"সুখ বা শোক দিবস দুটোই এখন বানিজ্যিক হায়েনার খাদ্য, আর ১৬ই ডিসেম্বর বা একুশে ফেব্রুয়ারি; সবই ফুরফুরে “হলিডে”। কনসার্ট, কনফারেন্স, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, এমনকি, এমনকি সংসদ অধিবেশন; সব এখন “স্পনসর্ড”! সার্বজনীন পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে লাখ টাকার আতশবাজি ফুটে; আর সেই একই অনুষ্ঠানে গলায় প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে ভিক্ষা করে একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা।
যে মানচিত্রের সীমানা লাখো শহীদের রক্তের কালিতে আঁকা, সে সীমানায় আজো রক্ত ঝড়ে। যে সার্বভৌমত্বের বড়াই করে বলি “আমরা বাংলাদেশী”; সেই সার্বভৌমত্ব কেনা-বেচা হয় আন্তর্জাতিক মীমাংসার টেবিলে। “কূট”এর সংগে “নীতি”যায়না বলেই বোধ হয়, কূটনীতি না বলে সবাই “ডিপ্লোমেসি” বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আর, আর প্রতিনিয়ত নিজের সাথে প্রতারনা করা জনগন বোঝেনা যে পাঁচ বছর পর-পর তারা একই ভুল করে। থোড়-বড়ি-খাড়া আর খাড়া-বড়ি-থোড়; বার বার খাল কেটে কুমির আনা কবে, কবে শেষ হবে তোর?"
(দেশ মাতার কাছে চিঠি- শহরতলি)