উত্তর নিজের মাঝে লালন করিতেছি। আমি শান্তিকামী। এবং অতি সাধারণ ঘরের অতি সাধারণ একজন মানুষ!
পাপকে জয় করিতে হইলে, পাপীকে ভালবাসিতে হইবে, ইহা আমার দূর্বলতা নয় বরং আমার শক্তি।
বিচার করিয়া দেখিয়াছি, ঘাতক আর কেউ নয়, আমার দেশের আর আমার নিজের ঘাতক আমি নিজেই। অপসংস্কৃতি লালন, পর-চর্চার বৃত্তে পরিক্রমণ, পাপীকে না ভালবেসে ঘৃণা করিতে করিতে আমার মজ্জাগত পরিবর্তনের শেষ সীমানায় আমি, নিজেই নিজের ঘাতক। পরিবর্তনের ধারক হইতে চাহিলে, সমাজসেবক এবং সংযমী হতে হয়।
একাত্তরের পাপী একবার পাপ করিয়া থাকিলে, তাহাদেরকে সমাজ সেবার সুযোগ দেয়া যাইতে পারে, যদি তাহারা তা করিয়া থাকে। আমি যদি অন্যায় না ভাবিয়া থাকি, তাহা হইলে, সিংহ প্রাণ বাংগালীদের একজন অন্ত:ত ভাবিয়া দেখুন!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




