এবারের ৩৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এক অভিনব জটিল-কুটিল পদ্ধতিতে ফাঁস হয়েছে বলে কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। জানা গেছে, বিজি প্রেসের প্রুফ রিডিং শাখার একটি অসাধু চক্রের কর্মীরা প্রশ্নগুলো মুখস্থ করে বাইরে পাচার করে। তারপর ছাত্রলীগের একটি চক্র প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বিপুল টাকার বাণিজ্য করে। সব সেটের প্রশ্নপত্র এভাবেই ফাঁস হয়, যে কারণে পিএসসি আর কোনো বিকল্প না পেয়ে পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছে।
ওদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) এবং সরকারি ছাপাখানা (বিজি প্রেস) একে অন্যকে দোষারোপ করে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার পিএসসি থেকে ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য বলা হয়। পিএসসির ধারণা, বিজি প্রেস থেকেই তাদের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। কারণ বিজি প্রেস থেকে সিলগালা করা প্রশ্নপত্র পিএসসির কাছে অক্ষত আছে। পিএসসির এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিজি প্রেসের উপপরিচালক আব্দুল বারীকে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিজি প্রেসের গোপনীয় শাখা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না, তা জানানোর জন্য। চিঠি দেওয়ার পর অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একাধিকবার বিজি প্রেসের গোপনীয় শাখায় সশরীরে তদন্তে যান। তিনি গোপনীয় শাখার অনেকের সঙ্গে কথা বলেন।
পিএসসির এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে বিজি প্রেসে যে নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে, তাতে প্রশ্নপত্র বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তা ছাড়া সিলগালা অবস্থায় পিএসসি থেকে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়। আবার ছাপার পর তা সিলগালা অবস্থায়ই পাঠানো হয়েছে। এর মাঝে কোনো ফাঁসের ঘটনা ঘটানো খুব কঠিন।
তবে বিজি প্রেসের একাধিক সূত্র কালের কণ্ঠের কাছে নিশ্চিত করেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে গোপনীয় শাখার প্রুফ রিডিং সেকশন জড়িত। এই শাখার কয়েকজন কর্মচারী দলগতভাবে প্রশ্নগুলো মুখস্থ করে তা বাইরে কম্পিউটারে কম্পোজ করেন। পরে তা মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ফাঁস করা হয়। তাঁদের সঙ্গে ২০১০ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কেউ কেউ জড়িত রয়েছেন বলে সূত্র জানায়। তখন প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা ছিলেন বিজি প্রেসের কর্মচারী সহিদুল ইসলাম এবং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী।
বিজি প্রেস সূত্র জানায়, গোপনীয় শাখার প্রুফ রিডিং সেকশনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র মুখস্থবিদ্যার মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে। একটি প্রশ্নপত্র কয়েকজন মিলে ভাগ করে তা মুখস্থ করে। বিসিএসের প্রশ্ন অবজেকটিভ হওয়ায় মুখস্থবিদ্যাটা সহজেই কাজে লাগানো হয়।
বিষয়টি স্বীকার করে বিজি প্রেসের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মচারী কিংবা কর্মকর্তারা যদি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নপত্র মুখস্থ করে নিয়ে তা বাইরে ফাঁস করে দেন, তাহলে সেটা কিভাবে রোধ করা যায়? তা বন্ধের জন্য তো কোনো আইনও নেই।
এবারে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে ২০১০ সালের প্রশ্নপত্র ফাঁসের নায়কদের যোগসূত্র রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। তাদের সঙ্গে প্রুফ রিডিং শাখার কারো কারো গোপন যোগাযোগ রয়েছে বলে বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান। তারা চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেও তাদের সহযোগীরা বিজি প্রেসের গোপনীয় শাখায় কর্মরত। কয়েকজন প্রুফ রিডারের সঙ্গে সহিদুল ও মোহাম্মদ আলীর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে বিজি প্রেসের একটি সূত্র জানায়। তাদের সহযোগী হিসেবে গোপনীয় শাখার ইনচার্জ আব্দুল কাদের মৃধার নামও উঠে এসেছে। কাদের মৃধা গত এক বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে বিজি প্রেস সূত্র জানায়। অভিযোগ সম্পর্কে আব্দুল কাদের মৃধা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সব মিথ্যা। বর্তমান নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে গোপনীয় শাখা থেকে কোনোভাবেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই।' তিনি সৎভাবে চাকরি করছেন বলে দাবি করেন।
বিজি প্রেসের গোপনীয় শাখায় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছাপা হয়। অথচ এ শাখার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন আগে থেকেই আছে। কারণ এ শাখায় কর্মরত কর্মচারীদের সিংহভাগই একটি বিশেষ জেলার লোক। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিজি প্রেসের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন তাঁর জেলার কর্মচারীদের গোপনীয় শাখায় বদলি করে এনেছেন, যা এই প্রেসের একটি আলোচিত ঘটনা। এ কথা স্বীকার করে আলমগীর হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, গোপনীয় শাখায় চাকরি করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এ শাখায় কেউ বদলি হয়ে আসতে চান না। এ কারণে এখানে তাঁর জেলার লোকজনকে বদলি করে আনা হয়েছে।
কিন্তু বিজি প্রেসের অন্য সূত্র দাবি করছে, গোপনীয় শাখায় বিশেষ জেলার লোকজন বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা বেশি ঘটছে। গোপনীয় শাখার ইনচার্জ আব্দুল কাদের মৃধার গ্রামের বাড়িও একই জেলায়।
২০১০ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেনের নাম জোরেশোরে শোনা যায়। মূলত তাঁর সংশ্লিষ্টতায় সেই ঘটনা ঘটেছিল বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু রহস্যজনকভাবে সেই ঘটনায় অনেকেই চাকরিচ্যুত হলেও তিনি বহাল তবিয়তে থেকে যান। অভিযোগ ওঠে, সামান্য পদে চাকরি করলেও তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। ঢাকার ফার্মগেটে নিজস্ব ফ্ল্যাটে তিনি বসবাস করেন। অবশ্য তিনি কালের কণ্ঠের কাছে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিজি প্রেসের কেউ কেউ তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে তাঁর চাকরির ক্ষতি করতে চাইছেন।
একটি সূত্র দাবি করেছে, সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো গুরুতর অপরাধ করলেও কারো কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। ফলে একটি ঘটনা ঘটার কিছুদিন পর সংঘবদ্ধ চক্রটি নিত্যনতুন কৌশলে একই অপরাধ করে যাচ্ছে।
বিজি প্রেস সূত্রে জানা যায়, পিএসসি থেকে হাতে লেখা প্রশ্নপত্র সিলগালা করে পাঠানো হয় তাদের একজন উপপরিচালক পদমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তার কাছে। তিনি প্রথমেই কম্পিউটার সেকশনে কম্পোজের জন্য পাঠান। এরপর তা সংশোধনের জন্য প্রুফ রিডিং শাখায় চলে যায়। নির্ভুল প্রশ্নপত্রের জন্য চার-পাঁচবার প্রুফ দেখা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে প্লেট, প্রেস, কাটিং, প্রিন্টিং, বাইন্ডিং এবং প্যাকিং শাখায় কাজ শেষ করা হয়ে থাকে। এরপর সিলগালা করে পূর্ণাঙ্গ প্রশ্নপত্র পিএসসিতে চলে যায়। কিন্তু প্রশ্নপত্রের কাজ শেষ করার জন্য বিজি প্রেসের বিভিন্ন সেকশন জড়িত বলে তা ফাঁসের ঝুঁকি সব সময় থাকে বলে বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বীকার করেন।
ছাত্রলীগের বাণিজ্য : ৩৩তম বিসিএসের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র নিয়ে আড়াই থেকে তিন শ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্রলীগের এক শ্রেণীর নেতা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানীর আজিমপুরের বাসিন্দা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী পরীক্ষার এক দিন আগে বিসিএসের ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্ন কেনেন পৌনে চার লাখ টাকা দিয়ে। ছাত্রলীগের এক নেতার কাছ থেকে তিনি এ প্রশ্ন কিনেছেন বলে জানান। এ পরীক্ষার্থীর প্রথম পছন্দ ছিল 'পররাষ্ট্র ক্যাডার'। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'প্রশ্ন পেয়ে আর বাসা থেকে বের হইনি। এ ক্যাডারে চাকরির নিশ্চয়তা পেলে এর দ্বিগুণ টাকাও খরচ করতে রাজি আছি।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের একজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করছিলাম। এ সময় বিশ্বস্ত এক বন্ধু এসে খবর দিল, প্রশ্ন বিক্রি হচ্ছে। ওই বন্ধুকে নিয়ে প্রশ্নের দরদাম করি। সব ঠিক হওয়ার পর তিন লাখ ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন কিনে এক আত্মীয়ের বাসায় চলে যাই।' তিনি জানান, প্রশ্ন বিক্রেতাদের সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ মোবাইল ফোনে হলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে মোবাইল বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তাঁর দাবি, বিসিএস ক্যাডারে চাকরি পেতে গেলে একটু খরচ তো করতেই হয়। তাঁর প্রথম পছন্দ ছিল 'শুল্ক ও আবগারি'।
জগন্নাথ হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'প্রশ্ন কিনতে রাজি হওয়ার পর আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশ দূরে একটি জায়গায় নেওয়া হয়। সেখানে হালকা খাবারও দেওয়া হয়। তার পরই প্রশ্ন দেওয়া হয়।' তিনি বলেন, সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়ে তিনি ইংরেজির প্রশ্ন কিনেছেন। এত টাকা দিয়ে কেন প্রশ্ন কিনলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বাছাই পরীক্ষায় টিকেছি। এখন লিখিত পরীক্ষা দেব। এই পরীক্ষায় পাস করলে তদবিরের মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষায়ও পাস করব। আর বোঝেনই তো, প্রথম শ্রেণীর সরকারি চাকরি। বেশি টাকা খরচ করেও যদি চাকরি পাই তাতে কোনো লস নাই।' ওই পরীক্ষার্থীর প্রথম পছন্দ ছিল 'পুলিশ'।
একই রকম তথ্য মিলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীমউদ্দীন হল, জিয়া হল, বঙ্গবন্ধু হল, সূর্য সেন হল, মুহসীন হল, এফ রহমান হল, জহুরুল হক হল, শহীদুল্লাহ হল, এস এম হল, জগন্নাথ হল ও ফজলুল হক হলের বিভিন্ন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে। এ ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছু প্রশ্ন বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রশ্ন কেনাকাটা শেষ হওয়ার পর ক্রেতা-বিক্রেতা দুজনই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ৩৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২৯ হাজার। এর মধ্যে পাঁচ থেকে ছয় হাজার পরীক্ষার্থী ফাঁস হওয়া প্রশ্ন কিনেছেন।
জানা গেছে, প্রশ্ন ফাঁস করে যাঁরা ব্যবসা করেছেন তাঁদের মধ্যে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার নাম আলোচিত হচ্ছে। তাঁরা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোখলেছুর রহমান, শাহীন আহমেদ, আলী আশরাফ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাহীন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে আমি কোনোকালেই জড়িত ছিলাম না। এ ধরনের অভিযোগ কোত্থেকে আসছে, বুঝতে পারছি না।' তিনি জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই তাঁকে চেনে। তাঁদের মধ্যে ১ শতাংশ শিক্ষার্থীও বলতে পারবে না, শাহীন প্রশ্নের ব্যবসা করে।
আলী আশরাফও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'আমি গতকালই বিদেশ থেকে এসেছি। প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে কি না আমি জানিই না।' তিনি বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি, কখনো নোংরামিতে জড়াইনি।' যারা অবৈধ পথে ভর্তি হয়েছে, তারা প্রশ্ন ফাঁস করে ব্যবসা করতে পারে বলে তিনি সন্দেহ করেন।
অন্য অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।
এদিকে পিএসসির চেয়ারম্যান এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কোনো তদন্ত কমিটি এখনো করা হয়নি। তবে পুরো বিষয়টি তদারক করবেন ৩৩তম বিসিএসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য কাজী নাসিরুল ইসলাম।
কাজী নাসিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, আর তদন্ত কমিটি হবে না- এটা ঠিক নয়। অবশ্যই কোনো না কোনোভাবে এ ঘটনার তদন্ত হবে। কিন্তু কিভাবে তদন্ত হবে, কারা তদন্ত করবেন এর কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
আপেল মাহমুদ ও অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য
দৈনিক কালেরকণ্ঠ
১০ অক্টোবর ২০১২