somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একমুঠো কৃষ্ণচূড়ার জন্য এসো

২৪ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অনিয়মিত ক্লাসরুমে নিয়মিত শেষ বেঞ্চে বসে উদাস চোখে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে থাকতো একটি উষ্কখুষ্ক চুলের কিশোর,
খাতার পাতায় গনিত না লিখে পেন্সিলের খোঁচায় একটি মায়াবতী মুখ আঁকার চেষ্টা করতো ছেলেটি,
বুকপকেটে কাচা হাতে লিখা এক টুকরো চিঠি নিয়ে ঘুরতো সে সবসময়,
শুধু একটুখানি মুহূর্ত পড়ন্ত বিকালের ওই মায়াবতীকে দেখার আশায় মাকড়শার বিনাশী জালে আঁটকে পড়া পোকাটির মতো তার চঞ্চল কিশোর মন ছটফট করতো,
ক্রিকেট ব্যাট হাতে বিকালগুলো বড় বেশি বিষণ্ণ লাগতো ওই কিশোরের,
মাঝে মাঝে তার প্রচণ্ড ইচ্ছা হতো সমস্ত জল্পনা-কল্পনার জাল ভেঙে বলে ফেলি- ভালোবাসি,ভালোবাসি,ভালোবাসি।

আমি ওই কিশোর বলছি,
যার পড়ন্ত বিকালগুলো সব হারিয়ে গেছে বটবৃক্ষের ছায়াতলে,
যার ভালোবাসাগুলি আজ ঘৃণ্য কোন অপয়াধের মামলায় সেজেছে,
যার কিশোর মন মিথ্যে অপরাধের ছায়ায় থেকে থেকে কারাগারের ওই রডগুলোর মতোই মরছে পড়ে গেছে।

অবুঝ মেয়েটি কিছুই বুঝল না, সবকিছু ভুল জেনে সে কখনোই বটগাছের ছায়ায় আসলো না, বুকপকেটে জমিয়ে রাখা ১১৩১ টি শব্দের মাঝে ছোট্ট একটি শব্দ শুনতে সে চাইলো না, শুধু তাকে একটিবার ভালোবাসি বলার অপেক্ষায় কোন এক কিশোর কত রাত ঘুমিয়েছে ইন্সমনিয়ার কোলে (?)-সে কখনোই জানতে চাইলো না।

পড়ন্ত বিকালের এলোচুলো কিশোরী,শুনো-
আমি না ইভটিজার নই,
বুকপকেটে ছোট্ট একটি চিরকুট হাতে বিকালের পর বিকাল যেসব ছেলেরা একনিষ্ঠ অপেক্ষা করে তারা ইভটিজার হতে পারে না,
স্রষ্টা তাদের ইভটিজার হওয়ার ক্ষমতা দেন নি।

মেয়ে আমায় ভেবে কষ্ট পেও না,
জেলের গরাদে আমি বেশ ভালো আছি।

শুধু কষ্ট পাই,
যখন শুনি- ক্লাসের শেষ বেঞ্চটিতে আজকাল কেউ আর বসে না,
বেঞ্চটি নাকি খালি পড়ে থাকে(?)।

শুধু কষ্ট পাই,
যখন শুনি- সিলিং-এর দিকে তাকিয়ে এখন আর কেউ উদাস হয় না,
কেউ নাকি এখন আর ক্লাস ফাকি দিয়ে একটি মায়াবতী মুখ আঁকার চেষ্টা করে না(?)।

মেয়ে তোমার জন্য আরেকটি চিঠি লিখেছি,
আর একষট্টিটি দিন মাত্র,
কারাগারের দেয়াল থেকে বেরুলেই তমাকে দিবো এটি।

মেয়ে শুধু একটি পড়ন্ত বিকালে এসো,
ওই বটবৃক্ষের ছায়াতলে একটুক্ষণ দাঁড়িও, একটি সবুজ শাড়ীতে আর একটি নীল টিপে সাজিও,
একমুঠো কৃষ্ণচূড়া তোমার খোঁপায় এঁটে দেবো।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×