নিলয় নীল হত্যাকাণ্ডের
ব্যাপারে পুলিশ অন্ধকারে
হাতড়াচ্ছে ৷ প্রকৃত হত্যাকারীরা
ধরাছোঁয়ার বাইরে ৷ অথচ পুলিশ পরপর
দুইবার রিমান্ডে দিয়েছে ব্লগার
আসিফ মহীউদ্দিন হত্যা চেষ্টা
মামলার আসামি কারাগার থেকে
জামিনে মুক্তি পাওয়া
রানা এবং নািহনকে ৷
*** এখানে প্রশ্ন উঠে, বাংলাদেশের
গোয়েন্দা সংস্থা কি এতই দূর্বল ও অক্ষম?
নাকি হত্যাকারীরা এতই সংগঠিত,
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং কৌশলী যে
গোয়েন্দা বিভাগকে তাদের কাছ
থেকে দীক্ষা--- ৷
একজনের হত্যারহস্যের তদন্ত শেষ করতে
না করতেই যদি আরেকজন খুন হয়, তখন
স্বভাবতঃই পূর্বের হত্যাকান্ডটি গৌণ
হয়ে যায় ৷
২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আলকায়েদা
প্রধান আইমান আল-জাওয়াহিরি এক
অনলাইন ভিডিও বার্তায় ভারতীয়
উপমহাদেশে নতুন শাখা খুলে আল
কায়েদার কার্যক্রম শুরু ঘোষণা দেন ৷
যা আসিম ওমরের নেতৃত্বে পরিচালিত
হবে। ভিডিওটিতে আলকায়েদার নতুন
এই শাখার টার্গেট হিসেবে ঘোষণা
করা হয় বাংলাদেশ, মায়ানমার ও
ভারতের আসাম, গুজরাট, কাশ্মির
রাজ্যের কথা। ভিডিওতে
উপমহাদেশীয় মুসলিমদের প্রতি
আলকায়েদার যোদ্ধাদের সহায়তার
আহ্বান জানান ৷ ২০১৪ সালের
সেপ্টেম্বর মাসে দেশী-বিদেশী বহু
পত্রিকায় এ সংবাদটি প্রকাশিত
হয়েছিল ৷
এরপরই, ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যার
দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদার
ভারতীয় উপমহাদেশের শাখা।
৩ মে ২০১৫ ইং - কালেরকণ্ঠ পত্রিকায় এ
সংবাদ উল্লেখ করা হয় ৷ এতে বলা হয়,
"গতকাল শনিবার জিহাদি ফোরামে
পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এ দাবি
করেন আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা
আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব
কন্টিনেন্ট (একিউআইএস)-এর নেতা
অসীম উমর।
এসআইটিই জানায়, ভিডিওতে
একিউআইএসের নেতা অসীম উমর
বলেছেন, তাঁর সংগঠনই অভিজিতের
ওপর হামলা চালিয়েছে। তিনি অন্য
ধর্মদ্রোহীদের হত্যার কথাও বলেছেন ৷ "
যদিও বাংলাদেশ এবং আমেরিকান
সরকার আলকায়দার সংশ্লিষ্টার
বিষয়টি এড়ানোর বা অস্বীকার করার
চেষ্টা করেছিল ৷
অন্যদিকে, ব্লগার নিলয় খুন হওয়ার
কিছুক্ষণ পরই ansar.al.islam.bd @gmail. com
ইমেইল ঠিকানা থেকে গণমাধ্যমে
পাঠানো এক বিবৃতিতে
হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে
আল কায়েদা ৷
৭আগষ্ট, ২০১৫ ইং 'বাংলা ট্রিবিউন' এ
'নিলয় হত্যার দায় স্বীকার আল
কায়েদার' শিরোনামে সংবাদটি
প্রচারিত হয় ৷ মেইলটিতে বলা হয়,
“আনসার আল ইসলাম (আল কায়েদা
ভারতীয় উপমহাদেশ, বাংলাদেশ
শাখা) এর মুজাহিদিনরা হামলা
চালিয়ে আল্লাহ তা'আলা ও তার
রাসুলের দুশমন নিলয় চৌধুরীকে হত্যা
করেছেন। শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে
ওই অপারেশন সম্পন্ন হয়।”
এতে আরও বলা হয়, 'আল্লাহর রাসুলের
সম্মান রক্ষার্থে প্রতিশোধমূলক ওই
হামলা চালানো হয়েছে।'
বিবৃতিতে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ' আমরা
আল্লাহ ও তার রাসুলের নিকৃষ্টতম
দুশমনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি।
আমরা এদের ও তাদের সঙ্গীদের ধ্বংস
করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবো। হে
মুসলিম উম্মাহ আমরা আপনাদের
নিশ্চয়তা দিচ্ছি যতক্ষণ পর্যন্ত এই
সন্তানদের ধমনীতের রক্ত প্রবাহিত
হতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ ও
তার রাসুলের শত্রুদের ওপর হামলা
চলতেই থাকবে।’
বিবৃতিতের শেষে বলা হয়, 'যদি
তোমাদের বাক স্বাধীনতা কোনও
সীমানা না মানতে প্রস্তুত থাকে,
তবে তোমাদের হৃদয় যেন আমাদের
চাপাতির স্বাধীনতার জন্য উন্মুক্ত
থাকে।'
*** সরকার কেন আল কায়দার বিষয়টি
চেপে যাচ্ছে তা বোধগম্য নয় ৷***