somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রঙ্গিন ঝালর (ছোট গল্প )

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টুলির শ্বশুর এসেছে । টুলির বাবা কাঁধের গামছা
নামিয়ে হাত কচলাতে লাগল । মুখ ও ঠোটের রগগুলো কেঁপে কেঁপে উঠছিলো । কিছু বলতে
যাচ্ছিলো কিন্তু ভেতর থেকে বের হচ্ছে না ।

টুলির শ্বশুর বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিমায় রাহাতের সাথে টুলির দুর্ব্যবহারের নমুনা ফিস ফিস করে বলতেই থাকলো । টুলির সাথে রাহাতের বিয়ে হয়েছে সাত মাস । দাবিদাওয়া ছিলনা । টুলির চেহারা মিষ্টি , সেসব কথা উঠেনি ।

'বেয়ায় এবার যা হয় একটা কিছু করেন । ভাবলাম
মুবায়েলেই বলি ,আবার ভাবলাম মুখ দিইয়া কথা
বুলি ,মুখের দর্শণ না দিই তবে কথার স্বাদ
পাল্টাইয়া যায় । আর আপনারাও কি চিন্তা
করেন না করেন !'

'ঘটনা কিছু না , সকালে রাহাত মিয়া বলল , নাকের
মইদ্দে মুনে হয় বরণ হয়ছে দেখোতো টুলি ।
টুলি মা নাকি হাত দিয়া নাক সরায়া দিতে গেছে আর নাকের ডগাই লাগছে ঠাপ , কেমুন !
আমি আর কি বুইলবো বুলেন । এসব সমইস্যার
আমি কয়দিন সমাধান দিব ?'কথা বলতে বলতে
ঘেমে উঠেছিল টুলির শ্বশুর । টুলির মা তাল পাখা দিয়ে বাতাস করতেছিলো আপত্তি জানিয়ে ছিনিয়ে নিল সে । ততক্ষনে টুলির দাদাকে
উপস্থিত করা হয়েছে ।
তিনি ঘটনার অর্ধেক শুনে রায় দিলেন 'মাইয়ারে ভূতে পাইছে ।
তা না হইলে এমুন .........।'চিন্তাজড়িত কন্ঠে বলেন তিনি ।
"স্বামী বড় স্বজন
স্বামীরে ভজ মন ,
তবেই পাইবা তুমি খোদা দরশন "
বলেই মাথা দুলাতে লাগলেন । টুলির দাদা দবির
শেখ মেট্রিকুলেশন পাশ । বাংলা - ইংরেজী সব
বিষয়ের পন্ডিত বলেই মনে হয় । তবু অসংস্কার -
কুসংস্কার তার প্রিয় বিষয় ।তছাড়া ,যে সংস্কার পুর্বপুরুষ দিয়ে যায় তা ভোলা যায় না ।

দবির শেখ কে চেয়ার দেয়া হয়েছিল ,টুলির বাবা
তার পাশে মাটিতেই বসে পড়ল ।


আলোচনা শেষ করতে করতে ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকা
শুরু করেছে । উতসুক প্রতিবেশীরা কয়েকজন
এসেছিল । টুলির শ্বশুর ততক্ষনাত আলোচনা
থামিয়ে দিয়েছে । বিনয় আর মিষ্টি কথায় বিদায়
করেছে ।' পারিবারিক 'অতি গোপনীয় ।

'শেষ- মেষ সিদ্ধান্ত এই যে ,আপনার বাড়িতেই
ভাসান গানের আসর । ১৩ বৈশাখ '।
'যুগ যামানা বড় পালটাইছে বুঝলেন , বাচ্চারা
পর্যন্ত মুবায়েলে ন্যংটো নাচ দেখে । ভাসান
গানের শোরাতা পাইবেন কিনা সেইডা আগে দেখেন' ।
বলল টুলির শ্বশুর ।
টুলির মা মুখে কাপড় দিয়ে খাবার ব্যবস্থা করতে
চলে গেল । দবির শেখের অবশ্য খুব উতসাহ
দেখা গেল । বৃদ্ধ মানুষ একটা উপলক্ষ পেলে
বড় ভাল সময় কাটে । গল্প গুজবের দুটো লোক
পাওয়া যায় । টুলির বাবাকে নির্ভয় দিয়ে বলল
'শোন বড়ব্যটা তোর টুলির এবার বুদ্ধি হবেই ।
ভাসান গানের তিন নম্বর পালায় বেহুলা বালির যে
কান্দন তা দেখে গাছের পাতা ঝইরা পড়ে আর এ
ত তোর টুলির মন । গলিবেই গলিবে । বড়
সউয়ামী ভক্ত হবে তর টুলি । দেখিস না হয় , আমার কথা ফলে কি না ফলে '। আরও কিছু
বলার ইচ্ছা ছিল কিন্তু কেও হুঁ -না সাড়াও দিচ্ছে না দেখে থেমে গেলেন তিনি ।

বাঙ্গালী মুসলমান হয়েছে সাত-আট পুরুষ আগে
কিন্তু হিন্দু সংস্কৃতি ভুলতে পারেনি | মুসলিম
সংস্কৃতিও যোগ হয়েছে । সব বড় বড় সংস্কৃতির চাপ সমাল
দিয়ে এ থাকে কিনা তাই এখন শঙ্কা ।


(১) সাপে কাটা রোগীর বিষ নামছে না ,
ওঝার নির্দেশে দিতে হবে "পদ্মপুরাণ " গানের মানসা |
(২) গোয়ালের গরু অসুখে দমাদম মরছে , "মানিক পীরের গান " |
(৩) খুব বড় বটের গাছটা কাটতে হবে জ্বীনের বাদশাকে খুশী রাখতে "মাদার গান " |
(৪) নতুন বিয়ে দেয়া ছেলে - মেয়ের মিল হচ্ছে না " ভাসান গান "(পদ্মপুরাণের অন্য রূপ ) |
ইত্যাদি ।

বিশ্বায়ন আর প্রযুক্তি রাবনের মত গ্রাস করে চলেছে এগুলোকে ।
তবু গ্রাম্য দু -একজন মূর্খ যুবকের মুখে এখোনো শোনা যায় -
" আগে জদি জানতাম আমি তুমি মানিক পীর '
আগে দিতাম দুগ্ধ কলা পাছে দিতাম ক্ষির ।।
ওও হ ।।রে ওহরে ..."।।

টুলিদের বাড়িতে ১৩ই বৈশাখ এসেছে যথা
নিয়মে । বাড়ির বাইরে ঝলমলে সামিয়ানা টঙিয়ে চকির অবকাঠামোয় মাটির সিঁড়ি দিয়ে
মঞ্চ বানানো হয়েছে । ভাসান শিল্পী সবাইকে
পাওয়া যায়নি । যারা এসেছে তাদের নতুন গামছা
, নগদ তিনশ করে টাকা ও নেভী সিগারেট দিতে
হয়েছে ।

সস্তা মেকাপে পুরুষ ছোকরারা মেয়ে সেজে
"ভেংটি সাপের লেজটা কাটা , ভেংটি সাপের
লেজটা কাটা "টাইপ তালে নাচতে লাগল । মঞ্চের
চারিদিকে খই -মুড়ির ডালায় নাড়ু ,সন্দেশ ,
বাতাসা ,কলা ,দুর্বা ঘাস ,প্রভৃতি শোভা পেতে
লাগল ।
সাথে ধূপের ধোয়া কুন্ডলী পাকিয়ে উঠল । ঢোলের তালে হ্যাচাক বাতির কেরসিন পোড়ার শব্দও শোনা গেল না ।কিন্তু শ্রোতাদের ভীড় গানের চেয়ে বাদাম ,জিলাপীর
দোকানে বেশি জমে উঠল । টুলি আর রাহাতের
পাশাপাশি দুটি চেয়ার পাতা হয়েছে মঞ্চের খুব কাছাকাছি ।
কালো পাড়ের টকটকে গোলাপী শাড়ী ও ছোট্ট
কালো টিপের সরল সাজে আপুর্ব এক কিশরী
রাহাতের পাশে গিয়ে বসল ।


এশার আজানের জন্য গান কিছুক্ষন বন্ধ রাখা
হয়েছিল , এ সময় মেয়ে সাজা ছোকরাদের
সিগারেট ফুকতে দেখে টুলি অবাক হল,রাহাতের
দিকে ঝুকে এসে কি যেন জিজ্ঞেস করল |
রাহাত শব্দ করে হাসতে গিয়েও নিজেকে সামলে
নিল ।
মেয়ে সাজা এই ছোকরারা যে ,ছেলে তুমি জান না?

কি? পাল্টা প্রশ্ন করল টুলি ।

আবার ঢোল কাঁশির তালে শুরু হল তৃতীয়
পালার গান |
ইস, এই মেয়ে-সাজা ছোকরারা যে , ছেলে এটাই
জানে না টুলি |
সে গ্রামের মেয়ে বটে, রঙ্গিন ঝালরের এতো কাছে
এসে দেখার সুযোগ ত তার হয়নি ।
আর কতই বা বয়স তার ।

রাহাত প্রতিজ্ঞা করে ,টুলির উপর সে আর রাগ করবে না ।


ভাসান গানের এ পর্যায়ে লক্ষিন্দরকে সাপে কাটবে । মনসা (পদ্মা) সাজা ছোকরাটি
ঝমক ঝমক ,ঝম ঝম তালে নাগিন নৃত্য করে চলেছে ।
পোড়া মাটির সরায় ধূপ ছিটিয়ে , বাতাস দিয়ে ধোয়া বাড়ানো হয়েছে |
সুরভিত ধোয়া ।
শ্রোতারা এবার জিলাপীর দোকানওয়ালা ছেড়ে
মঞ্চ ঘিরে ধরেছে । সবার আগ্রহ এই
বিশেষ পর্বে ।
অনেকক্ষন নাগিন নৃত্য হয় |
উপস্থিত সবাইকে টুলি চিনেনা ঠিকই , কিন্তু
সকলেই তার গাঁয়ের কিংবা পাশের গাঁয়ের |
শ্রোতারা নাগিন নৃত্য শুধু দেখছে না । মায়া মায়া
চোখে টুলির দিকেও তাকাচ্ছে । সে চোখের ভাষা বলছে - তুমি ভূতে পাওয়া,
তুমি আমাদের দলে নও । তুমি ভূতের দলে ।

নাগিন নৃত্যকারিনী ' মনসা 'এবার মঞ্চ ছেড়ে এসে
টুলিকে ঘিরে ধরল । সাপের মত দেহ বাঁকিয়ে
নাচতে লাগল |
টুলি লজ্জায় লাল হয়ে গেল । দেহের সব রক্ত কান
ফুটে বের হতে চাইছে । কান্নার ঢেউ চেপে
আসছে । সে কাঁদবে না , কিছুতেই না |
কিন্তু এ অপমান আর কতক্ষন !


মনসা আবার মঞ্চে ফিরে এসেছে । বেহুলা -লক্ষিন্দর রাজকীয় পোষাকে , সোনালী চাদরে ঢাকা ।
যেহেতু তারা মঞ্চে শুয়ে আছে , সুতরাং মঞ্চকেই
লোহার বাসর কল্পনা করতে কারোও অসুবিধা
হচ্ছে না ।

ধুপের ধোয়া বাড়িয়ে দেয়া হল । হিস হিসস শব্দ
করে মনসা লক্ষিন্দরের পায়ে ছোবল দিল । মনষা অদৃশ্য (প্রস্থান ) হয়ে গেছে |
আকস্মিকভাবে ঢোল কাঁশীর রাগ থেমে গেল |
লক্ষিন্দর এবার জেগে উঠে । মোটা বাঁশির দুখিনী
সুরের সাথে কন্ঠ মিলায় -,
"বিষে অঙ্গ আমার জর জর ,
উঠো বেওলা বালি আমায় ধর ধর |
কি নাগে দংশিল আমায় ,কালনাগিন হে .........।।"
বেহুলা জাগল না ।
বার বার সুরে টান দিতে দিতে এক সময়
বেহুঁস হয়ে পড়ে যায় ।


এবার বেহুলার পাট , বেহুলা উঠে দেখে স্বামীর
নিথর দেহ পড়ে আছে । সর্প দংশনে মুখমন্ডল
নীল ।
শুরু হয় বেহুলার লাঞ্ছনা -গঞ্জনার আর দুঃখের পালা।
প্রাণ রক্ষার জন্য মৃত স্বামীকে নিয়ে কলার ভেলায়
গঙ্গায় ভাসে । সর্গপুরী পর্যন্ত পৌছাতে , সিমাহীন
কষ্ট । আহ ! স্বামীর জন্য কি কষ্ট !
চাদ সওদাগর কোন সাহায্য দেয়নি । অসতী
অপবাদ দিয়েছে ।

বেহুলা তাই এবার দর্শকদের কাছ থেকে সাহায্য
(টাকা) আদায় করতে নেমেছে । এই পর্বটা
শিল্পীদের বানানো |
টুলি- রাহাতকে ঘিরে বেহুলা চরিত্রের ছোকরাটি নাচে ,গায় , টাকা
তুলে ।


বিরক্তে- লজ্জায় টুলির মরে যেতে ইচ্ছা করে ।
কাঁদতে ইচ্ছা হয় , প্রচন্ড । কিন্তু সে এত দুর্বল
নয় , কিছুতেই কাঁদবে না ।
বেহুলাবালির উপদ্রপ চলতেই থাকে । একসময়
অজান্তেই টুলি লজ্জার শেষ সীমায় পৌছায় । দু
চোখ বেয়ে জলধারা নামে । বৈশাখের গুমসি
রাতে চারিদিকে জয় হর্ষ উঠে ।
'জয় বেহুলা ,জয় বেহুলা ।'
কারণ উদ্দেশ্য সফল হয়েছে|
টুলির চোখে পানি এসেছে |
টুলির মন গলেছে । স্বামীভক্তি বুঝতে পেরেছে ।
টুলির বাবার ঠোটে বাঁকা হাসির রেখা দেখা যায় ।
লাল গনগনে শিখায় হ্যাচাক বাতির কাঁচ গলে পড়ে | একটা দমকা বয়ে যায় । দপ করে খসে পড়ে হ্যাচাক বাতির ছাইএর ফিলামেন্ট ।টর্চের আলো ফেলা হয় টুলির মুখে , ছোকরার মুখে । টুলি এবার শব্দ করে কেঁদে উঠে ।
অনেক দুর থেকে সেই শব্দের সাথে আরেকটা
শব্দ পরিস্কার শোনা যায় ।
ও বেওলা , গোহ বালি গোওওও
..................।।
২১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামাস বিজয় উৎসব শুরু করেছে, ইসরায়েল বলছে, "না"

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৮



গতকাল অবধি হামাস যুদ্ধবিরতী মেনে নেয়নি; আজ সকালে রাফাতে কয়েকটা বোমা পড়েছে ও মানুষ উত্তর পশ্চিম দিকে পালাচ্ছে। আজকে , জেরুসালেম সময় সন্ধ্যা ৮:০০টার দিকে হামাস ঘোষণা করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×