Foreign Investment:বাংলাদেশের জন্য
চ্যালেঞ্জ..
দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং,এলজি ভারতের
ম্যারিকো,ডাচ কোম্পানি ইউনিলিভার,কানাড
িয়ান বাটা,চায়নার মোটামুটি অধিকাংশ পণ্য আর
যুক্তরাষ্ট্র,ইজরাইলের পানিয় এবং ত্বক ফর্সার
বিভিন্ন ক্রিম,তার সাথে জাপানী পণ্য সামগ্রীর
একচেটিয়া রাজত্ব আমাদের দেশি পণ্য
গুলোকে হুমকির সম্মুখিন করেছে....
ভৌগলিক,রাজনৈতিক কারণ এবং জনবহুল দেশ
হওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি সবার আগ্রহ দিনদিন
বেড়েই চলেছে....
কয়েকদিন
আগে শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে বাংলাদেশকে কিছু সৎ
পরামর্শ দিয়েছে কোরিয়ান দূত...
"বাংলাদেশের উচিৎ আসিয়ানে যোগ
দেয়া,টেকনোলজিতে স্বাবলম্বী হওয়া এবং অন্য
দেশের প্রতি নির্ভরশীলতা কমানো"..এ জাতীয়
কিছু সদুপদেশ...
কানাডা,মালয়েশিয়া,ভারত এবং চীন ইতোমধ্যেই
জানিয়ে দিয়েছে যে তারা
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী....
Kei Kawano,the representative of the
Japan External Trade Organization, said
that Japan plans short and long-term
investment in Bangladesh.
অবশ্যই এগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য
গুড নিউজ...
কিন্তু এরই সাথে রয়েছে দেশি পণ্য গুলোর
হুমকির সম্ভাবনা...
"কচকো,লিলি,স্টারশিপ,ডিপজল
কোম্পানি,তিব্বত স্নো,৫৭০ সাবানের মতও
রয়েছে দেশি পণ্যগুলোর হারিয়ে যাওয়ার
সম্ভাবনা....
বিদেশি বিনিয়োগ টিকিয়ে রাখা এবং দেশি পণ্যের
প্রসার ঘটানো আমাদের সরকারের জন্য
চ্যালেঞ্জ..
কি করতে পারে বাংলাদেশ????
*বিদেশি পণ্যের উপরে নির্দিষ্ট ট্যাক্স আরোপ
করা,যাতে দেশি পণ্যের দাম বিদেশির চেয়ে কম
হয়..
*দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বিদেশির
চেয়ে বেশি সুযোগ দেয়া...
*দেশি কোম্পানীগুলোকে পাঁচ বছরের জন্য
ট্যাক্স ফ্রি করা,যেন টাকা বিদেশে পাচারের
চেয়ে দেশে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী হয়..
*দেশি পণ্য গুলো মান সম্মত হওয়ার জন্য
কর্মচারীদের জন্য সরকারীভাবে প্রশিক্ষণের
ব্যবস্থা করা......
*সরকারীভাবে মার্কেটিং সিস্টেমের
ব্যবস্থা করা,যেন মানুষের দেশি পণ্যের উপর
আগ্রহ বৃদ্ধি পায়....
*আর ক্ষুদ্র ঋণ দানে ব্যাংক গুলোকে বাধ্য
করা,,কারণ ক্ষুদ্র ঋণই ক্ষুদ্র
উদ্যোক্তা তৈরী করতে পারে.....
সব মিলিয়ে এটা সরকারের উপর চ্যালেঞ্জ
স্বরূপ...
সুতরাং সরকারকে কৌশলী হতে হবে....
এবং ধীরে সুস্থে সিদ্ধান্ত নিতে হবে...
...........Economist Tansen........