কিছু বলার নাই!!
নির্বাচন কমিশনারেরা চিন্তা ভাবনা করতেছে যে আগামী সংসদ নির্বাচন থেকে সকল সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচ রাষ্ট্র বহন করিবে!! মানে আমাদের টেক্সোর টাকায় চোর ডাকাত খুনি লুইচ্ছাদের দেয়া হবে পবিত্র সংসদে আসার জন্য!
অনেক সুশীলের অনুভূতি বুঝতাম পারছি। তাদের কথা হইলো কিছু নরম শরম সুবিধী সুশীল আছে যারা প্রার্থী হতে চায় কিন্তু জোরদার টাকা ওয়ালা প্রার্থীদের ধনের জোরে পারে না
ইহা বড়ই বেদনা দায়ক যে গত নির্বাচনে এত সুযোগ যাওয়ার পরে ও তেমন কোন সুশীল নির্বাচনে প্রার্থী হয়নি!! বা যে কয়েকজন হইচে তারা জামানত পর্যন্ত হারাইছে নৌকা ধানের শীর্ষের জোরে!! তাহলে বুঝা যাইতেছে যে দেশের বেশীর ভাগ মানুষই নষ্ট!? যদি ও বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্হার মইধ্যে সুক্ষ্য আমলাতান্ত্রিক ম্যাকানিজম আছে!(কন কি?) সন্দেহ আর কি! শুধু এই সন্দেহ ছাড়া নি্দ্বিধায় বলা যায় এই দেশের ৯৭% মানুষই হয় নষ্ট নয়তো অসুস্হ্য। কারনটা কি?
নির্বাচনের সময় লুটপাটকারী চোরদের চুরির টাকায় দেশের আবাল/ছাগল জনতা কয়েক কাপ উরির শিরাফ এবং কয়েক গুচ্ছ কাঠাল পাতা যাও খায় বা পান করে বিনা হিসেবে।
অথচ নির্বাচন কমিশন বৈধ হিসেবী হাজার কাপ শিরাফ এবং পুরা রাষ্ট্রীয় কাঠালপাতার বাগান চুর বাটপারদের বিলাইবার ব্যবস্হা করতেছে!! এই আসায় যে অন্তত কিছু হিজলা কে জাতীয় সংসদে দেখা যাবে!!
তাহলো বৈধ ভাবে তাদের কে কিছু বঙ্গ হুর দেয়া!
অথচ অসহায় নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়া সহায় সম্বলহীন এবং গৃহহীন মানুষ ঢাকার অলিতে গলিতে ঝড় তুপানের মাঝে ও পড়ে থাকে শিয়াল কুকুরের জীবন নিয়ে। আর আমাদের জননেত্রী দেশনেত্রীরা সরকারী বাড়ী বরাদ্দ পাওয়ার জন্য সংসদে কিচির মিচির করে!!
.তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকেরা নিরবে শোষনের শিকার হয়ে যাচ্ছে!! তাদের জীবন
শক্তি কেড়ে নিচ্ছে নামমাত্র শ্রমোমূল্যে! অথচ রাষ্ট্র শোষক শ্রেনীর উন্নায়নে নানাবিধ সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে দুইহাত উজাড় করে!! কিন্তু শ্রমিকেরা স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার অবলম্বনটুকু ও পাচ্ছে না!!
জাহাজ ভাঙা শিল্পের শ্রমিকেরা কত রক্তের বিনিময়ে জিডিপি বৃদ্ধি করছে? অথবা দক্ষিন অন্চলের মৎস শিকারী জেলেরা কিভাবে আধুনিক দাস প্রথার জীবন যাপন করছে? রাষ্ট্রের কিছুই করার নাই!! কারন রাষ্ট্রের পরিচালকেরাই মুখোশের আড়ালে লুটেপুটে নিচ্ছে এবং অন্য শোষকদের সহযোগীতা করে যাচ্ছে উন্নায়নের নামে!!
এই তাদের কে-ই আমরা গাটের পয়সা দিয়ে জামাই আদরে সব কিছু দিয়ে রাজা রাণী রুপে বরণ করিবার গনতান্ত্রিক বাধ্যকতায় শির নত করে বুক ভাঙা আনন্দে ফেটে পড়ি!! তাহলে স্বাধীনতা কি দিয়েছে? আরেকটা পরাধীনতার পথ দিয়েছে...?
পরিশেষে কমিশনার বাইয়েরা আপনারা আমাদের টেকা জনগণের উপকারের দোহাই দিয়ে চোর বাটপারদের পদতলে ডাইলেন না!! কারন এই দেশের কিছুই হবে না! শুধু আম্বালীগ এবং বিম্পির উন্নায়ন ছাড়া। জাতীর ুন্দে বাঁশ দিয়া তারা শান্তি পায় জাতি ও পায়!: অবশ্য । না হলে ক্যাম্নে চলে.....?
তারা সবাই চোর! আমলা জামলা জননেতা,বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ!! তবে তারা সবাই ভাগ যোগের সমস্যায় বিভাদ করে! আর মাসূল সুদে আসলে আমরাই দিই। কিছু অংশ বিশ্ব সভায় যায়! কিছু অংশ জাতীয় পর্যায়ে আর কিছু অংশ স্তরে স্তরে উন্নায়নের জোয়ারে অথবা দিন বদলের স্রোতে! অবশিষ্ট যা কিছু হাড়গুড় তা শুষে আমরা ভগবানের নাম জপি! আল্লায় আমাদের মরহুম নেতা কে জান্নাত দেউক কারন সে আমাদের বাঁশ দিয়ে গেছে! এবং যারা বর্তমানে দিতেছে তারাও যেন যায়।
আমরা হলাম তাদের দাস।P
ছবিঃ- অনলাইন থেকে নেয়া।P
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




