প্রশ্ন কোরো না, ঝরাপাতার বহ্ন্যুৎসব হবে কি না,
প্রশ্ন করো, অন্ধকার কি এখনও পরিব্যাপ্ত?
প্রশ্ন কোরো না, বন্দুকে কার্তুজ ভরবে কি না,
প্রশ্ন করো, শোষণ নিপীড়ন কি এখনও প্রবল?
প্রশ্ন কোরো না, ন্যায় উদ্দেশ্যের কী পরিণতি,
প্রশ্ন করো, অবিচার কি এখনও অবাধ?’
-চে
যে আগুন ছড়িয়ে পড়লো সবখানে
১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর চে’র মৃত্যুর পর চিলির এক কবি লিখেছিলেন, ‘তুমি আসো মৃদুমন্দ বাতাস বুকে নিয়ে, তোমার হাসির আলো দিয়ে তুমি পতাকা পুঁতে যাও। তোমার বিপ্লবী ভালোবাসা তোমাকে ছুটিয়ে নিয়ে বেড়ায় দিগন্তে। তারা তোমার মুক্তিদাতা দুই পুষ্ট বাহুর প্রতীক্ষায় দিন গুনছে। আমরা ইতিহাসের রাস্তায় চিরকাল তোমার পেছনে মার্চ করে এগোব কমান্ডার চে।’ কবির এই পঙ্ক্তি আজ শুধু ল্যাটিন আমেরিকার কণ্ঠ নয়, সারা পৃথিবীতে তা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। বিশেষ করে তারুণ্যের যাপিত জীবনে চে আজ জীবন্ত রোল মডেল। চে যেন এগিয়ে যাওয়া তারুণ্যের কমান্ডার। মৃত্যু যাকে পরাজিত করতে পারেনি, চের তেজে সতেজ পৃথিবী। প্রতিবাদ আর সৌন্দর্যের যৌথ সত্তা। কোথায় নেই চে? জেগে ওঠা ল্যাটিন আমেরিকা, পুঁজির দানব পাশ্চাত্য, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত তৃতীয় বিশ্ব- সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে চের আগুন। চে বিপর্যস্ত পৃথিবীতে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে, কোমল ও কোমলতার রোমান্টিকতায় উদ্ভাসিত করছে নতুন প্রজন্মকে। মানব জাতি একটি অন্তর্গত গতিশীলতার মাধ্যমে এগিয়ে চলে। এ গতি মানুষের স্বভাবজাত। তা থমকে গেলে ইতিহাস থেমে যায়। ইতিহাসবিহীন মানুষ থাকতে পারে না। কিন্তু কখনো কখনো পৃথিবী এমন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, ইতিহাস তখন থমকে যায়। এর থেকে বেরিয়ে আসতে মানুষের মধ্য থেকেই কেউ উত্থিত হয়। চে হলো এমনই একজন। অনেক তরুণের জীবনশৈলীতে চে-চেতনা জাজ্বল্যমান, পথনির্দেশক। চিন্তা, বোধ ও মানসিকতায় তারা চে-কে মেনে নিয়েছে। এমনকি পোশাক-আশাকেও চে বিদ্যমান। ...
বাকী অংশ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


