ঢাকার রামপুরা থেকে অপহূত তৈরি পোশাক ও সুতা ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম প্রধানকে গতকাল বৃহস্পতিবার নরসিংদী থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। অপহরণে জড়িত সন্দেহে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন: জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কায়কোবাদ হোসেন, নরসিংদী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেহানুল ইসলাম, শহরের ভাগদী এলাকার আবদুল্লাহ আল মারুফ, মো. মামুন মিয়া, মো. সাইফুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান ও কবির হোসেন।
র্যাব-৩ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার রামপুরা এলাকা থেকে ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম প্রধানকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা ফিরোজের পরিবারের কাছে মুঠোফোনে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে ফিরোজকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-৩-এর কার্যালয়ে অভিযোগ করে ফিরোজের পরিবার। গতকাল দুপুরে চাঁদার টাকা নিয়ে নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া এলাকায় সুরভী সিনেমা হলের সামনে আসার প্রস্তাব দেন অপহরণকারীরা। সেই মোতাবেক ফিরোজের পরিবারের সদস্যরা টাকা নিয়ে সুরভী সিনেমা হলের সামনে এসে অপহরণকারী দলের দুই সদস্যের হাতে একটি ব্যাগ তুলে দেন। এ সময় ওত পেতে থাকা র্যাবের সদস্যরা অপহরণকারীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে গ্রেপ্তার করেন। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুসারে সাটিরপাড়ার শিববাগ মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কায়কোবাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কায়কোবাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শহরের ভাগদী এলাকার শফিকুল ইসলামের বাড়ি থেকে অপহূত ফিরোজকে উদ্ধার করে র্যাব। গ্রেপ্তার করে শফিকুলসহ আরও পাঁচজনকে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-৩-এর উপপরিচালক মো. মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবসায়ী ফিরোজকে অপহরণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অপহরণকারীদের মুঠোফোনের সূত্র ধরে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান র্যাবের কর্মকর্তা।
প্রথম আলো, ২২।১০।২০১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




