কথায় আছে, “বোকা বন্ধুর চেয়ে বুদ্ধিমান শত্রু ভাল”। তাই লতিফ সিক্কিকীকে অপসারন করা আর জামাতের যুদ্ধপরাধীদের শাস্তি কমানো। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনে হয় এই নীতিতেই চলছে! প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বেশিরভাগ নীতিনির্ধারকেরা এখন দেশের বাইরে। এ অবস্থায় লতিফ সিদ্দিকীর এই বক্তব্য আওয়ামীলীগের জন্য বিরাট বিপদ। বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ। তার উপর এখন হজ্ব ও ঈদের মৌসুম। আওয়ামীলীগের ভয় হল, হুজুরদের আবেগের ঠেলায় না আবার শেখ হাসিনার গদি উল্টে যায়! তাই সময় থাকতেই ব্যবস্থা নেয়া।
তবে, কিছু বিষয় মনে হয় কোনোদিনই আমার মাথায় ঢুকবে না। লতিফ সিদ্দিকীর এই বক্তব্য তো তার নিজের ব্যক্তিগত মতামত। এটার জন্য কি হজ্বে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কমবে? কেউ যদি ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে Unproductive বলে, তাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার কি আছে আমি বুঝি না। মানুষ ধর্ম পালন করে তার নিজের মনের শান্তি ও পরকালের সুরক্ষার জন্য। সেই ধর্মে যদি এত সহজে আঘাত করা যায়, তাহলে বোঝা যায় আঘাতপ্রাপ্ত সেই মানুষের মনে ধর্মের ভিত্তি কত দুর্বল। সেই ভয় থেকেই তারা এত প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠে।
একজন মন্ত্রীকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত মন্ত্রী হিসেবে তার Performance দেখে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের পথে। একের পর এক প্রশ্ন ফাঁশ হচ্ছে, Golden A+ এ দেশ ভরে যাচ্ছে, কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে, তারপরও একজন মন্ত্রী গলাবাজি করে যাচ্ছেন যে ভর্তি পরীক্ষাপ্রক্রিয়া ভুল। যা মন্ত্রী হিসেবে তার শুধু ব্যর্থতাই প্রমান করে না, তার অযোগ্যতাও প্রমান করে। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে স্বপদে আছেন। যুদ্ধপরাধীদের শাস্তির মুলা ঝুলিয়ে ক্ষমতায় থেকে যাওয়া আর প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠীর মন জয় করার রাজনীতি কি আওয়ামীলীগকে আদৌ ক্ষমতায় থাকতে দেবে?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



