অনেক দিন ধরে সামু চলমান বিতর্ক দেখছি। নিজেকে একটু গুটিয়ে রেখেছিলাম এই বিতর্ক থেকে । কারন আমার কাছে যাকে ভাল লাগবে অন্যের তা লাগবে এটা তো হয় না। আমার ভাল লাগে কাচ্চি । আমার ভাল লাগে ৫৫৫ সিগারেট। কারো ভাল লাগে চাইনিজ এবং বেনসন। এটাই স্বাভাবিক। এবং খুব সহজে এটা মেনে নেয়াটাই উত্তম। আপনাকে যদি আমার ভাল না লাগে। জোর করে কেউ ভাল লাগাতে পারবে না। আর জোর করাটাকে আমি মূর্খতা হিসাবেই নিব।
হুমায়ূন আহমেদ নিজ গুনে নিজস্ব পাঠক তৈরি করেছেন। কেউ যদি বলে তিনি যা লিখেছেন তা সাহিত্য উত্তীর্ণ হয় নি। আমি বলব আমরা ঐ অখাদ্যের জন্যই নিজেকে তৈরি করেছি। তিনি আমাদের জোর করে তার বই কিনতে বাধ্য করেন নি। বই মেলায় তার কারনেই একটা বই হলেও কিনেছি। আমি কি কিনব সেটা কেউ আমাকে বলে দিবে তা ত হয় না। ব্যক্তি জীবনে তিনি কি করেছেন সেটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। শুধু বলব যা করেছেন সামাজিক নিয়মের ভিতর থেকেই করেছেন। শাওন কে বিয়ে না করে লিভ টুগেদার করলে হয়ত অনেক খুশী হত।
একজন শ্রেষ্ঠ লেখকের গল্প নিয়ে একজন শ্রেষ্ঠ পরিচালক শ্রেষ্ঠ নায়ক নায়িকা নিয়ে সিনেমা বানালেই কি তা সুপার হিট হবে? সিনেমা সুপার হিট হবে দর্শক ব্যাপক ভাবে গ্রহণ করলেই।
তেমনি কোন লেখক কাল জয়ী হবে তা পাঠকরাই নির্ধারণ করবে।
হুমায়ন আজাদ লেখক হিসাবে আমি মনে করি জটিল। তিনি কিছু লেখার আগে বেপক পড়াশুনা করতেন বলেই আমি বিশ্বাস করি। তার অনেক বই আমার সেলফে শোভা পাচ্ছে। তিনি নাস্তিক না আস্তিক তা আমার কাছে মুখ্য নয়। তবে তিনি জনপ্রিয় হবার জন্য শেষের দিকে যৌনতা এবং ধর্ম কে ব্যাবহার করেছেন। এটা একান্তই আমার নিজের ধারনা। কারন ইসলামের বিপক্ষে লিখলেই ছাগুরা চিল্লাবে এবং কতল করার হুমকি দিবে। আর এটা দেখিয়ে বিদেশে আশ্রয় নেয়া টা সহজ। দুই চারটা পুরস্কার পাওয়া যাবে। যেমন সালমান রুশদি। সালমান রুশদির মিড নাইট সান ছাড়া পড়ার মত আর কোন বই আমি পাই নি।
তসলিমা নাসরিন সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। এক শাওনের জন্য যদি হুমায়ূন আহমেদ এত ঘৃনার পাত্র হন তাহলে .....................। লেখিকা হিসাবে কি আর বলব। সামুর যে কোন লেখক লেখিকা তার চাইতে ভাল লেখেন। তাছাড়া তিনি একজন ভাড়াটে লেখিকাও। আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উচিত তাকে দেশে আশার অনুমতি দিয়া প্রমান করা বর্তমান সরকার মৌলবাদের কাছে মাথা নত করে নাই। এবং দেশে এখন কোন জঙ্গি মৌলবাদ নেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তাহলেই তার মুখস খুলে পড়বে। তিনি যে কোন ছুতা ধরে দেশে না আশার ভান ধরবেন। বলবেন তিনি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। কেন না কোন কাজ না করেই তিনি বসে বসে টাকা কোথায় পাবেন।