যুদ্ধে হবে ফিরে দেখা
একজন মানুষ চলে যাওয়া মানে শুধু একটি দেহ হারিয়ে যাওয়া নয়, পৃথিবীতে অনেক শূন্যতা তৈরি হওয়া। মানুষটি যতই সাধারণই হোক জীবনাবসানে তিনি রেখে যান মহাকাব্যিক এক উপখ্যান, এক উপন্যাস। আর মানুষটি যদি হন একটু ‘বিশেষ’, তাহলে তার শূন্যতা হয় অপূরণীয়, অশেষ। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী মাহবুব কামরান গত ২২ জুলাই (২০১১) শুক্রবার নতুন দিনের আলো দেখার আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। এক কবিতায় তিনি পৃথিবীকে ‘কৃষ্ণাঙ্গ পৃথিবী’ অভিধা দিয়েছিলেন, সেই পৃথিবীর কাছেই তিনি সমর্পিত হন। কবিতার পঙক্তি-‘ঘরে ফেরার পর, ঘরময় হেঁটে বেড়াই/লোভনীয় এক চাঁদ, বুকের ভিতরে ফুটে ওঠে/কৃষ্ণাঙ্গ পৃথিবী/এক প্রান্তে জমে থাকে পল্লবিত শস্য,/ অন্য প্রন্তে নিটোল জমকালো শিউলী/যার এলোচুলে ঢেকে যায় মেঘ, শব্দহীন ভালোবাসা।’ চরিত্রগতভাবে তিনি ছিলেন রোমান্টিকতা ও দ্রোহের মিশেলে গড়া অদ্ভুত এক মানুষ। স্বপ্নচারী কামরান ভাই তার প্রতিটি স্বপ্নেরই বাস্তব রূপায়ন চাইতেন। স্বপ্ন নিয়ে কাজ করতেন। মিছে বুলিতে তার আস্থা ছিল না। তাই শুধু রোমান্টিকতার আষ্টেপিষ্ঠে নিজেকে নিমজ্জিত রাখেন নি। রোমাঞ্চ আর রোমান্টিকতা ছিল তার একান্তই ব্যক্তিগত, দ্রোহই ছিল আসল। কবিতার পঙক্তি- ‘এসব বড়োই ব্যক্তিগত/এখন শুধু বাইরে আর্তনাদ, রক্তপাত, যুদ্ধ/মৃত্যুধ্বনি প্রকৃতির মতো ছেয়ে যায়,/এমন খেয়ালী প্রকৃতির কাছে কেউ কোনদিন/ কিছু ছেড়ে যায়নি।’ রোমান্টিকতা থেকে বাস্তব পৃথিবীর চালচিত্রই তার উপলব্ধির বিষয় ছিল। তিনি শ্রেণীবৈষম্য আর আধিপত্যশীল পৃথিবীর বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিলেন। এই অবস্থান থেকেই মাহবুব কামরানের জীবনের সব চর্চা ও চর্যা। একজন কৃষকের মানষিকতা নিয়ে তিনি শিল্পকর্ষণ করেছেন, একজন গেরিলার মতোই তিনি সমাজ-বদলের জন্য কাজ করেছেন। যা বিশ্বাস করেছেন তাই করেছেন, আপোস করেন নি; আর আপোষহীন মানুষদের আমাদের বিদ্বৎজনরা প্রান্তে রাখতে ভালোবাসেন, কিন্তু কথিত প্রান্তবাসীদের কাছে তিনি স্মরণীয়। মাহবুব কামরান অনেক মানুষের অন্তরে প্রজ্জ্বলিত আলো ছড়াতে পেরেছেন- তাই তিনি আমাদের আলো।
বাকি পাঠ
প্রকৌশলী এবং অসততা
যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য
ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য
পহেল গাঁয়ে পাকিস্থানি মদদে হত্যাকান্ডের জন্য ভারত পাকিস্থানে আক্রমন করে গুড়িয়ে দেয় , আফগানিস্থান তেহেরিক তালেবানদের মদদ দেওয়ার জন্য, পাকিস্থান... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~
আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন
এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।
এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।