সকালের হাল্কা, মিষ্টি, ঝাঝালো রোদ। জানালায় পাতলা হলুদ রঙের পর্দা, জানালায় গ্রিল বলতে ৪ টা লম্বা করে লাগানো লোহা এর বেশি কিছু না। বাহিরে বাতাস; বাতাসে মিহি ধুলার গন্ধ, পাতলা শিশিরের ছোয়া এবং সদ্দ ফুটা ফুলের ঘ্রান ও রেনু মিশে আছে। জানালার একটা পাটাতন ৪৫° ডিগ্রি মতন আরেকটা পুরপুরি খোলা। বাতাসে অবস্থান পরিবর্তন করেছে পাটাতনেরা। সাথে পর্দা জোড়াও মেতেছে বসন্তের লুৎ হাওয়ায়, একবার উড়ে যাচ্ছে সিলিং ফেনের উচ্চতায় আবার গিয়ে গ্রিলকে আকড়ে ধরে। বিরতিহীন তাদের এই নাচ! টেবিলের বই পত্র কম না তারাও নাচবে বলে ঠিক করেছে, কখনো ৫ পৃষ্ঠায় কখনো ১২ পৃষ্ঠায় কখনো বা ৪৫ আবার ৮৭ তে। বাতাসে পৃষ্ঠা উড়ে উড়ে যেনো রেণ্ডম নাম্বার জেনারেট করার ফাংশনকে হার মানাতে চাইছে।
বাহিরে মেহগনির লাল পাতার মাঝে দিয়ে বয়ে চলা বাতাসে তৈরি হওয়া এক অদ্ভুত মেলোডি। হুট- হাট ডাল-পালা বারি খেয়েও তৈরি হচ্ছে এক রকম মেলোডি। মাঝে কয়েকজনের পদদলিত হয়ে শুকনো পাতার মরমর শব্দ তৈরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে পৃথিবীর যেকোনো অপেরাকে হার মানানোর তিব্র চেষ্টা। মাঝে রঙ্গিন কসমস ফুল থেকে মধু গিলে ভারি হয়ে থাকা মৌমাছির উড়ার শব্দ "ভম...... জি....ভম....."।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



