somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এন ইডিয়ট ইন ম্যারিজ!!! (দুই)

২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
(ডিচক্লেইমারঃ এই সিরিজের পোস্টগুলা শুধু বিনুদনের জন্য! জিন্দা কিম্বা মুর্দা কারুর সাথে কাহিনী মিল্লা গেলে কেউ দায়ী নহে!!!)
আগের কাহিনীর পর...



একঃ একদিন একটা ম্যাচ হইল। সুন্দরি নক দিয়া হাই হ্যালো কইল। আমিতো পজিটিভলি সারপ্রাইজড! সুন্দরিরা ইউজুয়ালি নক দ্যায় না। আমিও হাই হ্যালো দিলাম। কথায় কথায় শুনলাম যে সুন্দরি নাকি আইওয়া স্টেট ইউনিভারসিটিতে মাস্টার্স করতেছে। কুয়েট থেইকা পড়াশুনা করছে। স্কলারশিপ নিয়া আসছে। এখন বিয়া করার জন্য পাত্র খুজতেছে। আমি বুঝলাম হুম… সুন্দরির গ্রিন কার্ড লাগবে। এইজন্য পাত্র খুজতেছে। সুন্দরি আহামরি তেমন সুন্দরি ছিল নাহ। বাট এইখানে আমার কুন সমস্যা নাই, মানুষ ভাল হইলে সমস্যা কি?

চ্যাট করলাম দুই-তিন্দিন। এর মধ্যে আমি সুন্দরিরে স্টক করতে করতে ম্যালা সময় নষ্ট কইরা দিছি। চ্যাটের বিটস এন্ড পিসেস অফ ইনফো আর প্রোফাইলের ইনফো দিয়া আমি আমি তার সোশ্যাল মিডিয়া থেইকা একাডেমিক প্রোফাইল সহ আর অনেক কিছু বাইর কইরা ফালাইছিলাম। সুন্দরির কিছু একাডেমিক পাব্লিশড পেপারও ছিল। স্মার্ট মাইয়া! তখন আমার মনে হইছে আর যাই হোক, স্টকিংটা ভালোই করতে পারি!

ব্যাপারটা হইল যে যেহেতু এই প্রোফাইলগুলা অনলাইন থেকে পাওয়া, একটা সারটেইন লেভেলের ডিঊ-ডিলিজেন্স করাটা আসলে দরকার। তাছাড়া, এমনও তো হইতে পারে আমি একচ্যুয়ালি একটা বটের সাথে চ্যাট করতেছি। যাইহোক, একদিন দেখি সুন্দরি আর রেস্পন্ড করে না…। সপ্তাহখানেক পরে দেখি এক সপ্তাহ থেইকা লগিন করে নাই। ধইরা নিলাম গন কেইস। আমার এক মাস অপেক্ষা করার মত ধৈর্য নাই। তারপর আগের বরাবরের মতই তাড়াতাড়ি কইরা আন্ম্যাচ দিয়া নিজের ইগোর ল্যাঞ্জা সেভ করলাম!!!

দুইঃ একদিন এক ভার্জিনিয়ার এক সুন্দরির সাথে ম্যাচ হইল। সুন্দরিরে দেইখাই পছন্দ!!! প্রোফাইল ঘাইটা আরও বেশি পছন্দ। সুপার স্মার্ট(একাডেমিক্যালি)!!! ইন্টারন্যাশন্যাল রিলেশন নিয়া আম্রিকার একটা টপ ইউনিভার্সিটিতে এম এস করতেছে। এগেইন সুন্দরির উপর ফুল স্টকিং দিলাম পরের দিন। দেখলাম সুন্দরির ফ্যামিলি ইন্টিমিডেটিং। বাপে কোন এক হাসপাতালের ডিরেক্টর। এইখানকার আর বাংলাদেশের পাওয়ার-ব্রোকারদের সাথে তাদের দহরম- মহরম (মিলিটারি সহ)। এই সুন্দরির সাথে বিয়া হইলে আমার ঘরজামাই থাকা লাগবে এমন অবস্তা। নিজেই রিচ আউট করলাম সুন্দরি কিছু কয় না দেইখা। দেখি… অকি…। সুন্দরি যখন কথা বলে তখন মনে হয় তার চ্যাট থেইকা অ্যাগুণের ফুল্কি বাইর হইতেছে!!! কথা কইয়া ব্যাফুক বিনুদন পাইলাম। দুই-তিন্দিন কথা কইয়া কইলাম ফুন নাম্বার এক্সচেঞ্জ করি? সুন্দরি কয় অক্কে সময় হইলে করমু। দুইদিন পর দেখি সুন্দরি আমারে আন্ম্যাচ কইরা দিছে!!! এইটা ঠিক যে এই সুন্দরি খাঁচার পাখি ছিল না… সি ওয়াজ এ ডিফারেন্ট ব্রিড। শি উইল গো ফার। ভালোই হইছে ব্যাপারটা। সুন্দরির মেন্টাল ক্যাপাসিটির সাথে ম্যাচ করা আমার জন্য দুরূহ হইয়া যাইত।সি ওয়াজ এ সামুরাই!!!


তিনঃ এইটা একটা এক্সিডেন্ট। আমার প্যারামিটারের বাইরে। আমি এক্সপ্লিসিটলি ফিল্টার সেট করছিলাম যে এপটা যেন আমারে শুধুমাত্র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আম্রিকান/ব্রিটিশ সুন্দরিই দেখায়। কিন্তু প্রিমিয়াম ফিচার থাকার সুবাদে আমি দেখতাম যে আমারে কে কে “লাইক” দিছে। একদিন দেখলাম যে এক সাদা সুন্দরি লাইক দিছে। প্রোফাইল লাইড়াচাইড়া দেখি সুন্দরি আমার এলাকাতেই থাকে। দেখলাম সুন্দরি নাকি আবার মুসলমান।

কিউরিয়াস হইয়া আমিও “লাইক”টা দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখলাম সুন্দরি নক দিছে। কিছুক্ষণ চ্যাট কইরা জানলাম যে সুন্দরি নাকি রিভারট/নওমুসলিম। সুপার ধার্মিক। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমারে বয়ান দেওয়া শুরু কইরা দিল!!! আমি তো অবাক হইয়া খালি হু-হ্যা রিস্পন্ড করতেছি। ওইদিন রাইতে সুন্দরিরে সেই লেভেলের অনলাইন ষ্টক দিলাম। সোশ্যাল মিডিয়া খুইজা পাইতে একটু সময় লাগছে বাট, একবার যখন ফুল নাম পাইয়া গেছি, তক্ষণ বাকী সবকিছু বানের পানির মত বাইর হওয়া শুরু হইল। দেখলাম সুন্দরি মোটেও তেমন ধার্মিক নাহ। শি ওয়াজ ডিফারেন্ট। এট লিস্ট এইটা জানলাম যে, সুন্দরী একটা রিয়াল একজন পারসন, বট না।

তারপরেরদিন চ্যাট করার সময় জীগাইলাম, যে সে ধার্মিক কবে থেকে? উত্তরে জানাইল প্রায় তিন মাস। আর কিছু জিগানোর আগেই সে কইল সে একটা অনেক ডিফারেন্ট লাইফ লাইফ লিড করছে। শি ডিড থিংস এন্ড স্টাফ। আমিও ক থেইকা কলিকাতা বুইঝা লাইলাম। আমার ক্যাল্কুলেশন কইতেছে সুন্দরি রিসেন্টলি একটা মেজর শক খাইছে কোথাও। হইতে পারে পিরিতের ছ্যাকা অথবা সামথিং উওরস। আর এখন সেই শক কাটাইয়া উঠতেছে। অনেকে খারাপ কিছু কইরা বসে এইরকম পয়েন্টে আইসা। সুন্দরি একটা পজিটিভ সাইড ধরছে ব্যাপারটা নাইস। (আই কুড বি টোটালি রং)।

আমার ব্যাপার হইল সাদা মাইয়া বিয়া করাটা একটা মেজর রিস্ক হইয়া যাবে আমার জন্য। ফ্যামিলি মেইন্টেইন করতে অনেক প্যারা নেওয়া লাগবে। আর এই সুন্দরির মাইন্ড চেইঞ্জ হইতে বেশি সময় লাগার কথা নাহ। আমি ভাগার রাস্তা খুঁজা শুরু করলাম।

আমি চাইলেই আন্ম্যাচ কইরা দিলেই ল্যাঠা চুইকা যাইত মাগার চিন্তা করলাম ব্যাপারটা নাইস্লি করা উচিত। অজুহাতও পাইলাম একটা, সুন্দরির প্রোফাইলে আছে সে আমার থেইকা বেশি লম্বা!!! আমি তারে কইলাম এইটা হইত না, তুমি আমার থেইকা বেশি লম্বা। আমি আর তোমার সময় নষ্ট করতাম চাই না। তোমারে গুড লাক!!! তবে এইটা ঠিক যে সুন্দরি আমার কাছ থেইকা কোনকিছু হাইড করার চেষ্টা করে নাই। আমি অনেস্টি অনেক লাইক করি ব্যাপারটা যতটা খারাপই হোক না কেন। এন্ড অফ দিস সুন্দরি।

(চলতে থাকপে...।)

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৪
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×