
আকাশে বাতাসে খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে, রাখাল রাজা নাকি এবারের বলির পাঠা।তিনি অর্থ চুরির ঘটনা চেপে রেখে বিশাল অপরাধ করেছেন।তাই তাকে সরে যেতে হবে। টক শোএর বিজ্ঞরা এত দিন মৌনব্রত পালন শেষে, আকাশ বাতাস কাপিয়ে ফেলছেন, কেন তিনি অর্থ চুরি গোপন করলেন? অর্থ উদ্ধার এখন আর আলোচনার বিষয় না।অথচ দুই দিন আগেও ড. আতিউর ছিলেন তাদের কাছে বরেন্য ও অনুসরনীয় ব্যক্তি। ড. আতিউর এর সময় বাংলাদেশের ইতিহাসে (সোনালী ব্যাঙ্কের ৪হাজার কোটি,বেসিক ব্যাংকের ১২শ কোটি,শেয়ারবাজার কেলোংকারী)এত কেলংকারী হয়েছে,ওনারা এতদিন নাকি বুঝতে পারেন নাই।
আসলে আওয়ামীলীগের সমস্যা মিনিমাইজ করার কৌশল দেখে বার বার মুগ্ধ হয়ে যাই।
আওয়ামীলীগের কৌশল হচ্ছে যেকোনো বড় সমস্যা হলে প্রথমে চেষ্টা করে বিএনপি-জামাতের উপর চাপাতে,যদি দেখা যায় বিএনপি-জামাতের উপর চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে না,তখন নিজেদের ভিতর একজনকে বলি দেয়,তাকে ভবিষ্যতে আরো বেশী মুল্যায়ন করবে,এই চুক্তিতে।
অর্থ চুরির ঘটনায়ও একই কৌশল খাটানো হচ্ছে।শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানকে নাকি বরখাস্ত /পদত্যাগ করানো হবে।প্রধানমন্ত্রীর নাকি আতিউরের উপর অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ।অথচ আতিউর রহমান ঘটনাটি অনেক আগেই ওনাকে জানিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও এ নিয়ে বৈঠক হয়। তবে এ আলোচনার বিবরণ তিনি জানাতে চান না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লোপাট, শেখ হাসিনাকে আগেই জানানো হয়েছে বললেন গভর্ণর ড. আতিউর
ডঃআতিউর রহমান যদি মিথ্যা বলে থাকেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এর ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। আচ্ছা ধরে নিলাম, ডঃআতিউর রহমান মিথ্যা বলেছেন,কিন্তু এই খবর ফিলিপাইনের পত্রিকা অনেক আগেই ছাপিয়েছিলো।বাংলাদেশে অনেকে ফেসবুকে সে খবর প্রকাশও করেছিলো। বাংলাদেশের টাকা পাচার হলো, বাংলাদেশে কোন সাড়াশব্দ নেই, অথচ ফিলিপাইনের পুলিশ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, মিডিয়ার মাথা খারাপ হয়ে গেছে! বাংলাদেশের এত বড় বড় গোয়েন্দা সংস্থা,বিজ্ঞ ব্যক্তি,আইটি বিশেষজ্ঞ,দুনিয়ার সব খবর রাখনেওয়ালারা কি তখন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন?নাকি বিশেষ অংগের চুল ফালাচ্ছিলেন?
যাই হোক, এ যাত্রায় ড. আতিউর ভিলেন।ড. আতিউরকে দেশে থাকতে বরখাস্ত করা হলে,ক্ষুদ্ধ হয়ে অনেক কিছুই বলে দিতেন।যা মহা বিব্রতকর হত (সোনালী ব্যাঙ্কের ৪হাজার কোটি,বেসিক ব্যাংকের ১২শ কোটি,শেয়ারবাজার কেলোংকারী) ।কারন এই সরকারের অনেক কেলোংকারি তিনি জানেন।এ জন্য উনি এত হুলুস্থুলের মধ্যেও দিল্লী গিয়েছেন, বলির পাঠা কিভাবে হবেন তা নিয়ে আলাপ করার জন্য।।ড.আতিউর দিল্লীতে নিজের ভবিষ্যত কনফার্ম করে নিজেকে বলির পাঠা বানাতে রাজি হয়েছেন।এখন সে হয়ত পদত্যাগ/বরখাস্ত হবেন, এই শর্তে, ভবিষ্যতে পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে,তাকে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা বা এরকম কোন পদ দেয়া হবে।কি সুন্দর সমাধান!!!চারিদিকে ধন্য ধন্য পরে যাবে।
সুতরাং এখন টাকা উদ্ধারের আশা বাদ দিয়ে ,ড. আতিউর পদত্যাগ নিয়ে আমাদের সন্তষ্ট থাকতে হবে আর আওয়ামী লীগের কৌশলে বারবার মুগ্ধ হতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



