খুব সন্দেহ হয় যখন রাজনৈতিক কোন কর্মকান্ড সংঘটিত হয়। তাদের কাজগুলোতে প্রশ্নের পর প্রশ্ন রয়েই যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা বাতিলের বক্তৃতা কিছুটা আবেগের ও রাগসমৃদ্ধ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আলোচনা হলো, একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ দিল, কেবিনেট সেক্রেটারিকে আমি দায়িত্ব দিলাম। তারা সে সময়টা দিল না। মানি না, মানব না বলে তারা যখন বসে গেল, আস্তে আস্তে সব তাদের সঙ্গে যুক্ত হলো। খুব ভালো কথা, সংস্কার সংস্কার বলে...সংস্কার করতে গেলে আরেক দল এসে বলবে আবার সংস্কার চাই। কোটা থাকলেই সংস্কার। আর কোটা না থাকলে সংস্কারের কোনো ঝামেলাই নাই। কাজেই কোটা পদ্ধতি থাকারই দরকার নাই। আর যদি দরকার হয় আমাদের কেবিনেট সেক্রেটারি তো আছেন। আমি তো তাঁকে বলেই দিয়েছি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বসে তাঁরা কাজ করবেন। সেটা তাঁরা দেখবেন। আমি মনে করি, এ রকম আন্দোলন বারবার হবে। বারবার শিক্ষার সময় নষ্ট হবে।’
কথায় বোঝা যাচ্ছে, কোটা বাতিল ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। প্রয়োজনে কেটে দেওয়া হতে পারে না হয় সংস্কার। কিন্তু শেখ হাসিনার এত দিনের কর্মকান্ডে মনে হচ্ছে, বাতিল মানে বাতিল। আমি একটু জানতে চাই যে, বাতিলের সম্ভাব্য কারণ কি? এবং কোটা বাতিলের ফলে সমস্যা সৃষ্টি হবে নাকি?
এবার একটু প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতির শেষের দুই লাইন দেখি। ‘আমি মনে করি, এ রকম আন্দোলন বারবার হবে। বারবার শিক্ষার সময় নষ্ট হবে।’
না, প্রধানমন্ত্রীর মুখের মৃদু হাসি কোথায়? খুব দরদমাখা বার্তা এবং যুক্তিযতও বটে। জনগণের চিন্তা সকল দেশপ্রধান করতে পারেন না। তবে আমারে মনে হয়, প্রধানমন্ত্রীর মনে নির্বাচনের চিন্তা রয়েছে। বছরটা হচ্ছে নির্বাচনের। সুতরাং এমন গণ আন্দোলন চলতে থাকলে সরাসরি এর প্রভাব পড়বে নির্বাচনে। আর এসব আন্দোলনের সুবিধা তোলার চেষ্টা করবে বিএনপি(যদিও পারবে কি না এ নিয়ে আমার মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে)। তো দেখা যাবে এ আন্দোলন শীঘ্রই যদি চাপা না দেওয়া যায় তা পরবর্তিতে 'কোবরা' হয়ে ছোবল দিবে। আর শেখ হাসিনা ঠিকই বুঝতে পেরেছেন যে, তিনি কোটা সংস্কার করলে তার আন্দোলন আবার হবে। ফলে তাহার নির্বাচনি প্রচারণা ব্যাহত হবে। তাই খুব সহজে একটি ঢিল নিক্ষেপ করেছিলেন সকালেই; ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে। দেখতে চেয়েছেন যে, আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া। আরে বাহ!! সকলেই খুশি। তিনিও খুশি। নির্বাচনও নির্ঝঞ্জাট।
মন্তব্য ব্যক্তিগত। কোটা বাদ দেওয়ার কারণ জানতে চাই আরো।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪১