তবে লজ্জা হয় যখন দেখি জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনেকেই ট্রল করে মজা নিচ্ছে, অপমান করছে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের যোগ্যতা নিয়েও কথা বলছে। মনে রাখতে হবে কোটা সংস্কার আন্দোলন করা হচ্ছে শুধুমাত্র সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নয়।
মুক্তিযোদ্ধারা কখনোই এসব কোটা এবং যাবতীয় সুযোগ সুবিধার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেননি। মুক্তিযোদ্ধারা শুধুমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌম মানচিত্রের জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে পরাধীনতার কবল থেকে দেশকে স্বাধীন করেছিল।
আজ বাংলাদেশ স্বাধীন না হয়ে যদি পাকিস্তান’ই আমাদের রাষ্ট্র হতো তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার, দেশদ্রোহী এবং যুদ্ধাপরাধী উপাধি দিয়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করে ফাঁসি কার্যকর করা হতো। আর আজ আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তখন আমাদের রাজাকার, দেশদ্রোহী এবং যুদ্ধাপরাধীর সন্তান বলে ডাকা হতো।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা আমাদের অহংকার। বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১২