....কিউবার উপর থেকে মার্কিনী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার:কি পেলো যুক্তরাষ্ট্র।।
....১৯৬২ সাল থেকে সমাজতান্ত্রিক কিউবার উপরে অবরোধ আরোপ করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র,কেনেডি গ্রুপ এটার উদ্যোক্তা হলেও আইসেন হাওয়ারই কঠোরভাবে আরোপ করেন..
তাদের যুক্তি ছিলো-
*কিউবা দক্ষিণ আমেরিকায় মার্কিন বিরোধি বিপ্লবীদের রপ্তানি করছে,যদিও ১৯৬৭ সালে চে গুয়েভারার মৃত্যুর পর তাদের অভিযোগের সত্যতা থাকেনা,তবুও কোন এক অদৃশ্য কারণে তখন অচলাবস্থা নিরসন করেনি...
*যুক্তরাষ্ট্রের দাবী ছিলো কিউবা তাদের দেশকে সোভিয়েতের ঘাটি হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ করে দিয়েছে,যেটা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে হুমকি স্বরূপ,কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের ১৯৯১ সালের পতনের পরও তারা অবরোধ তুলে নেয় নি..
*ফিদেল ক্যাস্ট্রোর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি যুক্তরাষ্ট্রপন্থী বন্দীদের কঠিনভাবে নির্যাতন করতেন,যদিও বিশ্বের কাছে এটা স্পষ্ট যে গুয়ানতানামো বে,আবু গারিব কারাগারে নৃশংসতার হোতা যুক্তরাষ্ট্র,তারা নিজেদের নির্মমতার সাফাই দিচ্ছে এটা স্বীকার করা সত্ত্বেও যে বন্দীদের অধিকাংশই নিরপরাধ...
*ক্যাস্ট্রোর বিরুদ্ধে এই অভিযোগও করে যে তিনি নাগরিক অধিকার হরণ করেছেন,কিন্তু এটাও স্পষ্ট যে ইসরাইলের মত কুৎসিত জাতিও যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধপ্রতিম,সেখানে কিউবার প্রতি বিরূপ হওয়ার যথার্থতা নাই,উপরন্তু তাজিকিস্তানের মত স্বৈরাচারী রাষ্ট্রও মার্কিন রাষ্ট্রের বন্ধু....
....এতগুলো অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাঁচদশক ধরে চলা নিষেধাজ্ঞার পরও কিউবা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোনই বেনিফিট ছিলোনা,
শতভাগ শিক্ষিত এবং প্রতিটা মানুষের রেশনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবাও নিশ্চিত করণ এটাই প্রমাণ করে যে কিউবাতে মার্কিন অবরোধের প্রভাব ততটা পরেনি যতটা আশা করা হয়েছিল..
ব্যর্থ অবরোধ প্রত্যাহার করাটা এক ধরণের পরাজয়েরই নামান্তর...
যুক্তরাষ্ট্রের অর্জন বলতে শুধু এটাই ছিলো কতিপয় নিরীহ মানুষদের ভোগান্তির শিকার..
যুক্তরাষ্ট্রের এই বোধদয়টা আরো পঞ্চাশ বছর আগেই হওয়া উচিৎ ছিলো...
.....#Tansen_Rose.....