বইমেলায় যাবার খুবই একটা পবিত্র ইচ্ছা নিয়ে বের হলাম।টি এস সির সামনে এসে আমার চোখ চরকগাছে উঠে গেলো লাইন দেখে।লাইন গিয়ে শেষ হয়েছে ঐ চারুকলা পেরিয়ে শাহবাগের মাথায়।সবশেষ গিয়ে দাড়ালাম।তারপর যখন গেটের কাছে গেলাম তখন ইচ্ছা করলো নিজের পশ্চাৎদেশে একটা সজোরে কিক মারি!কারণ প্রচুর লোক চামে চামে ঠিকই মেলায় ঢুকে যাচ্ছে!আমার নিজেকে মনে হলো একজন মদনবিশেষ।
আজ আবার ছিলো বইমেলার শেষদিন।পুরো বইমেলা ঘুরলাম।লিটলম্যাগ কর্ণারে ছিলাম আজ অনেক্ষণ।যাহোক যেটা বলতে চাইছিলাম,শেষদিন বলে বইমেলায় আজ ছিলো সবচেয়ে বেশী ভীড়।আজ আবার ছিলো শুক্রবার তাই ভীড় রীতিমত অসহনীয় পর্যায়ের।
যাইহোক বইমেলায় ডুকলাম,কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে হুমায়ুন আহমেদের স্টলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম,এমন সময় আমি অনুভব করলাম আমার ডান জুতায় কেউ পাড়া দিয়েছে।কিছু বলার আগেই বিপরীত দিক হতে একভীড় মানুষ আমাকে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে গেল পেছনে।আমার হতভাগা জুতাটি এইফাকে মুক্তি পেয়ে কোন বনে যে পালালো তার আর কোনো হদিস পাইনি।আমার বন্ধুরা আমাকে দেখে দাত কেলিয়ে হাসতে লাগলো।এ দিকে াবার একটা সুন্দরী মেয়ে বললো যে এএএএএঃ!হিমুর হাফ নকল!একপায়ে জুতা,আরেক পা খালি!হাঃহাঃহাঃ।আমিও তার দিকে তাকিয়ে এমন একটা ভাব করলাম যেন সে ঠিকটা ধরে ফেলেছে।সেই সুন্দরী চলে যাবার পর আমার মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা করলো।জুতাজোড়া আমি মাত্র সাতদিন আগে দেরহাজার দিরহামটাকা দিয়া খরিদ করিয়াছিলাম-এই ভেবে।
পরে এদিক সেদিক তাকিয়ে হ্যাভী স্মার্টলি অপর জুতাটাও ফেলে দিয়ে আমি হনহন করে হেটে বেড়াতে লাগলাম।পরে অবশ্য হিমু ডাকটা ভালোই লাগছিলো।কিন্তু কেউকেউ যখন আমার পা মাড়িয়ে দিচ্ছিলো সেটা আমার একটুও ভালো লাগেনাই,বিশ্বাস করেন।
পরে এখন আমার জুতাজোড়ার তরে খুবই আপশোস হইতেছে।আপনারা যারা বইমেলায় গিয়েছেন আজ,প্লীজ জুতাদুটো পেলে আমাকে ফেরত দেবেন?এই অধম তবে খুশী হইতো।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




