somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোন পথে আগাচ্ছে দেশ ? ... আমরা কি আদৌ স্বাধীন ?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশের সরকারের কি নিজের অঙ্গ সংস্থানের উপর বিশ্বাস নেই ? মনে হয় না আছে । বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয় অনেক গুলো প্রক্রিয়ায় বি. সি.এস. পরীক্ষার মাধ্যমে । সরকার নিজেও তাদের মান নিয়ে সন্তুষ্ট । তারা অনেক জ্ঞানী । তাদের ভাগ্য কখন কিছু মূর্খ মানুষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না । আমাদের সকলের জানা আছে আমাদের বর্তমান সংসদ এর অর্ধেক এর মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত না জনগণের দ্বারা । তারা অধিকাংশই গডফাদার , খুনি , একাধিক মামলার আসামি । তারা নিজেরাই প্রশ্নবিদ্ধ । তাদের যোগ্যতা জাতি জানে কিন্তু কেউ ছুপ আছে ভয়ে কেউবা লোভে তাদের হয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে । আমাদের সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত হল , সংসদ সদস্যরা চাইলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে একজন বিচারপতিকে অপসারণ করতে পারবেন । এমন সিধান্ত সরকার কখনও নিতেন না যদি কিনা নারায়ণগঞ্জের ঐ সাতখুনের আসামিদের ধরার নির্দেশ বিচারপতি দিতেন । যিনি খুন করিয়েছেন তিনি সরকার পক্ষের আর যারা খুন হয়েছিল তারাও অনেকে সরকার পক্ষের । আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কখনও চান নি খুনিদের ধরা হোক আর উনি জানতেন ও খুনিরা যারা তাদের ওনার আদেশ ছাড়া ধরা হবে না । ধরা হলে তো ওনার ছোট ভাই শামীম ওসমানের সুকীর্তি জাতি জেনে ফেলবে । কিন্তু তার ইচ্ছায় বাধ সাধলেন একজন বিচারপতি যিনি প্রমান দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখবার । তার আদেশে ধরা হয়েছিল ঐ দুর্ধর্ষ খুনি যারা পোশাকের আড়ালে থেকে মানবতাকে পদতলিত করেছিল । তার পরদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অজ্ঞাত কারনে বলেছিলেন বিচারপতিদের সীমা লঙ্ঘন করা উচিত না । ঐদিন আমি বুঝেছিলাম উনি বিচারপতিদেরও ছাড়বেন না । তাই হল । নতুন আইন অনুসারে বিচারপতিদের অপসারণ করার ক্ষমতা সংসদের থাকবে । এর মানে সব বিচারপতি প্রধানমন্ত্রীর হাতে জিম্মি । তারা কোন ক্ষমতাশালী লোকের রায় আর ঠিকভাবে দিতে পারবে না । আমাদের দেশের শাসন বাবস্থাও এখন জিম্মি । এখন হয়ত কেউ ১০ খুন করলেও তাকে ধরবার আদেশ দেবার কেউ নেই । জানি অনেকে এর পরও বলবেন এটা ঠিক হইছে । তারা একটা জিনিস ভাবুন , কাল আপনার বাবাকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মেরে ফেলা হল । আপনি থানায় যাবেন কিন্তু কেউ আপনার কথা শুনবে না । পরে আপনি জানতে পারলেন আপনার বাবার খুনি কে কিন্তু তার পিছনে থাকা ক্ষমতার কাল হাতের জন্য আপনি তাকে কিছুই বলতে পারছেন না । কি করবেন আপনি ? কি ভাবে বুঝাবেন নিজেকে ?
এত বড় অপরাধের সাপোর্ট দেওয়ার পরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার ছোট ভাই ওসমানকে সংসদে দাড়িয়ে সবার সামনে দেখে রাখার ওয়াদা করেন । গোটা জাতির মুখে লাথি মেরেছিলেন উনি ঐদিন । উনি পারতেন খুন হওয়া একজনের সন্তানকে কোলে নিয়ে তার বাবার হত্যার বিচারের ওয়াদা করতে । না , করেন নি তিনি । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ওনার বুকে যে আঘাত লেগেছিল , আজ ঐ ছোট শিশুটির মনেও সেই আঘাত । হয়ত আল্লাহ ঐ শিশুটিকে একদিন ক্ষমতা দিতে পারেন তার বাবার খুনে সহযোগীদের বিচার করার । আমাদের আইন - শৃঙ্খলা বাহিনীরা তো সব থেকে অধম । ছাত্রলীগের বাচ্চা ছেলেরা পুলিশদের ধরে মারে । তারা নিজেরাই নিরাপদ না ছাত্রলীগ থেকে আমাদের কি বাঁচাবে !!

এ সব অন্যায় মানুষের কাছে পৌঁছাবার একমাত্র উপায় মিডিয়া । সংবাদপত্রের স্বাধীনতা উনি অনেক আগেই হরন করেছেন এখন নতুন করে টিভি চ্যানেলগুলোর স্বাধীনতা হরন করতে চলেছেন । কেউ তাঁদের অন্যায় অপরাদের কথা বলতে পারবে না । সব মুখ বুঝে সহ্য করতে হবে আমাদের । আসলে কি স্বাধীন নাকি নিজ দেশে থেকে পরাধীন । সারা বিশ্ব যখন গণতন্ত্রের জয়গান করছে , আমরা তখন আমাদের স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়েছি আমাদের নিজেরদের সরকারের কাছেই । আমাদের দেশে একজন সাংসদ একজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে সবার সামনে খোলা রাস্তায় । ভেবে দেখুন , আপনার পরিবারের কেউ নির্যাতিত হল ন্যায্য কথা বলতে গিয়ে রাজনীতি করে এমন কার দ্বারা । আপনি কিছুই বলতে পারছেন না সে আপনার মা , বোন , ভাই কিংবা বাবা কে লাঞ্ছিত করার পরও । আমাদের হাতে এখনও সময় আছে । আমরা পারব । শুধু অন্য কাউকে নির্যাতিত হতে দেখলে পিছনে না থেকে তার কাঁধে কাধ মিলিয়ে বলতে হবে এটা ঠিক না , আমরা বিচার চাই । আজ ভাবতেও কষ্ট লাগে আমরা সব জিম্মি কিছু অপরাধীদের কাছে । কোন পথে আগাচ্ছে দেশ ??

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×