somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এন ইডিয়ট ইন ম্যারিজ!!! (এগার)

২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
(ডিচক্লেইমারঃ এই সিরিজের পোস্টগুলা শুধু বিনুদনের জন্য! জিন্দা কিম্বা মুর্দা কারুর সাথে কাহিনী মিল্লা গেলে কেউ দায়ী নহে!!!


আগের কাহিনীর পর...
সুন্দরি চালাক আছে, কয় এক টাকা দেনমোহর দিয়া বিয়া করতে আমার কুনো সমস্যা নাই। সুন্দরি মনে করছে যে আমি জোক করতেছিলাম। সে নাকি কার কার সাথে ডিসকাস করছে, ওরা নাকি বলছে যা আমি তারে টেস্ট করতেছি! ব্যাপারটা সেইরকম ছিল না মোটেও, আমি লিটারালি এক টাকা দেনমোহর দিয়া বিয়া করতাম! এট লিস্ট চাপাচাপি করতাম। কেউ কিছু কইলে কইতাম সুন্দরিরে আগেই রাজি করাইছি!!!

সুন্দরিরা নতুন বাসা বানাইতেছিল বাড়িতে। এইটা একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার দেশে। বাংলাদেশে ছেলেমানুষেরা এই ব্যাপারটার জন্য চাইলেও বিয়া করতে পারে না। একটা নতুন চাকুরী শুরু কইরা বাসা বানাইতে কমপক্ষে দুই-তিন বছর লাইগা যায়। চাকরি হইতে হইতে তো বেশ ম্যালাদিন চইলা যায়। গুজব আছে যে এইজন্য নাকি কোন কোন ছেলেরা ফ্রাস্ট্রেটেড হইয়া ডাবল বেড্রে করাত দিয়া কাইটা সেঙ্গেল বানাইয়া দ্যায়। আমার অবশ্য এই ব্যাপারে কোন মাথাব্যাথা ছিল না। আমার রুম বাড়ীতে পইড়াই থাকে। আর আমি বাড়ী বানাইতাম এইখানে। সুন্দরির বাপের বাড়ী দিয়া আমি কি করতাম? সে তো আমাদের বাড়ীতেও বেশি দিন থাকবে না। আমার এইখানে চইলা আসবে। আসলে সুন্দরিদের বাড়ীতে মনে হয় এইরকম চিন্তাভাবনা ছিল যে বাড়ীটা বানাইলেই সুন্দরিরে বিয়া দিয়া দিতে পারবে। ওরা হয়তো মনে করতেছিল আমি দেশে গেলেই বিয়া কইরা ফালামু। অইজন্যই মনে হয় বাড়ী তাড়াতাড়ি কইরা বানাইতেছিল (স্পেকিউলেশন)। আমি যাওয়ার আগে ওদের বাসা রেডি থাকলে ব্যাপারটা ওদের জন্য নাইস হবে। মাগার আমার পিলেন তো ছিল আলাদা।

আমার টাইমলাইন অনুযায়ী আমি বিয়ার জন্য তখনো ফাইন্যান্সিয়ালি রেডি না। কিন্তু বাড়ী যাওয়ার জন্য মনটা আঁকুপাঁকু করতেছিল। চিন্তা করলাম এই সুন্দরির ব্যাপারটা যদি ঠিক থাকে তাইলে এর সাথে ম্যাক্সিমাম এঙ্গেজড হইয়া আস্মু। আর ব্যাপার কেঁচে গেলে অন্য কিছু সুন্দরিরে দেইখা আস্মু। আইসা আবার কয়েকজনের সাথে ফুনে কথা কমু। তারপর ঠাণ্ডা মাথায় প্লাস মাইনাস কইরা, স্ট্যাটিস্টিক্স খাটাইয়া একটা ডিসিশন লমু। পিলেনও করলাম ওইভাবে।

কাজ থেইকা ( পড়তে হবে অফিস। বাংলাদেশ কাজরে অফিস না কইলে নাকি ইজ্জত থাকে না ) ছুটি লইলাম তিন সপ্তাহ। তারপর দেখলাম তিন সপ্তাহ ব্যাপারটা রিস্কি হইয়া গেল। বেশি দিন থাকলে বিয়ার প্যাঁচে পইড়া যাইতে পারি। বেশি টাইম দিলেই বেশি চিন্তা করার সময় পাইয়া যাবে। বিয়া না করার জন্য দুই সপ্তাহ অপটিমাম টাইম। কারন আমার যাইতে লাগে দুই দিন, আস্তে দুই দিন, বাড়ীতে ১০-১১ দিন থাকলে বিয়া করার মত মুভমেন্ট তৈরি হবার মত যথেষ্ট সময় থাকবে না। যাইয়া তো আমার জেট-ল্যাগ যাইতেই এক সপ্তাহ লাগে। আর বিয়া করমু কখন?

আমার ম্যালা দিনের পিলেন ছিল যে ইস্তাম্বুল অথবা ইউরোপে হাওয়া খাইতে যাওয়ার। সময় কইরা উঠতে পারি নাই। লোকজনের ফেইসবুকে চেকিন, আর ছবি দেইখা মনে হয় আমারো কিঞ্চিৎ হিংসা হইত! দেখলাম এইট সুযোগ। একবার বিয়া হইয়া গ্যালে মুভমেন্টের ফ্লেক্সিবিলিটি কইমা যাবে। এইবারই যাওয়া লাগবে। অনেক ক্যাল্কুলেট কইরা ডিসিশন লইলাম যে ইস্তাম্বুল যামু। শুনছি ইস্তাম্বুলের কাবাব নাকি সেই!!!! কথাটা মনে হইতেই, এই এখনো আমার মুখটা জলে ভর্তি হইয়া যায়!!! রিসার্চ কইরা দেখি যে আম্রিকান্দের নাকি ইস্তাম্বুলে যাইতে ভিসা লাগে?! এইটা কুনো কথা হইল? কিন্তু কি করার! টার্কিশরা প্রাউড একটা জাতী। জিওগ্রাফিক্যালি স্ট্রাটেজিক একটা পজশনে আছে। কেউ খুব বেশি ঘাঁটাইতে পারে না এদেরকে। অটোম্যান এম্পায়ারের শাসক ছিল ওরা একসময়! যাইহোক অনলাইনে ই-ভিসা কইরা লাইলাম। টিকিটও কইরা ফালাইলাম কয়েকদিনের মধ্যে!!! তারপর নিজের উপ্রেই ব্যাফুক সন্তুষ্ট হইলাম! প্লানটা অলমোস্ট ফুল্প্রুফ। এত বিজি থাকলে দেশে যাইয়া উলটাপালটা হবার সম্ভাবনা হাইলি আনলাইক্লি!!!

আরও কিছু প্রিক’শন লইলাম যাতে প্লান চেঞ্জ না হয়। যেমন ট্রাভেল যে যাতে মিনিমাম এমাউন্টের কাপড়চোপড় লইয়া করতে হয়। মনে করছিলাম খালি ক্যারি অন লাগেজটায় কাপড় ক্যারি করমু। কিন্তু এইটা করতে পারি নাই কারণ ওয়েদার ঠাণ্ডা ছিল বাংলাদেশে। শীতের কাপড় নেওয়া লাগছে। বাধ্য হইয়া একটা বেশি লাগেজ নেওয়া লাগছে। তারপরেও মিনিমাম এমাউন্টের কাপড় ক্যারি করছিলাম।

দেশে যাওয়ার মাসখানেক আগে সুন্দরিরে কইলাম দেশে যাইতেছি পরের মাসে। তোমার সাথে মনে হয় দেখা হবে! সুন্দরিরে হ্যাপি মনে হইল। কইলাম তোমার ফ্যামিলির নলেজে দিও। আমি আমার ফ্যামিলিরে জানাবো। সুন্দরি কইল ওকে। তারপর কথা আগের মতই চলতে থাকলো।

একটা ব্যাপার হইল সুন্দরি নিজেরে ম্যালা সুন্দর মনে করত। খালি আমার মুখ থেইকা বাইর করার চেষ্টা করত যে সে সুন্দরি। আমার প্রেইজের দৌড় ছিল মন্দ নাহ কিংবা অসুন্দর নাহ এই পর্যন্তই। কি করতাম? সুন্দরিদের রূপের প্রশংসা তাঁদের সামনে আমার পেটে বোমা মারলেও বাইর হয় না। ব্যাপারটা ইচ্ছা কইরা করা না। দ্যাট বিয়িং সেইড, আমি কিন্তু ভাবি/আন্টিদের রান্নার ভূয়সী প্রশংসা করতে ভুলি না। কারণটা আর কিইবা বলি! যাইহোক, সুন্দরি আমারে বলছে যে তারসাইড থেকে সবকিছু ঠিকঠাক। কুনো সমস্যা নাই। আমার সাইড থেইকাও আমার জানামত কুনো সমস্যা ছিল নাহ। কিছু মাইনর ইস্যু ছিল, যেইগুলা ইগনোর করার সিদ্ধান্ত নিছিলাম। আর ফ্ল ছাড়া কোন মানুষ পাওয়া সম্ভব না। আমিও শিউর, যে সুন্দরির সাইড থেইকাও আমার ব্যাপারে ম্যালা ইস্যু ছিল যেইগুলা সুন্দরিও ইগনোর করার সিদ্ধান্ত নিছিল। আমি কইছিলাম যে আমার তেমন কুনো সমস্যা নাই।

যদি ব্যাপারটা এরকম ছিল তারপরেও আমি কখনো সুন্দরিরে কই নাই যে তুমারে বিয়া করমু। এই প্রসঙ্গ আসলে কইতাম, বাড়ি যাইয়া ফ্যামিলির সাথে ডিসকাস কইরা ডিসিশন লওয়া লাগবে। মাথার ভিত্রে একটা ভয়েস আমারে সবসময় বলত নিজের এক্সপেকটেশন ম্যানেজ করতে। আমি শুনছি যে বিয়ে বাড়ীতে বরের জুতা চুরি লইয়াও নাকি বিয়া ভাইঙ্গা যায় আর আমার কথাবার্তা তো কেবল আর্লি স্টেজে! আর তুমারে বিয়া করমু কথাটা বলা আমার কাছে প্রমিসের মত মনে হয়। আর আমি ভুইলা না গেলে নরমালি আমার প্রমিসগুলা রাখি।

এইদিকে আমি সুন্দরির ব্যাপারে এতটাই কনফিডেন্ট (>৯০%)হইয়া গেছিলাম যে কাছের একজনরে সুন্দরির ছবিও দেখাইলাম। উনি কইলেন যে, বিপ্লব, সুন্দরি আছে বিয়া করা ফালাও।কাছের আরও দুই-তিনজনরে জানাইলাম! সবাই হ্যাপি ফেইস দিছিল। এইটা আমার কনফিডেন্সের চূড়ান্ত ম্যানিফেস্টেশন। আমি এতটা কনফিডেন্স না থাকলে ওদেরকে দেখাইতাম না। একবার থলের বেড়াল বাইর হইলে ওইটারে আর ভিত্রে হান্দানো যায় না।

কনফিডেন্ট হমু না ক্যারে, সুন্দরির সাথে এত ঘণ্টা কথা কইছি আর সুন্দরি আমারে এত বেশি ছবি পাঠাইছে যে এক সময় আমি গুনতে ভুইলা গেছি। মাঝে মাঝে চিন্তা করতাম কেউ যদি জিজ্ঞাসা করত যে এত ঘণ্টা কিসের কথা বলছ সুন্দরির সাথে, তাইলে আমার কাছে ডিফেন্সেবল কোন উত্তর থাকত না। আমি সিউর সুন্দরির কাছেও কোন ডিফেন্সেবল এন্সার ছিল না, তারো বাসায়ও জানত না। আমার বাসায় জানত কথা বলি মাঝে মাঝে কিন্তু এক্সটেন্ট জানত না।

দেশে যাওয়ার সপ্তাহখানেক আগে থেকে সুন্দরির বিহ্যাভিয়র কিছুটা আনইউজ্যুয়াল মনে হওয়া শুরু হইল আমার কাছে। কিন্তু আমি ব্যাপারটারে পজিটিভ্লি নিলাম, কারন আমার এসেস্মেন্ট ভুল হইতে পারে। রক সলিড এভিডেন্স ছাড়া শুধুমাত্র ইন্সটিঙ্কটের উপর বেইস কইরা নেগেটিভ কোন এসাম্পশনে আসতে আমার ব্যাপক অনীহা। কারন সামটাইমস ইন্সটিঙ্কটস ক্যান বি ভেরি রং, স্পেশালি যেইখানে সুন্দরি’স আর ইনভল্ভড!

যাইহোক হঠাত কইরা একদিন ফ্লাইটের ডেইট আইসা পড়লো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলা টার্কিশ ইয়ারের ফ্লাইট! বুধবার রাতে নিউইয়র্কে দাদার বাসায় চলে গেলাম বাস নিয়া। দাদা লোকটা সুপার অসাম! রেয়ার লোক একটা! ওইখানে দাদার সাথে গুল্পগুজব কইরা রাতটা ঘুমাইলাম। ফানি ব্যাপার হইল যে বৃহস্পতিবার দিনেও আমার কাজ ছিল, দাদারও কাজ ছিল। আমি দাদার বাসায় বইসা আরামসে কাজ করলাম। প্ল্যান ছিল যে দাদা কাজ থাইকা আইসা আমারে এয়ারপোর্টে নামায় দিবে।

সুন্দরির আমি বুধবারের দিকে জিগাইছি, যে বাসায় বলছে কিনা। সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা। ঠিকঠাক না থাকলে আমি প্লান বি, সি, ডি একটিভেট করমু। বৃহস্পতিবার সুন্দরির সাথে কথা হইল যে যেহেতু আমি কাজ করতেছি, ওইদিন রাতে ফ্লাইটে উঠার আগে সুন্দরিরে কল দিয়া আপডেট লমু যে তার বাসায় সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা।

দাদার বাসা থাইকা বাইর হবার সময় মনে হইল সুন্দরির জন্য চকলেট কেনা হয় নাই!!! এইটা ঠিক যে সে চায় নাই, কিন্তু কথায় কথায় একদিন বলছিল যে চকলেট তার পছন্দ। আমিও কিছু বাল্ক “হারসিস কিসেস” চকলেট কিনছিলাম সবার জন্য। কিন্তু সুন্দরিরে “হারসিস কিসেস” ক্যামনে কইরা দেই? নাম জিগাইলে ক্যামনে কমু চকলেটের নাম কি! তাছাড়া চকলেটের মধ্যে লেখা থাকে যে চকলেটের নাম কি। তাছাড়া সুন্দরি যদি মনে করে ইচ্ছা কইরা ওই চকলেট দিছি, ডারটি পুলাপাইন!!! ব্যাপারটা কেঁচে যাইতে পারে।

মনে করলাম বাইর হবার আগে, দাদার বাসার পাশে একটা সুপারমার্কেট থেইকা কিন্না লামু। কিন্তু মার্কেটে যাইয়া দেখি ওদের কুনো চকলেটই নাই। যেইগুলা আছে ওইগুলা সুন্দরিরে ক্যামনে দেই? যাইহোক মনে করলাম যে এয়ারপোর্টের ডিউটি-ফ্রি শপগুলা থেইকা গলাকাটা দাম দিয়াই চকলেট কেনা লাগবে।

যাইহোক দাদা আমারে সুন্দর কইরা এয়ারপোর্টে নামাইয়া দিল। দাদারে ধন্যবাদ। কোন রকম রকম ইস্যু ছাড়াই খুব তাড়াতাড়ি, চেকিন, ইনভ্যাসিভ স্ক্যানিং পার হইয়া ভিত্রে যাইয়া একটা চুপচাপ স্পেস দেইখা বসলাম। সুন্দরিরে ফোন লাগাইলাম। দেখি সুন্দরি ফোন ধরে না!!!!

মনের ভিত্রে কু-ডাক দেওয়া শুরু হইল। সুন্দরিরে কয়েকবার ভিওয়াইপি দিয়া, ফেইসবুক মেসেঞ্জার দিয়া ফুন দিলাম। কুনো খবর নাই। সুন্দরিরে তার ফোন নম্বরে আমি হাতে গোনা কয়েকবার ফোন দিছি। বাধ্য হইয়া ওইখানেও ফোন দিলাম। চুলের ফোন কয় “দুঃখিত, এই মুহূর্তে……”। এইটা শুইনা তো মেজাজটাই খিচড়াইয়া গেল। এই কলটা একটা এক্সট্রিম্লি ইম্পরট্যান্ট কল। আর সুন্দরি ফোন বন্ধ কইরা রাখছে? আমি মনে হয় এর আগে মাত্র একবার সুন্দরির ফোন বন্ধ পাইছিলাম।

এজ ইউজ্যুয়াল, মনে ভিত্রে খচ খচ করার পরেও ব্যাপারটারে পজিটিভ্লি নিলাম। মনে করলাম অনেক কিছুই তো হইতে পারে, ইন্টারনেট ডাউন থাকতে পারে, ইলেক্ট্রিসিটির ওভাবে ফোন ডেড হইয়া যাইতে পারে, ফোন চুরি হইয়া যাইতে পারে, অথবা সুন্দরি হয়তো জাস্ট ঘুমাইতেছে! এত চিন্তার কি আছে? এরপর একটা স্টারবাকস কফি লইয়া বইসা কিছু স্কেইল্ড-এজাইল ফ্রেমওয়ার্কের উপ্রে পড়াশুনা করলাম এয়ারপোর্টের ভিত্রেই! ব্রেইনরে ব্যাস্ত রাখতে হবে না?

এরপর ঘণ্টাখানেক পরে কিছুটা খিচড়ানো মেজাজ লইয়া প্লেনে উঠলাম! প্লেনে উইঠা মনটা আরও বিগড়াইয়া গেল। প্লেনে উঠলে নরমালি দ্যাখা যায় যে মহিলা এয়ার-হোস্টেসগুলা ম্যালা সুন্দর হয়। বিনা কারণে হাসে। দেইখাই মন ভালা হইয়া যায়। এই প্লেনের এয়ার-হোস্টেসগুলারে আমার ভালো তো লাগেই নাই, উল্টা মেজাজটা বিগড়াইয়া যাইতেছিল। প্লেনটা টার্কিশ লোকজন দিয়া ভর্তি। সবাই টার্কিশে কথা কইতেছে। ইভেন এয়ার-হোস্টেসগুলা পর্যন্ত! আমার সাথে টার্কিশে কথা কয়! আগে মনে করতাম খালি মেক্সিকানরাই আমারে তাদের নজেদের লোক মনে করত, এখন দেক্তেছি টার্কিশরাও আমারে নিজের লক মনে করতেছে! ক্যামনে কি? এখনো পর্যন্ত ক্লিয়ার হইতে পারি নাই যে, প্লেনের এয়ার-হোস্টেসগুরা আসলেই সুন্দর ছিল না নাকি সুন্দরি ফোন না ধরায় আমার মেজাজ বিলা ছিল আর আমার পারসেপশন আমারে এইজন্য ধোঁকা দিছে!

প্লেনের এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমটা ডিসেন্ট ছিল। স্ক্রিনটা স্লো রিস্পন্ড করতেছিল, বাট কিছু কন্টেন্ট ভালো ছিল। একটা একশন মুভি দিয়া শুরু করলাম। ওইটা শেষ হইতে ফুড দিল। ফুডের চেহারা সুবিধার ছিল না বাট টেস্ট ভালো ছিল। ঘুমানোর চেষ্টা করলাম, দশ মিনিটের মতও ঘুম ধরল না। টার্কিশ গানা-বাজানা শুনলাম কিছুক্ষণ। এইটা সেইটা গুঁতাগুঁতি করলাম কিছুক্ষণ। সময় আর শেষ হয় না।

চিন্তা করলাম দেশে যাইতেছি, কিছু সুন্দরি দেখমু, নিজের রোমান্টিসিজমরে একটু নাড়া দেওয়া দরকার। রোমান্টিক মুভিরে আগে আমি করোনাভাইরাসের মত এভোইড করতাম। দেখলাম এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমটায় কি কি রোমান্টিক মুভি আছে। টপে আসল “দ্যা গ্রেইট গ্যাটসবি”। দেখলাম লিওনার্দো ডি-ক্যাপ্রিও হিরো হিসাবে আছে। এই লোকটা একজন ভয়ঙ্কর অভিনেতা। মুভির কাহিনীর ভিত্রে না যাইয়া খালি এইটা বলি, আমি হ্যাপি এণ্ডিং আশা করতেছিলাম, কিন্তু আফসোস। মুভি দেইখা উল্টা গলার মধ্যে একটা লাম্পি ফিলিং আইসা থাকল। ওল্ড স্পোর্ট! কাম অন…।
(চলতে থাকপে...।)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২৪
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×