লাশের মিছিল জ্বেলে,
বক্তৃতার আসর কাপিয়ে,
মিথ্যের আদলে মিথ্যে সাজিয়ে,
ক্ষমতার মুখে সমস্ত প্রতিবাদকে রুদ্ধ করে,
তোমরা বেশ ভালো আছো।
তোমাদের টাকার অঙ্ক আমার অজানা,
তোমাদের আলিশান বাড়ি আমার অদেখা।
আমি তোমাদের খেলতে দিয়েছি,
যা ইচ্ছে,যে যেভাবে পারছ খেলছও,
শুধু ভোট নামক ওই একটি ব্যাবস্থা ছিল বলে
আজও তোমাদের আমার পায়ের তলে এসে লেজ নাড়াতে দেখি,
ওই একটিবারই তোমাদের দেখেছি আমায় বুকে টেনে নিতে,
আমায় তুমি কত স্বপ্ন দেখিয়েছ ওই নষ্ট মুখে।
তোমরা যা চেয়েছিলে অস্ত্রের মুখে হোক আর স্বাচ্ছন্দে হউক তা দিয়ে দিয়েছি,
একবার না দুইবার না,যতবার চেয়েছ ততবার,
আমি তো জানতাম কুকুরের চাইতেও খারাপ তোমাদের চাওয়া,
তোমাদের সবার কাছে ক্ষমতার চেয়ার অনেক বেশী প্রিয়।
আমিও বেশ ভালো আছি,
আমার অসহায় ছেলেটা অযথাই কারাগারে,
আমার মেয়েটা আজ আগুনে জলসে যাওয়া মুখ আর কাওকে দেখায় না,
আমার প্রিয় মানুষ কবে ঘরে ফিরবে সেই আশায় আজও আমি দরজার চৌকাঠ ধরে দাড়িয়ে আছি।
আচ্ছা,তোমরা কি চাও আসলে?
গণতন্ত্র তো বহু আগেই বিক্রি করে দিয়েছ,
ক্ষমতা তো পুরটাই তোমাদের কাছে প্রজাতন্তের মতো হয়ে গেছে,
প্রশাসন নামক শব্দটি তো বহু আগেই ধর্ষিত।
তোমরা কি মানুষ?
এতো বড় একজন মানুষের আদর্শ বেঁচে আর কতকাল?
একাত্তরকে বিক্রি করে আর কত বছর?
ধর্মকে পুঁজি করে কতবার যাবে ওই বিলাসবহুল ভবনে?
জেনে রেখো তোমরা,
একটা প্রজন্ম আসছে,
যারা সব জানে,আদর্শ বুঝে,
ওরা মৃত্রুর হাহাকারে কাঁদে,
ওরা মায়ের চোখের পানি মুছে দেয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে,
ওরা লাশের আগুন থামাতে আসছে।
রন্ধ্রের আগুন অস্ত্রের মুখে থামবে না।
বোনের কান্না ওই কাঁপানো ভাষণ মিইয়ে দিতে পারবে না।