somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চুরিতো চুরি! তার উপরে শিনা চুরির ব্যবস্হা! আমাদের দাস হয়ে উঠা ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু বলার নাই!!


নির্বাচন কমিশনারেরা চিন্তা ভাবনা করতেছে যে আগামী সংসদ নির্বাচন থেকে সকল সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচ রাষ্ট্র বহন করিবে!! মানে আমাদের টেক্সোর টাকায় চোর ডাকাত খুনি লুইচ্ছাদের দেয়া হবে পবিত্র সংসদে আসার জন্য!X( শুধু গত সংসদ নির্বাচনে শতকের উপরে দন্ড প্রাপ্ত আসামী আইণ প্রনেতা হয়েছে! ইহা বড়ই আনন্দায়ক খবর। শুধু মাত্র প্রতীকের জোরে অনেক চোর দিন বদলের যুগে যাপাইয়া পড়ছে:| শুধু ভাবি হাসিনা খালেদা এত কিছুর পরে ও চোর বাটপারদের ক্যাম্নে নির্বাচনে প্রার্থী করে ছিলো?? কুত্তার লেজ কোন দিন ও সোজা হবে না! তবে গোড়া বরাবর কাটতে পারলে কিছুটা সোজা জাতী দেখতে পাইতো। কিন্তু আপসুসের কথা হইলো অনেক পরজীবির দ্রুত বীর্যস্হলনের কারনে তা সম্ভব হয় নি।/:)

অনেক সুশীলের অনুভূতি বুঝতাম পারছি। তাদের কথা হইলো কিছু নরম শরম সুবিধী সুশীল আছে যারা প্রার্থী হতে চায় কিন্তু জোরদার টাকা ওয়ালা প্রার্থীদের ধনের জোরে পারে না:|। এখন প্রশ্ন হলো যাদের কোন কিছুরই জোর নাই শুধু সাইনবোর্ড ছাড়া! এই রকম হিজলাদের দিয়ে জাতির কি হইবো?? তারা নিজেদের সক্ষমতা বাথরুমে ঝাইরা কি কোন কিছু উৎপাদন করতে পারবো? তাদের কে বাথরুম থেকে রাজপথে আনতে রাষ্ট্রের মালপানি ঝারতে হবে!! মানে সুশীল কুশীল সবাই মিলা ভাগ যোগ কইরা দেশের মানুষের টেক্সোর টাকা খাইবার ব্যবস্হা চায়! আইচ্ছা বুঝলাম রাষ্ট্র কয়েক শত কোটি টাকা ডাইল্লো কিন্তু গ্যারান্টি টা কি যে সব সৎলুক নির্বাচনে জিতবো? বা ৫% জয়ী হয়ে আসবে? হাসিনার কাছে শেখ হেলাল যুগ্য সৎ প্রার্থী! আবার খালেদার কাছে সোনা রফিক সৎলুক!!কিংবা জামাতের হিরোইন ব্যবসায়ীর টাকায় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া মানুষ টি ও সৎ লুক।

ইহা বড়ই বেদনা দায়ক যে গত নির্বাচনে এত সুযোগ যাওয়ার পরে ও তেমন কোন সুশীল নির্বাচনে প্রার্থী হয়নি!! বা যে কয়েকজন হইচে তারা জামানত পর্যন্ত হারাইছে নৌকা ধানের শীর্ষের জোরে!! তাহলে বুঝা যাইতেছে যে দেশের বেশীর ভাগ মানুষই নষ্ট!? যদি ও বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্হার মইধ্যে সুক্ষ্য আমলাতান্ত্রিক ম্যাকানিজম আছে!(কন কি?) সন্দেহ আর কি! শুধু এই সন্দেহ ছাড়া নি্দ্বিধায় বলা যায় এই দেশের ৯৭% মানুষই হয় নষ্ট নয়তো অসুস্হ্য। কারনটা কি?

ন্যাম ফ্লাটের বাসিন্দা সংসদ সদস্যদের তখণ ও তৈরি হয় নি।



নির্বাচনের সময় লুটপাটকারী চোরদের চুরির টাকায় দেশের আবাল/ছাগল জনতা কয়েক কাপ উরির শিরাফ এবং কয়েক গুচ্ছ কাঠাল পাতা যাও খায় বা পান করে বিনা হিসেবে।
অথচ নির্বাচন কমিশন বৈধ হিসেবী হাজার কাপ শিরাফ এবং পুরা রাষ্ট্রীয় কাঠালপাতার বাগান চুর বাটপারদের বিলাইবার ব্যবস্হা করতেছে!! এই আসায় যে অন্তত কিছু হিজলা কে জাতীয় সংসদে দেখা যাবে!!:| যদি না দেখা যায় বা আম এবং ছালা দুইটাই জাতি কে এক সাথে দিতে হয় তাহলে জাতির কি হইবো?? শত মিথ্যা নথি দিয়ে নির্বাচিত এমপিদের সংসদ সদস্যের পদ বাতিল করতে পারতেছে না কমিশন!! নিশ্চয় এক দিন না এক দিন ছুহুল হোসাইনদের পাছায় লাথি দিয়ে বিদায় করা হবে! ইতিহাস কিন্তু তাই বলে!! আমাগো এমপিদের স্বার্থে লাগলে কিন্তু খপর আছে। তখন তারা আ.লী বিম্পি সব ভুলে যায়!! কারন জাতী এই নির্বাচন কমিশনারদের দেখতে চায় না!! মানে বিদায় চায়:-* এখানে জাতি এবং জনগণ বলতে হাসিনা খালেদা কে বুঝানো হয়;) । মনে নাই!! সিন্ডিকেটি কায়দায় বেতন বুনাস নিজেদেরটা নিজেরা বাড়ায়!! আবার বিনা টেক্সে গাড়ী ব্যবসার লাইন্সেস পায়:-* অথচ তার কিছু দিন আগে তারা দাবী তুলছে যে রাষ্ট্র কে গাড়ী তেল ড্রাইভার সব কিছু দিতে হবে!!/:) কারন তাহলে দূর্নীতি কম্বে!! এখন কি তারা দূর্নীতিতে লিপ্ত?:| বাড়ী, গাড়ী, ফ্লট বরাদ্দ, সবই দূর্নীতি দূর করার পুর্ব শর্ত!:| এত কিছু'র পরে একটা জিনিষের অভাব তাগো রয়ে গেছে
তাহলো বৈধ ভাবে তাদের কে কিছু বঙ্গ হুর দেয়া!:| হয়তো এই দাবী উঠবে কারন তারা এবং তাদের ছেলেপুলেদের হাত থেকে জাতীর মেয়েদের ইজ্জত রক্ষার জন্য এই নিয়োগ ছাড়া আর কোন উপায় নাই!!!!:|:|:|/:)/:)/:)/:)

অথচ অসহায় নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়া সহায় সম্বলহীন এবং গৃহহীন মানুষ ঢাকার অলিতে গলিতে ঝড় তুপানের মাঝে ও পড়ে থাকে শিয়াল কুকুরের জীবন নিয়ে। আর আমাদের জননেত্রী দেশনেত্রীরা সরকারী বাড়ী বরাদ্দ পাওয়ার জন্য সংসদে কিচির মিচির করে!!

.তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকেরা নিরবে শোষনের শিকার হয়ে যাচ্ছে!! তাদের জীবন
শক্তি কেড়ে নিচ্ছে নামমাত্র শ্রমোমূল্যে! অথচ রাষ্ট্র শোষক শ্রেনীর উন্নায়নে নানাবিধ সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে দুইহাত উজাড় করে!! কিন্তু শ্রমিকেরা স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার অবলম্বনটুকু ও পাচ্ছে না!!

জাহাজ ভাঙা শিল্পের শ্রমিকেরা কত রক্তের বিনিময়ে জিডিপি বৃদ্ধি করছে? অথবা দক্ষিন অন্চলের মৎস শিকারী জেলেরা কিভাবে আধুনিক দাস প্রথার জীবন যাপন করছে? রাষ্ট্রের কিছুই করার নাই!! কারন রাষ্ট্রের পরিচালকেরাই মুখোশের আড়ালে লুটেপুটে নিচ্ছে এবং অন্য শোষকদের সহযোগীতা করে যাচ্ছে উন্নায়নের নামে!!X(

এই তাদের কে-ই আমরা গাটের পয়সা দিয়ে জামাই আদরে সব কিছু দিয়ে রাজা রাণী রুপে বরণ করিবার গনতান্ত্রিক বাধ্যকতায় শির নত করে বুক ভাঙা আনন্দে ফেটে পড়ি!! তাহলে স্বাধীনতা কি দিয়েছে? আরেকটা পরাধীনতার পথ দিয়েছে...?



পরিশেষে কমিশনার বাইয়েরা আপনারা আমাদের টেকা জনগণের উপকারের দোহাই দিয়ে চোর বাটপারদের পদতলে ডাইলেন না!! কারন এই দেশের কিছুই হবে না! শুধু আম্বালীগ এবং বিম্পির উন্নায়ন ছাড়া। জাতীর ুন্দে বাঁশ দিয়া তারা শান্তি পায় জাতি ও পায়!: অবশ্য । না হলে ক্যাম্নে চলে.....?

তারা সবাই চোর! আমলা জামলা জননেতা,বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ!! তবে তারা সবাই ভাগ যোগের সমস্যায় বিভাদ করে! আর মাসূল সুদে আসলে আমরাই দিই। কিছু অংশ বিশ্ব সভায় যায়! কিছু অংশ জাতীয় পর্যায়ে আর কিছু অংশ স্তরে স্তরে উন্নায়নের জোয়ারে অথবা দিন বদলের স্রোতে! অবশিষ্ট যা কিছু হাড়গুড় তা শুষে আমরা ভগবানের নাম জপি! আল্লায় আমাদের মরহুম নেতা কে জান্নাত দেউক কারন সে আমাদের বাঁশ দিয়ে গেছে! এবং যারা বর্তমানে দিতেছে তারাও যেন যায়।

আমরা হলাম তাদের দাস।P



আমার প্রাণ প্রিয় কয়েক জন নেতার খোমা(ছবি)।




ছবিঃ- অনলাইন থেকে নেয়া।P
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৫৫
১১টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×