বাংলা সাহিত্যের নক্ষত্রের বিদায় : কিছু শোকগাঁথা
২১ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের সাহিত্য তার সবচেয়ে বড় সম্পদটা হারাল গত বৃহস্পতিবার রাতে। হুমায়ুনের মৃত্যুতে মূলত একটা যুগ শেষ করল বাংলা সাহিত্য জগৎ। বাংলাদেশের সাহিত্যকে গত কয়েকদশক মাত্র একজনই কয়েক ধাপ উঁচুতে তুলে নিয়েছিলেন- তিনি হুমায়ুন আহমেদ। কলকাতা কেন্দ্রিক বাংলাসাহিত্যকে বিজ্ঞানমূখী করা, কল্পকাহিনী আর মিসির আলীর মতো বিশ্লেষণাত্মক লেখা বাংলাতে তার হাত ধরেই।মূলত: এই ক্ষেত্রগুলোতে তিনি বাংলাসাহিত্যে অদ্বিতীয় ছিলেন। যুব সমাজকে হিমু ক্রেজে আচ্ছন্ন করার মতো আর কি কিছু আছে বাংলা সাহিত্যে? অথবা যে সৃস্টিশীলতা ধরে মিসির আলীর সৃস্টি তার তুলনায় কি আছে বাংলায়? হুমায়ুনের নাটক বিপ্লবের কথা সবার জানা। কলকাতার মানুষ এন্টেনায় বুস্টার লাগাত বহুব্রীহি দেখার জন্য এটাও পুরান খবর। উপন্যাসিক সুনীল লিখেছেন হুমায়ুন শুধু এপার বাংলা নন ওপার বাংলায়ও সমান জনপ্রিয় ছিলেন, দেশ পত্রিকা টানা দশ বছর পুজা সংখ্যায় তার লেখা ছাপিয়েছে যেটা বাংলা সাহিত্যের যেকোন লেখকের জন্যই রেকর্ড।আমি ছোট বেলায় ভাবতাম হুমায়ুনের নোবেল পাওয়া সময়ের ব্যাপার। রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত নোবেল হয়তো তিনি পাননি তবু বাংলার মানুষের হৃদয় তার মত কেউ আর জয় করতে পারেনি।
বাংলাদেশের সাহিত্যকে টেনে নেয়া মানুষটা আজ নেই। বইমেলার ভীড়গুলো হয়ত হাল্কা হতে শুরু করবে সামনে বছর থেকেই। চলে গেছে নক্ষত্র তার আলো দিয়ে ভাসিয়ে বাংলার মানুষকে, চলে গেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সবচেয়ে বড় রত্নটি-বিদায় প্রিয় লেখক, বিদায় হুমায়ুন আহমেদ।
(গতকাল থেকেই ভাবছিলাম কিছু লিখি তাকে নিয়ে, আর কারও না শুধু নিজের জন্য, যে অসামান্য প্রভাব তিনি আমার উপর রেখেছেন তার জন্য, কিন্ত বারবার মন বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে, শব্দগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে। তাকে নিয়ে আমার আগের লেখাটি বাংলা সাহিত্য ও হুমায়ুন আহমেদ................. )
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লিখেছেন
ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।...
...বাকিটুকু পড়ুন
মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন...
...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল...
...বাকিটুকু পড়ুন

জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি...
...বাকিটুকু পড়ুনলিখেছেন
এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন