অনেক দিন থেকে ভাবছিল রাবেয়া তার কথা কাউকে বলবে কিন্তু বলতে পারি না্ই। কি এক জানা ভয় মনের ভিতর চেপে বসেছে ।কি বলবে আর কেউ যদি অন্য কিছু মনে করে ।তাহলে তো লজ্জায় মরে যেতে ্ইচ্ছে করবে। কিন্তু না বলেও যে ভাল থাকতে পারচ্ছে না ।সারাক্ষণ মনের সাথে যুদ্ধ করে চলতে হয়। এটা এতটা্ই বিরক্তকর হয়ে উঠে যে নিজেকে বার বার শেস করে ফেলতে চেয়েছিল ,পারি নি। কি এক মায়া বেঁধে রেখেছে তা রাবেয়া নিজেই জানে না। এপৃথিবীতে রাবেয়া ভালবাসা কারে কয় তা শিখেছে তার বাবার কা্ছ থেকে ।তার চারিপাশ ছিল বাবাকে ঘিরে ।ভাললাগা মন্দ লাগা ,যত আবদার থাকতো তাও বাবাকে নিয়ে।বাবার কাছ থেকে যতদুরে থাকুক না কেন ?একদিন কথা না বলে বাবা মেয়ের মধ্যে চলে অভিমান ।সে অভিমান ভাঙতে আপু ভাইয়াদের কত অনুরোধ।আজ যেন তা ফিকে মনে হচ্ছে। কখনো সে বড় কিংবা ছোটদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে বলে মনে হয়নি । বরং সে ছোটদের কে যা চেয়েছে তা দিবার চেষ্টা করেছে। যাতে করে তার মত বড়দের কাছ থেকে না পাবার কথা বুঝতে না পারে।
সারাক্ষণ মনের সাথে যুদ্ধ করে একদিন হঠাৎ করে বাবার কাছে গিয়ে হাজির ।বাবাকে আজ বলবে তার মনে কথা।কারন সে কখনো বাবার কাছে মিথ্যা কথা বলি না্ই।বলবেই বা কি করে বাবা তো সবকিছুকে খোলামেলা আলোচনা করেছে আমাদের সাথে । কখনো কোন বিষয় নিয়েই সন্দেহ করেনি।বাবা সবার কথাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে শোনতেন।রাতে খাবারে পর বসে আছি উঠানে চেয়ার পেতে ।পাশে বাবা এসে বসলেন নানা কথা হল এরই মাঝে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন আমার জীবনে কি কারোর প্রতি ভাললাগার মতো কেউ কিছু এসেছে কি না। আমি আর না বলি নি । আমার নতুন জীবনের কথা বলেছি কিন্তু তার পরিচয়টা বলতে পারি নাই । কেন বলতে পারি নাই সেটা আজো আমাকে ভাবা্ই । আসলে কি আমি যা কে নতুন ভাবে জীবনের সাথে মিলাতে চেয়েছি সে কি অমার মত চিন্তা করে কি ? না সে শুধু তা জীবনের প্রয়োজনে কথা ভেবে আমার সাথে মেশে বুঝিতে পারি না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




