প্রিয় প্রধানমন্ত্রী,
আপনাকে প্রিয় বলার কোন কারণ না থাকিলেও বলিতে বাধ্য হইলাম। বাহিরের দুনিয়ায় আমাদের একটা সম্মান আছে। আপনারা আমাদের রাস্তায় ফেলিয়া লাঠিপেটা করিলে সেই সম্মানে আঘাত লাগে না, কিন্তু আমরা আপনাকে গালাগালি দিলে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় দেশবাসীর বদনাম হয়। সমস্ত দেশবাসী যে আপনার মতন নহে তাহা আশাকরি জানেন। এক রকম হইলে তো সকলেই প্রধানমন্ত্রী হইয়া সুখে থাকিত। সকলেই শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক হইয়া যাইত। আপনার ন্যায় দেশপ্রেমিক হইতে পারি নাই তাহা স্বীকার করিলাম, এজন্য যদি দেশদ্রোহী বলেন তো আপত্তি নাই। (আপত্তি করিলেই বা লাভ কি? আমনাত্তে বেশি আর কে জানিবে?)
যাহা হউক আপনার নিকট আমার একটি প্রশ্ন আছে। একজন দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আপনার দায়িত্ব বলিয়া মনে করেন কিনা তাহা আমার জানা নাই। তবু আশায় বাঁচে চাষা। তাই প্রশ্নটি করিয়াই ফেলি।
আপনি কেন মরেন না? মানুষে তো কত ভাবে মরে। মুজিব মরিলেন, জিয়া মরিলেন, আব্রাহাম লিঙ্কন, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী মরিলেন। আরো কত নাম করিব? সকলের নাম করিতে গেলে তো ইতিহাস হইয়া যাইবে। এনাদের মতন সাধারণ মানুষেও ভাড়াটে খুনীর হাতে আকচার মরিতেছে। আপনি সেইভাবে মরেন না কেন?
কত লোকে তো প্লেন ভাঙিয়া, লঞ্চ ডুবিয়া, গাড়ি উল্টাইয়া মরিয়া যায়। আপনি তখন অবস্থা বদল না করিয়া মন্ত্রী বদল করেন। সে করুন, কিন্তু আপনি সেইভাবে মরেন না কেন?
মানুষ পুলিশের গুলি খাইয়া মরে। পার্টির ডান্ডা খাইয়া মরে। মহাজনের তাগাদার ঠেলায় গলায় দড়ি দিয়া মরে। আপনি সেইভাবেও মরেন না কেন? মরিতে কি খুব বেশি খরচ হয়?
মহামান্য আদালতের জ্ঞাতার্থে জানানো যাইতেছে যে-
ইহা অমর প্রধানমন্ত্রীর নিকট মরণশীল নাগরিকের একটি প্রশ্ন মাত্র। উত্তর জানিতে পারিলে আমরাও সেই পথ ধরিতে পারি। আমাদের বাঁচিয়া থাকার সাধ এখনো মরিয়া যায় নাই। না মরিবার উপায় জানিতে চাওয়া আমার জন্মগত অধিকার।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৯