ওই যে সাইরেন বাজে,তোমরা শুনতে পাচ্ছ?
ওই যে সাইরেন বাজে,মৃতের সাইরেন,
একটা মানুষ লাশ হয়ে যায়,
কিছু হাহাকার হয়ে যায়,কিছু পুরনো স্মৃতি হয়ে যায়,
অনেকগুলো দুঃখ বয়ে যায়।
ওই যে মানুষটা যাকে সকালে দেখেছিলাম,
সে এখন আর নড়ছে না দেখি না দেখি,
আবেগের বশে তার নাম ধরে দেকেছিলাম কয়েকবার,
একবারও সাড়া দেয়নি,নীরব,নিথর সব।
ওই যে চোখের জলে ভেসে যায় হাহাকারের উঠোন,
ওই মানুষটা কি দেখতে পাচ্ছে না?
মানুষটা তো এতো কঠিন কখনও ছিল না!
সে তো কারো কান্না সইতে পারত না,
সে তো কারো শোক সইতে পারত না,
এতগুলো মানুষের শোক হয়ে সে কেমনে শুয়ে থাকে?
এই যে ছেলেটা কাঁদছে,
মায়ের জন্য কাঁদছে,
মা হঠাত এতো নিষ্ঠুর হলেন যে,
মা তো একদাকেই দৌড়ে আসত,
আজ মা মা করে পুরো বাড়িতে শোকের মিছিল নেমেছে,
তবুও মা আজ নিশ্চুপ,
মা একবার কেন সাড়া দেয় না,শুধু একটিবার।
মানুষগুলো এত নিয়মতান্ত্রিক কেন?
প্রিয়জনকে মানুষ ওই মাটির ঘরে কেমনে রেখে আসে?
একখণ্ড কাপড়ে মুড়ে সে কিভাবে ওই মানুষটা একা থাকবে?
অতচ সে মানুষটা একদমই শীত সইতে পারত না,
মাঝে মাঝে বলত-“আমি শীত সইতে পারি না,তোরা আমার কবরে একটা কম্বল দিয়ে দিস।”
সেই মানুষটা তো একখণ্ড সাদা কাপড় ছাড়া আর কিছুই পেল না।
মানুষটি মারা গেল,লাশ হল,কবর হল,
নিউরনের কোণে একখণ্ড স্মৃতি হল,
অথচ এমন হওয়ার কিন্তু কথা ছিল না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




