শেরপুর জেলা ওলামা লীগে জামায়াত-শিবিরের ১০
নেতাকর্মীকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে আটক জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের একনিষ্ঠ সহচর এবং দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত একজন রয়েছেন। এছাড়া ১৯৯১-৯২ সালে শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল থেকে ভিপি ও এজিএস পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন এমন দুইজনও রয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে জামায়াত- শিবির থেকে আগতরা জেলা আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ এবং ওলামা লীগ সংশি¬ষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর জেলা আওয়ামী ওলামা লীগের কমিটি গঠন করে জামায়াত-শিবির থেকে আগত এসব নেতাকর্মীর স্থান দিয়ে তাদের রীতিমতো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়েও পুনর্বাসিত করা হয়েছে। যেসব জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী জেলা ওলামা লীগের শীর্ষ পর্যায়ে অধিষ্ঠিত হয়ে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছেন তারা হলেনÑ শেরপুর জেলা আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি জামায়াত থেকে আগত শেরপুর সদর উপজেলার চর শেরপুর দড়িপাড়া গ্রামের প্রয়াত নাসের হোসেনের ছেলে আবদুর রাজ্জাক। ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শেরপুর সদর উপজেলা মধ্য বয়রা গ্রামের প্রয়াত ইব্রাহিম মণ্ডলের ছেলে সুরুজ্জামান। তিনি ১৯৯১-৯২ সালে শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির প্যানেল থেকে এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। এ সুরুজ্জামান মানবতাবিরোধী মামলায় কারাগারে আটক জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের একনিষ্ট রাজনৈতিক সহচর এবং তার দেহরক্ষী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। বর্তমানে তিনি শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আতিউর রহমান আতিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ জন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। সেইসঙ্গে সংসদ সদস্য আতিকের নিজের নামে স্থাপিত আতিউর রহমান মডেল আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ওলামা লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন জামায়াত থেকে আগত শেরপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা প্রয়াত মোজাম্মেল হকের ছেলে শরাফত আলী। এই শরাফত আলী ১৯৯১-৯২ সালে শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির প্যানেল থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজয় বরণ করেন। সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন শেরপুর পৌর এলাকার গৌরীপুর মহল¬ার বাসিন্দা জামায়াত থেকে আগত নবী হোসেন। তিনি শেরপুর সদর উপজেলার কামারের চর কেএমআই সিনিয়র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন জামায়াত থেকে আগত শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়ার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন। ওলামা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন শেরপুর সদর উপজেলার চর মোচারিয়া মাছপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল¬াহ। তিনি বর্তমানে শেরপুর শহরের তেরা বাজার মাদ্রাসার মোহদ্দিস হিসেবে কর্মরত। জামায়াত থেকে আগত জেলা ওলামা লীগের সদস্য হিসেবে রয়েছেন শেরপুর লতারিয়া গ্রামের ইমান আলী। তিনি কামারের চর ইসলামীয়া পাবলিক দাখিল মাদ্রসার সুপার হিসেবে কর্মরত। শেরপুর নলবাইদ গ্রামের আবদুল ওয়াহেদ। তিনি চর শেরপুর পিকেটি আলী দাখিল মাদ্রসার সুপার পদে কর্মরত। শেরপুরের চর শেরপুর নয়াপাড়া গ্রামের শিবির কর্মী সাইফুদ্দিন। শেরপুরের ঝিনাইগাতীর নুরুল আমীন । তিনি বর্তমানে নওহাটা আলিম মাদ্রসার প্রিন্সিপাল পদে রয়েছেন। এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওলামা লীগের ওই নেতারা জামায়াত-শিবির থেকে আগত কিনা এ বিষয়টি তার জানা নেই বলে মন্তব্য করেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




