somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রযুক্তির দুনিয়া! বর্তমান ও ভবিষ্যত এবং আমরা

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা এখন পৌঁছেছি তথ্য প্রযুক্তির এক চরম উন্নতির যুগে। যেখানে প্রতিনিয়তই কিছু কিছু না কিছু নতুন প্রযুক্তির সাক্ষাত মেলে আমাদের সাথে (যদিও আমরা কিছুটা পিছিয়ে)। তাই এ যুগের সাথে তাল-মিলিয়ে চলতে উন্নয়নশীল দেশের কিছুটা ধাক্কার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। আর দেশ যদি তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত হয় তবে এ বিশ্বে এখন সেটিই উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে প্রযুক্তি যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ১০০ বছর পর তথ্য থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয় উঠবে প্রযুক্তি। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কতটূকু তাল মেলাতে পারছি এ যুগের সাথে?



যদি প্রশ্নটা এমন হয় যে, বর্তমানে আমরা কেমন অবস্থানে আছি? তবে উত্তরটা হবেঃ হ্যাঁ, মোটামুটি ভালো অবস্থানে রয়েছি। কারণ বর্তমানে বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের বাংলাদেশেও বিভিন্ন ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ভিত্তিক স্টার্টআপ গড়ে উঠছে। যা সত্যিই আশার বাণী শোনায়। এবারে বাংলাদেশে সেরা স্টার্টআপে পুরস্কার পেয়েছেঃ Sheba.xyz প্রতিষ্ঠানটি। একটি ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এমন আরো অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে আমাদের এই ছোট্ট দেশে যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

তবে যদি আমরা বর্তমানের সাপেক্ষে একটু ভবিষ্যতের কল্পনা করি, তবে একটু মর্মাহত হতে হয়। আগেই বলেছি, বিশ্ব এমন দিকে এগোচ্ছে যেখানে তথ্য থেকে প্রযুক্তির গুরুত্ব বেড়ে যাবে। ভবিষ্যতের কিছু প্রযুক্তির নাম দেখে নিই। যা বর্তমানেও রয়েছে তবে ভবিষ্যতে এর ব্যবহার ব্যাপক হয়ে উঠবে।

ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (Virtual Reality),
অগম্যান্টেড রিয়্যালিটি (Augmented Reality),
চালকবিহীন গাড়ি (Autonomous Car),
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence),
তালিকা আরো লম্বা হবে। উপরের সবগুলো প্রযুক্তিই বর্তমানে রয়েছে এবং মানুষ ব্যবহারও করছে। তবে এগুলো হলো ভবিষ্যতের প্রযুক্তি। ভবিষ্যতের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে বর্তমান থেকে এসব প্রযুক্তির কিছুটা হলেও চর্চা থাকা দরকার। কিছু স্টার্টআপ গড়ে তোলা দরকার এসব প্রযুক্তি উপর। আপনাকে একটু পরিষ্কার ধারণ দিয়ে দিই কিভাবে এসব প্রযুক্তিই হবে ভবিষ্যতের ভিত্তি।



আমরা সকলেই ফেসবুক, গুগল, অ্যাাপেল ও মাইক্রোসফটের পণ্য ব্যবহার করে থাকি। আপনি যদি একটু প্রযুক্তি প্রেমিক হয়ে থাকেন তবে লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে এরা প্রত্যেকেই উপরোক্ত প্রযুক্তিগুলোর প্রতি কাজ শুরু করে দিয়েছে। ফেসবুক ও গুগলের VR Headset, মাইক্রোসফট ও গুগলের Hololens ও Google Glass, গুগলের চালকবিহীন গাড়ি, গুগল, মাইক্রোসফট ও অ্যাাপেলের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (Google Assistant, Cortana and Siri)। এসব প্রযুক্তির দিকে টেক-জায়ান্টদের জোঁক বেশি। কারণ এগুলোই ভবিষ্যত শাসন করবে। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার উপকারিতা বুঝতে পেরে সকলের প্রিয় মার্ক জাকারবার্গ তার নিজের বাড়িতে Jarvis তৈরি করেছে। যা সত্যিই আমাদের দেখায় কেমন হতে পারে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা।

একটা কথা বলা হয় যে, গুগল ফেসবুক, মাইক্রোসফট, অ্যাপেল এরা এ শতক পুরোটা জুড়ে রাজত্ব করবে। তার কারণ শুধু ফেসবুক নয়, গুগল সার্চ ইঞ্জিন নয়, অ্যাপেলের ম্যাক কিংবা আইফোন নয়, মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ নয়। এর মূল কারণ তারা তাদের দূরদর্শিতার সাথে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির জন্য বর্তমান থেকেই কাজ করে যাচ্ছে।



আমাদের করণীয়

আমরা এগিয়ে চলছি বর্তমানের সাথে। আমাদের দেশেও ড্রোন, রোবোটিকস নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যা বরাবরের মতই আমাদের আশার বাণী শোনায়। তবে আমাদের দেশে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান দরকার যেখানে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হবে। তাতে আমরা Leap Frog -এ অর্থাৎ ব্যাঙের মত লাফ দিয়ে এগিয়ে যেতে পারব। কারণ বর্তমানে এগিয়ে যেতে হলে দরকার দূরদর্শী পরিকল্পনা আর নতুন চিন্তা-ভাবনা।

আমরাই গড়ব আমাদের সোনার বাংলাদেশ।

আমার ব্লগঃ Bipul Hf - Be Simple, Make Simple
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৩০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×