somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব এক )

০১ লা জুন, ২০২০ সকাল ৮:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রথম অধ্যায়

সূর্যের তেজ কিছুটা কমে এসেছে তখন। আকাশে লাল আভা ছড়িয়ে আছে, অতিকার স্কাইজায়ানগুলো হলুদ আলো বিচ্ছুরিত করতে করতে অবিরাম ছুটে চলছে আকাশের বুকে। রাস্তার দুধারে সারি সারি দানবাকৃতি দু-তিন হাজার তলা বিশিষ্ট কংক্রিটের বিল্ডিং, রাস্তার মাঝখানে বিভিন্ন আকৃতির গ্রাউন্ডফ্লায়ারগুলো ভূমি থেকে সামান্য উঁচুতে ভেসে প্রচণ্ড গতিতে ছুটে চলছে যে যার মত।

গত চার হাজার বছরে পৃথিবীর কতটা পরিবর্তন হল সেটা বুঝার চেষ্টা করছে নিউক। বাতাস সামান্য ভারী, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, অভিকর্ষ বলের তারতম্যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হল নিউককে। আর কি কি ধরণের পরিবর্তন হয়েছে সেটা এই মূহুত্যে ধরতে পারছে না সে তবে কেমন জানি একটি দম বন্ধ করা অস্বস্তি পেটের ভেতর টের পায় নিউক। অনেকক্ষণ ধরেই তার মনে হচ্ছে কি জানি নেই এই জগতে! ব্যাপারটি কি সে ধরতে পারছে না। মনের ভিতর কেমন জানি একটি খচখচানি কাজ করছে অবিরাম।

সে নিজেকে সামলে সামনের দিকে পা বাড়ায়, মানব সভ্যতা আজ এতোটা এগিয়ে যাবে ভাবতে পারেনি নিউক। রাস্তায় কর্মব্যস্ত মানুষ এবং রোবটগুলো হেটে চলছে যে যার মত, সবার শরীরেই বিচিত্র ধরনের সব পোশাক। রোবটগুলো বিভিন্ন আকৃতির, কারো মানুষের মত দুটি করে হাত-পা, কারোবা আট দশটি দেখতে অনেকটা অক্টোপাসের মত, মাথার নিচের অংশটুকু মানুষের-মত কৃত্রিম সিনথেটিকের চামরা লাগানো, তবে মস্তিষ্কগুলো সবারই চকচকে ধাতব দিয়ে তৈরি, সেখান কোন কৃত্রিম চামড়ার প্রলেপ দেয়া হয়নি।

নিউক ছোট ছোট পায়ে সামনে এগিয়ে চলে, সামনে একটি জটলা দেখতে পায়। নিউক ভিড়ের মাঝে দেখে একটি তরুণীকে কেন্দ্র করে কয়েকজন রোবট দাঁড়িয়ে আছে। সবার হাতেই ভয়ানক অস্ত্র। রোবটগুলো সম্ভবত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সবার শরীরেই একই রকমের বিচিত্র পোশাক। তরুণীটি দেখতে ছিমছাম গড়নের, চুলগুলো খাটো করে ছাটা, বাজপাখির ঠোটের মত লম্বা নাক, চোখেমুখে দারুণ ক্ষিপ্ততা, শিকারি পাখির-মত চারদিকে তাকিয়ে যেন পরখ করে নিচ্ছে অস্ত্রধারী রোবটগুলোকে।

একটি রোবট সাবধানে সামনে এগিয়ে তরুণীকে ধরতে গেলে তরুণী কুংফু মেরে ফেলে দেয় রোবটটিকে, কোক করে শব্দ হয়, তারপর তরিগরি করে একটি খাম্বার পিছনে আশ্রয় নেয়। রোবটগুলো এবার ভয়ানক অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি রশ্মি নিক্ষেপ করে, রশ্মির ফলাগুলো তরুণীর পিছনের দেয়ালে লেগে ধসিয়ে দেয় দেয়াল, ভয়ানক রশ্মির নীল আলোতে চারদিক ছেয়ে যায়। তরুণীও তখন কোমর থেকে ছোট অস্ত্র বের করে রশ্মি ছুড়ে, একটি রোবট রশ্মির আঘাতে ছিটকে পরে, আরেকটি রোবটের চকচকে ধাতব মস্তিষ্ক চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় রশ্মির আঘাতে, শরীরের সিনথেটিকের চামরা গলে বিচ্ছিরী পোড়া রাবারের গন্ধ বের হয়, শরীরের ভিতর থেকে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ বের হয়ে আসে, শট সার্কিটের চড়চড় শব্দ হয়। অন্যান্য মানুষ এবং রোবট যারা এতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তমসা দেখছিল তারা সবাই নিজেদের সামলে নিরাপদ দূরত্বে সরে যায়।

এবার বাকি রোবটগুলো সামনের দিকে অস্ত্র বাগিয়ে কুজো হয়ে রশ্মি ছড়তে ছুড়তে এগিয়ে যায়। তরুণীটি এবার অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পরে। তরুণীটি একেবেকে নিজেকে রশ্মি থেকে বাঁচিয়ে কৌশলে পালাতে নেয় আর তখনই পিছন থেকে আরেকটি রোবট লাথি মেরে ফেলে দেয়। তরুণীটিকে কয়েকজন রোবট ধরে শক্ত করে বেধে ফেলে।

রাস্তায় ডানে তখন একটি অতিকায় স্কাইজায়ান এসে নামে, স্কাইজায়ানের পাখার দমকা বাতাস এসে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতার শরীরে আছড়ে পরে। স্কাইজায়ান থেকে বের হয়ে আসে একজন উঁচা লম্বা নারী, চুলগুলো জট বেধে নাভির কাছে এসে ঠেকেছে, চেহারা দেখতে কুৎসিত, চেহারায় অসংখ্য দাগ, চোখে চশমার মত কিছু একটা পরে আছে, চশমার কাচের আড়ালে ধূর্তের মত চোখ, দেখলে মনে হয় এই মাত্র নরক থেকে উঠে এসেছে কোন পিচাশীনি। প্রাচীন পৃথিবীতে সম্রাটদের যেমন করে মানুষ মাথা নামিয়ে কুর্নিশ করত ঠিক তেমনি অস্ত্রধারী রোবটগুলোও এই পিচাশীনিকে কুর্নিশ করল।

ভয়ানক মহিলাটি তরুণীটির সামনে এগিয়ে গিয়ে সঝরে তার গলা ধরে শূন্যে উঠিয়ে ফেলল। তরুণীটিকে দু-হাত দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার বৃথা চেষ্টা করছে। কিছু একটা জিজ্ঞেস করছে তরুণীকে, তরুণীটি নিজের মুখ শক্ত করে থুথু ছিটিয়ে দেয় ভয়ানক মহিলাটির মুখে। ক্ষেপে যায় মহিলাটি, তরুণীটিকে পুতুলের মত আচড়ে মারে রাস্তায়। তরুণীটি ভূমিতে আচড়ে পরে সামান্য শূন্য ভেসে ছিটকে পরে কিছুটা দূরে। মহিলাটি চোখ দিয়ে কিছু একটা ইশারা করে পূনরায় স্কাইজায়ানে গিয়ে উঠে, আইনশৃঙ্খলা রোবট বাহিনী তরুনীকে টেনে তুলে দূত মহিলাটীকে অনুসরন করে স্কাইজায়ানে উঠে পরে। ইঞ্জিনের গমগম গর্জন করে স্কাইজায়ানটি উড়ে চলে যায়।

এতক্ষণ যারা তমসা দেখছিল সবাই যে যার মত চলে যেতে থাকে। “এরা কারা? ওই পিচাশ মহিলাটি কে যে তরুণীটিকে ধরে নিয়ে গেল?” পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক রোবটকে জিজ্ঞেস করে নিউক।

রোবটটি নিজের চকচকে ধাতব মাথাটি ঘুড়িয়ে তাকায় নিউকের দিকে। নিউকের পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার পরখ করে নেয়। প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলে “তুমি কে?”

“প্রশ্ন দিয়ে কখনো প্রশ্নের উওর হয় না!” বেশ বিরক্ত নিয়ে বলে নিউক।

“তুমি সত্যিই জানো না ইনি কে?” তার ধাতব মুখে এক ধরনের আশ্চর্যের ভাব ফুটিয়ে তুলে বলে রোবটটি।

একটু থেমে আবার বলে “তোমার মাথাটা দেখতে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড়, কিন্তু বড় মাথা হলে কি হবে মগজে কোন বুদ্ধিশুদ্ধি নেই মনে হচ্ছে! দিন দুনিয়ার কোন খবর তুমি রাখ না!”

বড় মাথা বলাতে নিউকের আত্মসম্মানে বাধে, নিউক বয়সে তরুণ, বয়স বড়জোর সাতাশ হবে, শক্তপোক্ত চেহারা, লম্বায় মাঝারী সাইজের, মূখ-মণ্ডল দেখতে লম্বাটে, চোখের রঙ ধূসর বর্ণের। এই বয়সের তরুণদের কটু কথা বদ হজম হয়, নিউকেরও তাই হল, তার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেল, চোয়াল-জোরা শক্ত হয়ে এলো।

“আমাকে বড় মাথা বলার আগে নিজের দিকে তাকা ব্যাটা আট পা-ওয়ালা অক্টোপাস কোথাকার। মনে হয় তোর পাছায় লাথি মেরে ফেলে দেই!” বিড়বিড় করে বলে নিউক।

রোবটের ভিতরের কম্পিউটার নিউকের কথা প্রসেস করতে সময় নেয় বেশ, অনেক কথাই বুঝতে পারে না, তবে এটুকু বুঝতে পারল যে নিউক বেশ রাগান্বিত তার উপর। তার ভিতরের কম্পিউটার এই মাত্র বলল চেহারায় দুখি একটা ভাব ফুটিয়ে তুলতে, রোবটটি রেডিয়ামের চোখের ঔজ্বলতা কিছুটা কমিয়ে আনল, চেহারায় মাত্রারিক্ত আবেগ ফুটিয়ে বলল “আহা রাগ করছ কেন? শুন একজন স্বাভাবিক মানুষের মস্তিষ্কের আয়তন ১০৫০ কিউবিক সেন্টিমিটার, কিন্তু তোমার মস্তিষ্কের আয়তন প্রায় ১২০০ কিউবিক সেন্টিমিটার। তাই তোমাকে বড় মাথা বলেছি, তুমি যদি কিছু মনে কর আমি দুঃখিত।”

এবার নিউকের রাগ কিছুটা প্রশমিত হল।

আবার বলল রোবটটি “তুমি এখনো রেগে আছ দেখছি। তোমার প্রশ্নের উওর দেই যেই অস্ত্রধারী রোবটদল দেখলে এরা এই গ্রহের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে আছে, আর যে স্কাইজায়ান থেকে বের হল তিনি জেনারেল গ্রাটিয়া। আমাদের গ্রহের মহান শাসক মহামান্য উথার। তিনিই বিগত ত্রিশ বছর ধরে শক্ত হাতে এই গ্রহ পরিচালনা করছেন। তিনিই জেনারেল গ্রাটিয়াকে বিজ্ঞান পরিষদের প্রধান করেছেন। তাই মহান শাসক মহামান্য উথারের পরই এই গ্রহের সবচেয়ে শক্তিশালী হচ্ছেন জেনারেল গ্রাটিয়া।”

“ইনি বিজ্ঞান পরিষদের প্রধান কি করে হন? একজন জেনারেলকে বিজ্ঞান পরিষদের প্রধান করল কেন?”

রোবটটি নিউকের কাছে ঝুকে এসে তথ্য সরবরাহ করার ভঙ্গিতে নিচু গলায় বলল “বিজ্ঞান পরিষদ এই গ্রহের নিতি নির্ধারণ করে থাকে। বিজ্ঞান পরিষদের উপর পুরোপুরি কতৃত্ব স্থাপনের জন্য তিনি তার কাছের লোক জেনারেল গ্রাটিয়াকে বিজ্ঞান পরিষদের প্রধান করেছেন। তাছাড়া আমাদের এই গ্রহে বিদ্রোহীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে তাই উনাকে বিজ্ঞান পরিষদেরও দায়িত্ব দিয়া হয়েছে, সব কিছু নিয়ন্ত্রণের জন্য। যেই তরুণীটিকে ধরে নিয়ে গেল সে একজন বিদ্রোহী ছিল।”

নিউক বেশ চমকে বলল “বিদ্রোহী! এরা কারা, তাদের উদ্দেশ্যই বা কি?”

“আহা আস্তে কথা বল। দেয়ালেরও কান আছে, এই বিদ্রোহীরাই আমাদের গ্রহের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে। খবরদার এগুলো নিয়ে কথা বলা নিষেধ, জেনারেল গ্রাটিয়ার লোকজন জানলে ধরে নিয়ে যাবে।” ফিসিফিসিয়ে বলে রোবটটি।

নিউকের এই বিদ্রোহীদের নিয়ে আর মাথা ঘামাতে ইচ্ছে করছে না, তবে সেই তরুণীর কোমল চেহারাটা তার মন থেকে মুছে ফেলতেও পারছে না কিছুতেই! তার মনের ভিতর অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কিন্তু আপাতত পেটে টান পরেছে, দুদিন ধরে পেটে দানাপানি কিছু পরে নাই। নিউকের আর কথা বাড়াতে ইচ্ছে হল না, সামনের দিকে পা বাড়াল সে। একটু এগুতেই হাতের ডানে একটি রেস্টুরেন্ট পেয়ে যায়। সেখানে ঢুকেই দেখে একজন লাল পোশাক পরা ওয়েটার, ওয়েটার তাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলে “আসুন স্যার।” রেস্টুরেন্টটির চারপাশে আরও মানুষজন বসে কেউ খাচ্ছে, কেউবা বন্ধুদের সাথে খোশ গল্প করছে। এখানে বসুন স্যার একটি খালি আসন দেখিয়ে বলে ওয়েটার মেয়েটি।

“আপনার পছন্দের খাবার নিয়ে আসছি।” বলেই যাবার জন্য উদ্যত হয় মেয়েটি।

নিউক ওয়েটারের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বলে “আমার পছন্দের খাবার মানে? আমিতো কোন অর্ডার দেই নি?”

মেয়েটি ভ্রু কুচকে বলে “স্যার আপনি যখন দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছেন ঠিক তখনই অটোমেটিক-ভাবে আমাদের উন্নত প্রযুক্তির স্ক্যানার আপনার ত্রি-ডি মডেল পেয়ে গেছে। আপনার বায়োলজিক্যাল বডি এবং মস্তিষ্কের সিগন্যাল বিশ্লেষণ করে আপনার প্রিয় খাবার প্রস্তুত করার অর্ডার চলে গেছে আমাদের কিচেনে।”

নিউক নিজের প্যান্টের পকেটে হাতরে দেখে কোন ইউনিট নেই, তাছাড়া এই জগতে তার কোন ইউনিট থাকার কথাও নয়, তবে আপাতত সেটা চেপে যায়, আগে পেটে খানা-খাদ্য চালান করা যাক, পরে দেখা যাবে কি হয়। খুদায় পেট চো চো করছে।

কিছুক্ষণ পরই আরেকজন রোবট এসে হাজির হয় খাবার নিয়ে। রোবটটির তিনটে পা, পায়ের পাতা মানুষের মত নয়, চাকা লাগানো তাতে, পেটের দিকে খাবার রাখার ট্রে আছে, বুঝাই যাচ্ছে একে বানানোই হয়েছে রেস্টুরেন্টে খাবার পরিবেশন করার জন্য। রোবটটির ধাতব মুখে সব সময় হাসি হাসি ভাব, চোখে মুখে সরলতা ছাপ।

নিউক খাবারের ঢাকনা খুলতেই দেখে সেখানে বৃহদাকার একটি আধা সিদ্ধ চারকোনা-কৃতি মাংস, উপরে বিভিন্ন ধরনের সস ছিটানো, কিছু লতাপাতা, সুন্দর একটি গন্ধে চারদিকে মৌ মৌ করে উঠল।

নিউক একটি কাটা চামচ দিয়ে মাংসটিকে ধরে আরেকটি চাকু দিয়ে কেটে মুখের ভিতর চালান করে দিল। মাংসের টুকরোটি তার মুখে ভিতরে গিয়ে গলার সিঁড়ি বেয়ে নিচে যেতেই চোখ বন্ধ করে ফেলল, “একটি খাবার এত স্বাদ হয় কিভাবে!”

পাশে দাঁড়িয়ে হাত কচলাচ্ছিল রোবটটি। মুখে হাসি হাসি ভাব ফুটিয়ে তেলতেলে গলায় বলল “স্যার সিনথেটিকের তৈরি খাবারটি আপনার মস্তিষ্ক বিশ্লেষণ করে বানানো হয়েছে! আপনার ভালোতো লাগবেই বলে।”

নিউক খাবার খেতে থাকে, এরকম সুস্বাদু খাবার সে জীবনে খায়নি, জীবনে এই প্রথম সে কৃত্রিম খাবার খেল, তবে কে বলবে এটা কৃত্রিম খাবার! প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীর খাবারের সাথে কোন পাথক্য নেই! খাবারটি শেষ করার আগেই হঠাৎ সেই লাল পোশাক পরা ওয়েটার মেয়েটি এসে হাজির হয়। মুখে থমথমে ভাব এবং একটি বিস্ময় নিয়ে নিউকের সামনে এসে দাঁড়াল।

“আপনি কে? আপনার বায়োলজিক্যাল ডিএনএ এনালাইসিস করে অদ্ভুত তথ্য পেয়েছি, এরকম জিনিষ আমি জীবনে দেখিনি! প্রটোকল অনুসারে আমাদের সার্ভার আপনার তথ্যে গরমিল থাকাতে সেন্ট্রাল কম্পিউটার সিটিসির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। নিশ্চয়ই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতিমধ্যেই এখানে চলে আসবে এখানে।” বলল মেয়েটি।

নিউক ঢোক গিলে উঠে দাড়াতেই দেখে হুড়মুড় করে কয়েকটি রোবট হাতে ভয়ঙ্কর সেই অস্ত্র নিয়ে রেস্টুরেন্টটির ভিতর ঢুকে পরেছে।



দ্বিতীয় অধ্যায়

একটি স্কাইজায়ানের ভিতরে ঢুকানো হল নিউককে। স্কাইজায়ানটি চালু করতেই, ইঞ্জিনটি গমগম শব্দ করে উঠল, নিচের দিকে হলদে রঙ্গয়ের চোখ ধাঁধানো অগ্নিশিখা নিক্ষেপ করতে করতে উড়ে চলল স্কাইজায়ানটি। নিউকের হাত দুটি উল্টো করে পিঠের দিকে বেধে রাখা হয়েছে, তাকে এমনভাবে রেখেছে মনে হয় সে অনেক বড় কোন অপরাধী। ভিতর থেকে স্বচ্ছ কাচ বেদ করে তাকিয়ে আছে নিউক। দানবাকৃতির বিল্ডিং এর পাশ ঘেঁষে হলদে আলো বিচ্ছুরিত করতে করতে সামনের দিকে ছুটে চলছে যানটি। বিচিত্র পোশাক পরিহিত কয়েকজন রোবট হাতে ভয়ানক অস্ত্র নিয়ে তাকে পাহারা দিচ্ছে।

সূর্য তখন ডুবুডুবু, লাল লাভায় রাঙ্গিয়ে আছে চারদিকটা। স্কাইজায়ানটি একটি নির্জন জায়গায় এসে বৃত্তাকার বিল্ডিং এর উপর নামল। এই বৃত্তাকার বিল্ডিংটিই বিজ্ঞান পরিষদের মূল ভবন, এখান থেকেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিল্ডিংটির চারদিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, অস্ত্র হাতে পাহারা দিচ্ছে একটি চৌকস রোবট-দল। চারদিকে অরণ্যে ঘেরা, বাইরে থেকে বুনো শিয়ালের ডাক ভেসে আসছে ক্ষণে ক্ষণে।

রোবটগুলো ঝনঝন শব্দ করতে করতে স্কাইজায়ান থেকে দল বেধে লাফিয়ে লাফিয়ে নামছে। নিউককে দুজন রোবট হাত ধরে হেঁচকা টানে বের করে আনল স্কাইজায়ান থেকে।

“আমাকে কোথায় নিয়ে এসেছ?” তার হাত ধরে রাখা রোবট দুটোকে জিজ্ঞেস করল নিউক।

“একটু পরে সব বুঝতে পারবে।” ধাতব কণ্ঠে বলল একটি রোবট।

ভবটির ছাদের এক কোনায় নিয়ে গেল নিউককে। সেখানে একটি বৃত্তাকার টানেল সোজা বিল্ডিং এর নিচের দিকে গিয়ে ঠেকেছে। সেখানে গাধাগাধি করে রোবটগুলো নিউককে নিয়ে উঠে পরল। নিউক ভেবেছিল ভবনটি তিন তলা বোধ হয়, আসলে তা নয়, লিফটের বাটনের দিকে তাকাতেই তার ভুল ভাঙল, দেখতে পেল মাটির নিচে আরো তিনশত বিশ তলা আছে। মাইনাস দুইশত দশে চাপ দিতেই ক্যাপসুল লিফটি ঝড়ের বেগে নিচের দিকে যেতে লাগল। অভিকর্ষ বলের তারতম্যের জন্য নিউক নিজের ভিতর কেমন জানি একটু অস্বস্তি অনুভব করতে লাগল, নিজের শরীরটা যথা সম্ভব শক্ত করে ফেলল সে। লিফটি জায়গামত থেমে হালকা একটি ঝাঁকি দিয়ে উঠল, নিউক অভ্যস্ত নয় বিদায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হল বেশ। তবে রোবটগুলোর সেদিকে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই।

লিফট থেকে বেরিয়ে দেখতে পেল দশ বারোজন মানুষ তার দিকে অদ্ভুত কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে আছে। নিউক এতক্ষণ একটি বিষয় লক্ষ করেছে, মানুষগুলোর ভিতর এক ধরনের কমন বৈশিষ্ট্য আছে, সবার কেশগুলো প্রায় একই রকম, তবে বিভিন্ন আকৃতিতে ছাটা, নরম মুখ আর চেহারায় অসম্ভব কোমলতা আছে, শরীর বেশ পেশীবহুল কিন্তু কি যেন একটা নেই, ঠিক ঠাওর করতে পারছে না সে। এতক্ষণ এই বৈশিষ্ট্যটুকু তার চোখে এড়িয়ে গেছে। তবুও তার অবচেতন মন বলছে কোন কিছুর একটা অভাব আছে এই জগতে, সে ঠিক ধরতে পারছে না ব্যাপারটা।

একটি ছোট কাচের ঘরের ভিতর নিয়ে যাওয়া হল নিউককে। রুমের ভিতরের ক্লোরক্সিলেনলের, ফিনাইলের, জার্ম এবং ব্যাকটেরিয়ার এক ধরণের বিদঘুটে গন্ধে বুঝতে পারল এটা সম্ভবত একটি বায়োলজিক্যাল ল্যাবরেটরি। তার সাথে কি করা হবে তা ঠিক বুঝতে পারছে না নিউক।

একজন সাধা এপ্রোন পরা কোমল চেহারার মেয়ে এসে ঢুকল রুমে। মেয়েটির নাম কেথরিন, কেথরিন বয়সে তরুণী, পেশায় বায়োলজিষ্ট, মানুষের ডিএনএ, কোষ, মস্তিষ্কের কার্যকলাপের উপর অগাধ জ্ঞান তার।

কেথরিন নিউককে সামনের চেয়ারটি দেখিয়ে বসতে বলল।

“তুমি কে?” একটি চেয়ারে বসতে বসতে বলল কোমল চেহারার মেয়েটি।

“আমার নাম নিউক। তুমি কে? তোমরা আমাকে এখানে এনেছ কেন?” জিব দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে বলল নিউক।

“আমার নাম কেথরিন। আমি একজন বায়োলজিষ্ট।”

তারপর হাতে ধরে থাকে স্বচ্ছ ডিভাইসটিতে তাকিয়ে কিছু একটা দেখছে কেথরিন। নিউকের দিকে না তাকিয়ে যোগ করে বলল “তোমার জেনেটিক কোডে আমরা এক ধরের বিস্ময়কর তথ্য পেয়েছি। সচরাচর এরকম তথ্যের সাথে আমরা একেবারেই অপরিচিত। তাছাড়া তোমার কোন প্রোফাইল আমাদের সেন্ট্রাল কম্পিউটার সিটিসির কাছে নেই।”

নিউক কি বলবে ঠিক বুঝতে পারছে না। মেয়েটি হাতে ধরে থাকা ডিভাইস থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিউকের তাকিয়ে আছে প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য।

একটু থেমে আবার বলল “কেথরিন “তুমি কে, কোথা থেকে এসেছ এগুলো আমাদের জানা দরকার। তাছাড়া তুমি বিদ্রোহী দলের সদস্য কিনা সেটাও আমাদের যাচাই করা দরকার। আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে তোমার সম্পূর্ণ তথ্য আমাদের জানা দরকার।”

অজানা দুশ্চিন্তায় নিউকের তৃষ্ণা পেয়ে গেল। কোন না উত্তর দিয়ে বলল “আমি পানি খাব।”

কেথরিন এক গ্লাস পানি আনিয়ে নিউককে এগিয়ে দিল। নিউক পানি খেয়ে বলল “আমিতো বলছি আমার নাম নিউক, আমি বিদ্রোহী দলের সদস্য নই, বিদ্রোহী কারা, তাদের উদ্দেশ্যই-বা কি সেটাও আমি জানি না, আমি একজন সাধারণ মানুষ।”

“তুমি একজন মানুষ এই তথ্যই যথেষ্ট নয়। আমি আবারো বলছি তুমি কোথা থেকে এসেছ, কি কর, তোমার পরিবার কোথায়, তোমার কোন তথ্যই বা আমাদের কাছে নেই কেন? এই সমস্ত কিছুই আমাদের জানতে হবে। তার আগে তোমার কিছু পরীক্ষাও আমাদের করতে হবে। পরে বাকিটা জানা যাবে।”

পরীক্ষার কথা শুনেই ঘাবড়ে গেল নিউক। তাকে কেটে কুটে কোন পরীক্ষা করবে নাতো, ভাবতে লাগল নিউক। ভয়ের এক স্রোত ধারা তার প্রতিটি শিরায় বয়ে গেল।

“পরীক্ষা?” হট-চকিয়ে বলল নিউক।

কেথরিন বুঝতে পারল নিউক ভয় পেয়েছে, তাকে আত্মস্থ করে বলল “ভয় পেয়ো না নিউক, এটা সাধারণ একটি পরীক্ষা, তোমাকে আগেই বলেছি তোমার ডিএনএতে অদ্ভুত কিছু তথ্য পেয়েছি, তাই পুনরায় পরীক্ষা করতে হবে আমাদের।”

কেথরিন নিউককে পরীক্ষা করার প্রস্তুতি নেয়। তাকে একটি বিছানায় শুয়ে পরতে বলে। নিউক শুয়ে পরলে স্বয়ংক্রিয় একটি রবোটিক হাত নিউকের ডান হাতে একটি ইনজেকশন পুষ করে, তার মাথার ভিতর এক ধরনের ভোতা যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকে, যন্ত্রণাটা আস্তে আস্তে পুরো শরীররে ছড়িয়ে পরে, হঠাৎ শরীরটা অবশ হয়ে আসে, চোখ ভেঙ্গে আসে তন্দ্রা। তারপর একটি ধাতব আকৃতির রবোটিক যন্ত্র ক্রমাগত মাথা থেকে পা পর্যন্ত লেজার লাইট দিয়ে স্ক্যান করতে থাকে। নিউকের শরীরের একটি ত্রিমাত্রিক মডেলের হলোগ্রাফিক ছবি ভেসে উঠে পাশেই। নিউক তখন গভীর ঘুমে অচেতন, কেথরিন মন দিয়ে তার ত্রিমাত্রিক হলোগ্রাফিক মডেলটি খুটিয়ে খুটিয়ে পরীক্ষা করতে থাকে।

নিউকের যখন জ্ঞান ফিরল তখন দেখতে পেল তাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন মানুষ এবং রোবট তাকিয়ে আছে।

“মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে তার মধ্যে শেষ জোড়া ক্রোমোজোম এর অদ্ভুত এক ধরনের তথ্য থাকে। তুমি কি জানো শেষ ক্রোমোজোম এ কি তথ্য থাকে?” বেশ নাটকীয়তা করেই বলল কেথরিন।

নিউকের উত্তরের অপেক্ষা না করেই আবার বলে চলল “তোমার ব্রেনের সেলের সংখ্যা, তাদের ইন্টারনাল কানেকশন, তোমার শরীরের অর্গান একটি জিনিষই নির্দেশ করে।” বলেই দম নেয় কেথরিন।

যোগ করে বলে “তুমি কি জান সেটা কি?”

কেথরিন কি বলছে সেটা ঠিক বুঝতে পারে না নিউক। জিব দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে ডানা বামে মাথা ঝাঁকালও। যার অর্থ সে জানে না।
কেথরিন হাফাতে থাকে, তাকে দেখে বুঝার উপায় নেই কত বড় একটি বিস্ময় সে নিজের মাঝে চেপে রেখেছে। স্টকের অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলে লম্বা দম নিয়ে বলে “সব কিছুই একটি জিনিষ নির্দেশ করে আর তা হল তুমি একজন পুরুষ মানুষ!”

নিউক কি বলবে ঠিক বুঝতে পারে না। সে আসা করেছিল কিনা কি বলবে কেথরিন। সে একজন পুরুষ মানুষ সেটা বলতে এত নাটকীয়তা করার কি হল!

“হ্যাঁ আমি একজন পুরুষ মানুষ! তাতে কি হয়েছে, এটা নিয়ে হইচই করার কি হল!” বলল নিউক।

“তুমি কি জান আমাদের এই জগতে কোন পুরুষ মানুষ নেই!”

মুহূর্তের মধ্যেই চমকে উঠল নিউক। তার বুকের ভিতরটা একটি নিদিষ্ট ছন্দে কাপতে লাগল। এত দিন তার ভিতরের খচখচানির সেই কারণটা ধরতে পারল সে।

মুহূর্তেই একটা গুমট-ভাব ছড়িয়ে পরল চারদিকটায়। নিউককে ঘিরে থাকা বাকি সবাই কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মানব সভ্যতা ইতিহাসে একটি নিদিষ্ট অতীত পর্যন্ত পুরুষ মানুষের অস্তিত্ব ছিল, পুরুষ জাতীর বিলুপ্তি ঘটেছে প্রায় দুই হাজার বছর হয়েছে, সন্তান জন্ম দিতে যখন থেকে আর পুরুষের প্রয়োজন নেই তারপর থেকেই নারী জাতি পুরুষ জাতিকে এক প্রকার ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। জাদুঘরে যেমন ডাইনোসরের অস্থি-হাড় রাখা হয় মানুষের চোখের ক্ষুধা নিবারণের জন্য, ঠিক তেমনি বর্তমান পৃথিবীতেও পুরুষ মানুষের অস্থি-হাড় রাখা হয় জাদুঘরে জন সাধারণের জন্য। তাই বর্তমান মানব সভ্যতার একমাত্র জীবন্ত পুরুষ মানুষকে দেখে সবার কৌতূহলই যেন শেষ হচ্ছে না।

বিদ্র: অনেকটা গ্যাপ দিয়ে কল্পকাহিনী লেখা শুরু করেছি। করোনার সময়টাতে ঘরবন্ধি, উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে ব্লগে দিব। আশাকরি সব ঠিক থাকলে এক সপ্তাহেই পুরোটা শেষ করে দিব। সেই ক্ষেত্রে দুই বা তিন দিন অন্তর অন্তর পর্ব আকারে দিব।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৫৭
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×