somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এন ইডিয়ট ইন ম্যারিজ!!! (ছয়)

১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
(ডিচক্লেইমারঃ এই সিরিজের পোস্টগুলা শুধু বিনুদনের জন্য! জিন্দা কিম্বা মুর্দা কারুর সাথে কাহিনী মিল্লা গেলে কেউ দায়ী নহে!!!


আগের কাহিনীর পর...
আগের দুইটা রাস্তা আসলে কখনওই সিরিয়াস লেভেলের ছিল না। কিছুটা ফর্মালিটি টাইপের ছিল। কিন্তু আমি রাস্তা দুইটায় টিক চিহ্ন দিয়া দিলাম কারণ হইল যে বিয়ের পনের-বিশ বছর পরে যখন মিডলাইফ ক্রাইসিস হিট করবে তখন যদি কখনো মনে হয় আম্রিকায় সুন্দরি খুইজা দেখলে মনে হয় লাইফটা একটু অন্যরকম হইতে পারত। এট লিস্ট আমি যেন নিজেরে এইটা বলতে পারি যে চেষ্টা কইরা দেকছিলাম তো। নো রিগ্রেটস!!!

লাস্ট আর ফাইনাল রাস্তা ছিল বাংলাদেশে যাইয়া কারো গার্লফ্রেন্ডরে বিয়া করা। যেহেতু নিজের ছিল না তাই আরেকজনের গার্লফ্রেন্ডই ভরসা!!! আমার যেই প্যারামিটার গুলা ছিল ওইগুলা ম্যাচ কইরা সুন্দরি কারো গার্লফ্রেন্ড হবে না ব্যাপারটা “এক্সট্রিম্লি আনলাইকলি”।

বাড়ি থেকে আমার কাছে জানতে চাইল আমার কোথাও পছন্দ আছে নাকি? আমার না-বাচক উত্তর মনে হয় তাদের পছন্দ হয় নাই। বাড়িতে মনে হয় করছিল এইটা কুন কোথা হইল? ছেলে এত বছর আম্রিকা থাকে আর কোথাও পছন্দ নাই এইডা কোন কোথা হইল? মনে হয় মিছা কোথা কইতেছে। মাল্টিপল টাইমস জিজ্ঞাসা কইরাও কুনো সুবিধাজনক উত্তর না পাইয়া অফ গ্যাছিল আরকি।

যাইহোক, শেষ পর্যন্ত আমারে জিগাইল যে কি টাইপের সুন্দরি আমার পছন্দ। এইটা তো এম্বুশ প্রশ্ন। আমি কি এই প্রশ্নের উত্তর জানি নাকি? যাইহোক ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা কইরা কইরা চারটা প্যারামিটার বাইর কইরা দিছিলাম।

প্যারামিটার গুলা ছিলঃ
সুন্দরি গ্রেটার দিনাজপুরের হইতে হবে।
বেশি বাইরের সুন্দরি হইলে আমার ফ্যামিলির সাথে কালচারাল ডিফারেন্সটা একটু বেশি হইয়া যাবে। ফ্যামিলি ম্যাচ হবে নাহ।
সুন্দরির ফ্যামিলি আমার ফ্যামিলির কাছাকাছি হওয়া লাগবে।
এইটাও ফ্যামিলি ডাইনামিকস। ফ্যামিলি ডাইনামিকস ম্যাচ না হইলে কপালে শনি থাকবে। বাকি জীবন ভুগা লাগবে। তাছাড়া মন্ত্রী-মিনিস্টারের বেটিরে বিয়া করলে, ডিগনিটি লইয়া থাকা কঠিন হইয়া যাইতে পারে।
ব্যাচেলর কমপ্লিট থাকা লাগবে।
এইটা মূলত মেন্টাল ম্যাচ্যুইরিটির ব্যাপার। এর চেয়ে কমে বিয়ে করলে সুন্দরির লাইফ এক্সপেরিয়েন্স, ম্যাচ্যুইরিটির দিক দিয়া ম্যালা পিছাইয়া থাকার সম্ভাবনা বেশি। সুন্দরির রিয়ালিটি বোঝা লাগবে। এর মানে এই না যে ব্যাচেলর কমপ্লিট থাকলেই ম্যাচিউর হবে, আমি উল্টাটাও ম্যালা দেকছি। তাছাড়া বাংলাদেশ থেইকা কমপ্লিট না কইরা আসলে এইখানে আইসা করা খুব কঠিন হইয়া যাবে (নেয়ার ইম্পসিবল)। মোটামুটি ছাত্রী হইলে এই দুঃখটা সারা জীবন থাইকা যাইতে পারে।
সৌন্দর্য এভারেজ বা তার নিচে না হইলেই চলবে।
এইটা আর কি কইতাম!!!

বাড়িতে প্যারামিটারগুলা দিয়া কইলাম এইগুলার মধ্যে পাইলে, আর তোমাদের কোন সমস্যা না থাকলে তারপর আমারে জানাইও। আমি কিছুদিন কথাবার্তা কইয়া ফাইনাল ডিসিশন দিমু। ইনিশিয়াল স্ক্রিনিংএর কাজটা আগে থেকে করা থাকলে আমার কাজ কইমা যাবে। আর একটা ব্যাপার হইল, আমি হইলাম বাড়ির বড় ছেলে, আমার বিয়া নিয়া বাড়ির লোকজনের কিছুটা আশা-ভরসা থাকবে এইটাই স্বাভাবিক। ওরাও একটু মাথা ঘামাক। প্যারা খাক। আমার কয়েক ফ্রেন্ডের বাড়ীর লোকজন নাকি ওদের জন্য সুন্দরি দেখতে দেখতে মহাবিরক্ত! তাছাড়া এই ব্যাপারগুলায় এক্সপেরিয়েন্সড মাথার দরকার আছে। আমরা পোলাপাইন মানুষ কি করতে যাইয়া কি কইরা ফালাই তার কোন ঠিক নাই।

যাইহোক সপ্তাহখানেকের মধ্যেই শুনলাম যে বিয়া করতে গেলে নাকি বায়ো-ডাটা লাগবে। আমি তো পড়লাম মহা ফ্যাসাদে। বায়ো-ডাটা কি জিনিস এইটা উপ্রে উপ্রে জানি। কিন্তু বিয়া করতে যে বায়ো-ডাটাতে কি কি জিনিস দেওয়া লাগে সেই ব্যাপারটা তো জানি না। আমার ছোট ভাইরে কইলাম যে আমারে একটা স্যাম্পল দেওয়া লাগবে।

আমি স্যাম্পল পাইলাম আমার এক মামার বায়ো-ডাটা’র। এর মধ্যে আমার কাছে এক সুন্দরির বায়ো-ডাটাও জমা পড়ল। দুইটা স্যাম্পল রিভিউ কইরা সুন্দরিরটা ফলো কইরা একটা বায়ো-ডাটা বানাইয়া দিয়া দিলাম আমার ছোট ভাইরে।

যাইহোক এইবার সুন্দরিদের সম্পর্কে দুইএকটা কথা না কইলেই না।
আমার স্ট্রাটেজি ছিল সুন্দরিদের সাথে কয়েকদিন কথা বইলা ভাইব’টা বোঝার চেষ্টা করব। আমি সুন্দরিদের সাথে কথা বইলা তাদের মনের কথা বুঝতে পারার ব্যাপারে ব্যাফুক কনফিডেন্ট ছিলাম। মনে করছিলাম, সুন্দরিদের সাথে কথা কইয়াই অন্দরের খবর বাইর কইরা লাইতে পারমু! কিন্তু পরে দেখা যাবে, আই অয়াজ ডেড রং। আর একটা কথা না বলেই না, এইখানে শুধু ওই সুন্দরিদের ব্যাপারে লিখমু যাদের সাথে আমার পারসোনাল ইন্ট্যারাকশন হইছিল।

(চলতে থাকপে...।)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১৮
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×