একটা লেখা পড়লাম। লেখক ২৮শে অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞের সাথে ১৮ই জানুয়ারী ১৯৭০-এ পল্টন ময়দানের সমাবেশের তুলনা দিয়েছেন। তার লেখা অনুযায়ী,
জামায়াত ও ছাত্র শিবির (সংঘ) ১৮ই জানুয়ারী ১৯৭০ সালে পল্টন ময়দানে একটা সমাবেশের আয়োজন করে।
.....
এই জনসভার এক পর্যায়ে, জনতার সাথে জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে - " জামাত তার সভামঞ্চের পাশে চাঁদোয়া ও পর্দা দিয়ে ঘেরা একটা বিরাট কক্ষ তৈরী করে রেখেছিলো। তাতে লেখা ছিলো 'রিসেপশান'। এইপর্দার ভেতরে রক্ষিত ছিলো কাঁচা বাঁশের লাঠি এবং 'ফাস্ট এইডের' দ্রব্যাদি। এখান থেকেই জামাতকর্মীরা দলে দলে লাঠি নিয়ে জনতার উপর মারমুখী আক্রমন চালায়।"
মজার ব্যাপার, জামাতের লোকজনও ঠিক আপনার মতো ২৮ অক্টোবরের সাথে ১৮ই জানুয়ারী ১৯৭০-এর তুলনা করে।
তাদের ভাষায়, এই দুই দিনই জামাতের আয়োজিত সমাবেশে আওয়ামী লীগ হামলা করেছিল।
স্বভাবতই জামাতের ভাষ্য মিথ্যা ধরে আওয়ামী ভাষ্য সত্য ধরলাম। কিন্তু এইটা বুঝলাম না। জনসভা করল জামাত, এখানে বাইরের লোক (আপনার ভাষায় জনতা) আসলো কিভাবে?
আর জামাত-ই বা নিজেদের জনসভার নিজেদের লোক পিটানোর জন্য নিজেরা লাঠি মজুদ করে রাখবে কেন? লাঠি মজুদ করতে পারে যদি তারা বাইরের কারো হামলার ভয় করে।
জনসভা যেহেতু পল্টনে (রাস্তায় না), কাজেই বাইরের লোক (জামাতিদের মতে আওয়ামী ক্যাডার, আপনার মতে জনতা) যেচে ওখানে মার খেতে যাবে কেন?
আর ছবিটা যেটা লেখক দিয়েছেন, তাতেও দেখা যাচ্ছে পান্জাবী পড়া জামাতি মার খাচ্ছে। ঠিক ২৮ অক্টোবরের মত।
আর জামাতিরাই যদি মাইর খাবে, ওরা সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নিবে কেন?
ছাগু ট্যাগ দিতে পারেন। জিয়া, জলিল, কাদের সিদ্দিকি যদি রাজাকার হয় আমিতো কোন ছাড়। আর সাজেদা, নুলা শমসেররা যখন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হয়, আমি তাদের থেকে দুরে থাকতে চাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




