somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেম - যারে আমি ভালবাসিয়া ছিলাম (৪)

২১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্বটা পড়ার অনুরোধ
Click This Link

এই ভাবে দিন যায়। তার সঙ্গে এখন দিনের বেশীর ভাগ সময় কাটিয়া যায়। এই আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে এইটা কোন ব্যাপার না। ইদানিং কারও কারও দৃষ্টি কিঞ্চিত তীক্ষ্ণ হয়। কিছু বলিতে পারে না পাছে আধুনিক যুগে তার মধ্যযুগীয় সংস্কার প্রাকাশ হয় এই ভয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহন করতে আসিয়া রক্ষনশীলতা বর্জন করাই বাঞ্চনীয়। আমার ও রহস্য করিতে খারাপ লাগে না। কিন্ত আমি নিজে এক রহস্যের জালে আবব্ধ হইয়া যাইতেছি। মন আমার আশা নিরাশা, ভালোলাগা ভয়, প্রাপ্তি বঞ্চনা এর দোলায় দোদুল্যমান। যারে কওয়া যায় বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা।

এর মধ্যে একদিন লাইব্রেরীতে পড়তে পড়তে তারে কইলাম চলে খিদা লাগছে কিছু খাইয়া আসি। গেলাম টিএসসি তে নাস্তা করার পর দেখি পুরা বিকাল হইয়া গেছে। সবাই ঘুরা ঘুরি করতে বাইর হইয়া গেছে। আমি কই আজকে আর লাইব্রেরীতে গিয়া কাম নাই । চলো নদী পাড়ে যাই। সে কয় চলো যাই। আমি মনে মনে কই বাহ বাহ। গেলাম নদী পাড়ে বসলাম সেই বিখ্যাত বেঞ্চ গুলার একটাতে। হঠাৎ লক্ষ্য করি নদীর পানি ঐতদিনের তুলনায় বাড়ছে। নিজে পুলকিত নিজের পর্যবেক্ষনে আমি, যে কিনা জীবনে নদীর পানি কেন পাশ দিয়া কে যায় তার খবরও মাঝে মাঝে জানি না সেই আমি নদীর করি নদীর পানি লইয়া পর্যবেক্ষন।তার সান্নিধ্য দেখি আমারে ভালই প্রভাবিত করছে। তারে কইলাম দেখছো নদীর পানি বাড়ছে ঐ দিনের থাইক্যা। সে কয় আমি তো লক্ষ করি নাই। কথা পৃষ্টে কথা তারে কইলাম কি লক্ষ করছ তাইলে। সে উত্তর দিলো আমি দেখতাছি কাশ বন। নদীর ঐ পাড়ে বিশাল কাশ বন আছিল। মনে মনে কই আরে এতো দেখি আমার চেয়ে আগে আগে যায়।

কিছু দূরে চাইয়া দেখি নৌকা আছে। নৌকা গুলা বিকাল বেলায় এইখানে আইসা ভাড়া খাটে। পুলাপানরা মনে আনন্দে নৌকা ভাড় লইয়া ঘুইরা বেড়ায়। আমি তারে কইলাম চলো কাশ বন দেইখা আসি। সে কইল কেমনে যাইবা। ঐ যে দেখ নৌকা। নৌকা ভাড়া কইরা গেলাম ঐ পাড়ে কাশ বনে। এইটাই তার সাথে আমার প্রথম নৌকা ভ্রমন। সে আমারে কয় আমি আগে আর কোন দিন কাশ বনে আসি নাই। মনে মনে একটা ভাল লাগার অনুভুতি হইল। আমি অন্তত তারে প্রথম বারের মতো কিছু একটা দেখাইতে পারছি। সে দৌড় দিয়া গিয় কাশ ফুল ধইরা গালের কাছে নিয়া কয় দেখছ কি সাদা এই ফুল গুলা। তার এই কাশ ফুল ধরা অবস্থার ফ্রেম টা আমার মনে মধ্যে স্থায়ী ভাবে ঢুইকা গেল। এখনও যখনই কাশফুলের ছবি দেখি সেই ফ্রেমটার কথা মনে হয়। সে বিশলা উত্তেজিত, আনন্দিত। মনে মনে ভাবি এ আমি কারে দেখতাছি। তারে এতদিস কাছ থাইকা দেখছি কিন্ত তার এই রূপতো আমার চোখে ধরা পরে নাই। আমি আনন্দিত। এ এক অন্যরকম অনুভূতি অন্যরকম ভালোলাগা।

আমি নিশ্চিত সে তার পরে কাশ বনে গিয়া একই আনন্দ পায় নাই। তার এই আনন্দের ভাগীদার শুধুমাত্র আমি আর সেই বিকাল।

আমারা কাশবনে থাকলাম সন্ধ্যা পর্যন্ত। সন্ধ্যা তারে হলে পৌছাইয়া দিয়া ফিরা গেলাম আমার আস্তানায়। রুমে ফিরতেই রুমমেট কয় খুব তো মজা লইতাছো আমি কইলাম মজার কি দেখলা। কইলো দেখলাম তারে লইয়া নৌকা দিয়া ঘুরতাছে। মনে হয় আমার কান কিঞ্চিত লাল হইয় গেছিল। সে আর কথা বাড়াইলো না। আমিও বাইচা গেলাম। কিন্তু ঘুম লাটে উঠলো চোখ বন্ধ করলেই সেই ফ্রেম। মন আমারে কয় এইডা কি করলি এর থাইকে তো বাইর হইতে পারবি না। বড়ই কঠিন এই পথ । আমি কই আমি তো বাহির হইতে চাই না। মন কয় বুঝবি ঠেলা। আমি কই বুঝলে বুঝমু নে তুই চুপ থাক।

আমি ঘুম লাটে তুইলা সেই বিকাল, সেই ফ্রেম ও ফ্রেমের মানুষ রে লইলা স্বপ্ন সাজাইতে বসি। .....


চলবে....
পরের পর্ব
Click This Link

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:২৮
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×