বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন অপারেটরের ১১.৬৫ কোটি গ্রাহক রয়েছে। কল চার্জ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। কিন্তু এবার এসব গ্রাহকদের জন্য দুঃসংবাদ হলো কার্যত, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই প্রতি কলে অতিরিক্ত চার্জ বসানোর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন জানান, ১লা সেপ্টেম্বর থেকেই ফোন কলের ওপর অতিরিক্ত সারচার্জ বসানো সব প্রক্রিয়া শেষ। বাজেট সেশনে এ নিয়ে অর্থমন্ত্রীতো কথা বলেছিলেনই, এখন শুধু অর্থ এবং আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে অনুমতি নিতে হবে।
গোলাম হোসেন জানান, আগে মোবাইল কলের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রচলিত ছিলো, এর সাথে যোগ হলো ১ শতাংশ সারচার্জ। মানে আপনি আগে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে কার্যত ৮৫ টাকার কথা বলতে পারতেন আর এখন ১ শতাংশ সারচার্জ যোগ হওয়ার পর সেটা দাঁড়াবে ৮৪ টাকায়। এই চার্জ ভয়েস কল, এসএমএস, মাল্টিমিডিয়া মেসেজ এবং ডাটার ক্ষেত্রে একইভাবে প্রযোজ্য হবে।
শকতরা ১ টাকা সারচার্জ অনেক কম মনে হলেও প্রতিবছর এ খাত থেকেই ৫০০-৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করা সম্ভব হবে, যা কিনা শিক্ষাখাতে ব্যয় করা যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
কলের ওপর অতিরিক্ত চার্জ বসানোর সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মানসুর বলেন, "এটা ভালো আইডিয়া না, এমনিতেও গ্রাহকরা ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিচ্ছে, কেন তাদেরকে আরেকটি সারচার্জ দিতে হবে?"
তিনি বলেন, অতিরিক্ত সারচার্জ সামষ্টিকভাবে অর্থনীতির ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলবে। এই সিদ্ধান্ত এমন সময় নেয়া হলো যখন কিনা মোবাইল ফোন মানুষের ব্যবসা এবং অন্যান্য আর্থিক কার্যাবলীর ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে।
মোবাইল অপারেটররাও মনে করেন, ১ শতাংশ সারচার্জ এ খাতের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করবে এবং এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্তরায়।
অতিরিক্ত চার্জ মানুষকে কল করা থেকে বিমুখ করতে পারে বলেও মত দেন গ্রাহকরা।