সব প্রশ্ন করা হয়ে উঠে না। সব প্রশ্নের উত্তর হয়না। কিছু প্রশ্ন সামনের জনকে না করে নিজেকেই করা উচিত,
-প্রশ্ন করে লাভ কি? যা হওয়ার হয়ে গেছে! প্রশ্ন করলেই কি ঠিক হয়ে যাবে?
-না হবেনা।
-তাহলে? খামোখা এই প্রশ্নের কোন মানেই হয়না।
সব প্রশ্নের উত্তর হয়না। আপনার প্রশ্নের উত্তর আছে কি নেই তা নির্ধারণ চাইলে আপনিই করতে পারেন। উত্তর নেই এমন প্রশ্ন করে তো একটা সুন্দর মুহূর্তকে নষ্ট করার মানে হয়না। উত্তর না দিতে পেরে হয়ত সে নিজেকে ছোট মনে করলো, আপনি তাকে উত্তরহীন প্রশ্ন করেছেন তাই আপনার প্রতিও মনের অজান্তে ঘৃণা অথবা ভয় তৈরি হবে তাঁর মনে। দূর থেকে আপনাকে দেখে এড়িয়ে যাবে।
কোন প্রশ্নের উত্তর এত গভীর এবং এত বেদনাদায়ক যে শুধু উত্তরদাতাই জানেন সেই ব্যাখ্যাতীত গভীরতা এবং বেদনার দ্বারপ্রান্ত কোথায় (উদাহরণ দিচ্ছি না)। এমন সময় উত্তরদাতা বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়তে পারেন, চাইলেও হয়ত তিনি আবেগ আপ্লুত হতে পারবেন না। কারণ প্রশ্নকর্তা তাঁর উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছে, তখন তাঁর আবেগ থেকে বড় হয়ে যায় প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের প্রতি সম্মান দিয়ে এর সুন্দর করে উত্তর দেয়া।
আবার ক্ষেত্রবিশেষে প্রশ্ন করা মানে বেয়াদবি করা। উত্তরদাতা ক্ষমতাবান এবং উঁচু মর্যাদার কেউ যদি হয় তাহলে আপনার কৌতূহল তিনি দেখবেন না। তিনি দেখবেন তাঁর তৈরি নিজের প্রতি নিজের ভ্রান্ত ধারনা আর ভ্রান্ত আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কিনা।
সব উঁচু মর্যাদার মানুষকে এমন দাম্ভিকদের দিয়ে মাপাও ঠিক না। যাদের মর্যাদা উঁচু, কিন্তু শিক্ষা পানিস্তর থেকেও নিচু। অনেকেই আছেন যারা এমন কৌতূহল বুঝতে পারেন এবং খুব সাদরে ও আনন্দের সাথেই গ্রহণ করেন।
এত কিছুর পরেও প্রশ্ন করতে হবে। জানার ইচ্ছাই জিজ্ঞাসা হলে জানার মাধ্যমই প্রশ্ন। প্রশ্ন কীভাবে করতে হয় জানতে হবে, কীভাবে প্রশ্ন করলে মানুষের মনে ভয়-ঘৃণা তৈরি হবে না। উঁচু নিচু ভেদাভেদে কীভাবে প্রশ্ন করলে বেয়াদবি হবে না।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



