বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি অবৈধ মোবাইল সিমের ব্যবহার বন্ধের জন্য বায়োমেট্রিক (ব্যবহারকারীর আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া) পদ্ধতির কার্যক্রম শুরু করেছে।কিন্তু আমি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ দ্বিমত,তার কারণ সমূহ নিম্নে আলোচনা করছি।
যারা সচেতন নাগরিক তারা এর আগে নিজেদের জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে সিম নিবন্ধন সম্পূর্ণ করেছিলো।আর এই পরিচয় পত্রে ব্যাক্তির সম্পূর্ণ ঠিকানা রয়েছে এমনকি সেখানে আঙ্গুলের ছাপও রয়েছে।তবুও কেন এবং কিভাবে একটি পরিচয় পত্র দিয়ে ১৬০০০ (খবর প্রকাশিত) সিম নিবন্ধিত হলো?
সিম অপারেটর কোম্পানিগুলো যদি সেই সময় এমন একটা পদ্ধতি ব্যবহার করত যে একটি পরিচয় পত্র দিয়ে ১০টার বেশী সিম নিবন্ধন করা যাবে না তাহলে এই সমস্যাটা হতো না।
প্রযুক্তি আজকে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে,নির্বাচন কমিশনের সাথে চুক্তি করে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে সয়ংক্রিয় ভাবেই এটা করা যেত।যাতে করে একই পরিচয় পত্র দিয়ে ১০টার বেশী সিম নিবন্ধন করা যাবে না।অর্থ্যাৎ ১১ নাম্বার সিমটি নিবন্ধন করার সময় নিবন্ধনকারকের নিকট তথ্য চলে আসবে যে এই পরিচয় পত্র দিয়ে ইতিমধ্যেই ১০টি সিম নিবন্ধন হয়েছে।ব্যাস,ঝামেলা শেষ।
কিন্তু সরকার আগে সেইদিকে না যেয়ে এখন আবার জনগণকে ডাবল করে নিবন্ধন করাচ্ছে,তাও সেটা আবার ফুটপাতের দোকানে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার মাধ্যমে।
মানুষকে চিহ্নিত করার প্রধান মাধ্যম এই আঙ্গুলের ছাপ ব্যাক্তির সম্পূর্ণ নিজেস্ব গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি,সেই সম্পত্তি কেন আমি একজন ফুটপাতের দোকানে দিয়ে আসবো???এটা একমাত্র রাষ্ট তার সংগ্রহে রাখতে পারে তবুও কাউকে সরবরাহ করবে না এই অঙ্গিকারে।
যে দেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ব্যাক্তির মোবাইল নাম্বার বিক্রি হয়ে থাকে সে দেশে যে আঙ্গুলের ছাপ বিক্রি হবে না এই নিশ্চয়তা কে দিতে পারে???সেই ফুটপাতের দোকানদার আপনার আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষন করছে না সেই নিশ্চয়তা আপনি দিতে পারবেন???
এখন নাম্বার বিক্রি করার একটা উদাহরণ দিচ্ছি।
আমি আমার ছোট ভাইকে কলেজে ভর্তি করার জন্য অনলাইনে আবেদন করি এবং সেখানে তার ফোন নাম্বার দিতে হয়।কিন্তু বিভিন্ন প্রাইভেট কলেজ থেকে আমার ভাইয়ের নাম্বারেই কিভাবে তাদের কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য অফার আসে?অনলাইনে যারা যে নাম্বার দিয়ে আবেদন করেছে,ঐসব নাম্বারেই এই ম্যাসেজগুলো আসে।এই ফোন নাম্বার ঐসকল প্রাইভেট প্রতিষ্টানকে কে দিয়েছে?
উত্তর জানা থাকলে দিয়ে যাবেন।