একটু পিছনে ফিরে দেখি:
কিছুদিন আগে, প্রিয় নবী মুহাম্মদ ( সা: ) এর কার্টুন প্রকাশ পাওয়ার পরে, সমগ্র মুসলিম উম্মাহ ডেনমার্কের উপর ফুসে উঠেছিলো। কিন্তু ডেনমার্ক সরকার শুরুতে কিছুই গা করলো না, তারা বল্লো যে তাদের বাক স্বাধীণতা আছে। তখন, সারা মুসলিম জাহান সিদ্ধান্ত নিলো যে ডেনমার্কের বানিজ্যিক পণ্যসমুহ বর্জণ করা হবে। তখন গিয়ে ডেনমার্কের টনক নড়লো। তারা ক্ষমা চাইলো, সে যেকোনো ভাবেই হোকনা কেন।
ইজরায়েল হানা দিলো গাজার নিরিহ মানুষের উপর। আমাদের ভাই-বোনেদের, নিরিহ শিশুদের উপর তারা চালাচ্ছে নিশৃংস হত্যালীলা। বিশ্ময়কর হলেও এটা নিঠুরতম সত্য যে, কোনো মুসলিম দেশ এর সরাসরি অথবা কোনোভাবে তেমন প্রতিবাদ করছেনা, যেখানে, ভেনিজুয়েলা ইসরায়েলী দূতকে এরজন্য প্রত্যাখ্যান করেছে।
আমাদের উচিত ইসরায়েলকে বানিজ্যিক ভাবে কোনঠাসা করে ফেলা। কিন্তু এভাবে চিন্তা করলেও তাদেরকে কোনঠাসা করা কঠিন হবে। বস্তুত, তাদের প্রধাণ শক্তি হচ্ছে তাদের মদতদাতা, আমেরিকা। তাই, একের রশি ধরে আরেককেও ধরা উচিত। আমেরিকা ও ইসরায়েল উভয়ের পণ্যসমূহ আমরা বর্জন করতে পারি। হম, যদিও আমাদের অনেকভাবেই আমেরিকার কাছে হাত-পা বাধা, কিন্তু চেষ্টা করতে চাই। দেখতে চাই, কিছু করা যায় কিনা। তাদের এটা বুঝাতে চাই যে, তারা আমাদের ভাই-বোন ও শিশুর রক্তেই সম্রাজ্য গড়ছে না, তারা নিজেদের পতনের দ্বারও খুলছে। আসুন, তাদেরকে সেই পতনের দ্বার দেখাই।
ভেনিজুয়েলার ইসরায়েলী দুত প্রত্যাখ্যান
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




