১.
১ম বন্ধুঃ দোস্ত, কনডম কি জানোস?
২য় বন্ধুঃ টিভিতে এ্যাড দেখছিলাম।
১ম বন্ধুঃ ব্যবহার করতে পারোস না বলদটা?
২য় বন্ধুঃ আমি এখনো বাস্তবে দেখি নাই এইটা।
১ম বন্ধুঃ মিথ্যা কস কেন?
২য় বন্ধুঃ এই ফাও প্যাঁচাল নিয়া মিথ্যা কেন কমু?
১ম বন্ধুঃ (আরেকজন বন্ধুর সাথে) বুঝছোস, ছোটবেলায় এডি মুখে নিয়া ফুলাইতাম আর বড় ভাইরা বলতো ছিঃ কি করো এগুলা?
৩য় বন্ধুঃ হ রে। এখন বুঝি এগুলা কি।
২.
১ম বন্ধুঃ ভাই, হোস্টেলে শুনছি বড় ভাইরা আলাপ করতেছে, ঘন্টায় নাকি ৩০০তে পাওয়া যায়। আমি আমার এক বন্ধুরে কইছিলাম আমি টাকা দিমু তুই যা। কিন্তু ওই ভীতুর ডিম, ভয় পায়।
২য় বন্ধুঃ এই শোন, ঘন্টা হিসাব কইরা টাকা দিতে হয় নাকি ফিগার দেইখা?
১ম বন্ধুঃ শুনছি ঘন্টার হিসাব।
২য় বন্ধুঃ ধুর বেটা। ১ ঘন্টায় আর কতটুকু করা যায়?
৩.
১ম বন্ধুঃ ভাই তোমার বউ আগে কারো সাথে করছে নাকি বুঝবা কেমনে জানো?
২য় বন্ধুঃ এডি কেমন কথা? এগুলা জানুম কেমনে?
১ম বন্ধুঃ কাজ করার সময় যদি রক্ত বাহির হয় তাইলে করে নাই আগে আর যদি বাহির না হয় তাইলে করছে।
এই চিত্রগুলো একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষার্থীদের কথা। এমন চিত্র বাংলাদেশের সবখানেই কমবেশি ছড়িয়ে আছে। ইন্টারনেটের সুবাদে আজ আমাদের যেমন সুবিধা হচ্ছে তেমনি করে এমনই অনেক কিশোর অল্প বয়সেই বিগড়ে যাচ্ছে। আমি মানি যে, বন্ধুদের সাথে মজা করতেই এসব বলে। তবুও মজা করার মাধ্যম কি এমনই কথাবার্তা? কোনদিকে এগিয়ে চলছে আমাদের কিশোররা? নৈতিকতার দিকে তারা কতটুকু এগিয়ে
বলছি না সবাই-ই এমন। তবে সংখ্যা হিসাব করলে অধিকাংশই তার বয়সের তুলনায় এসব সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৭